শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

ইচ্ছে ছিল পবিত্র হজ, কোরবানি এবং পিতা-পুত্রের সম্পর্ক নিয়ে লিখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নেপথ্য কারণ, উদ্ধার কাহিনী এবং রাখাল বালক বলে খ্যাত গভর্নর আতিউর রহমানের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েও লেখার তাগিদ অনুভব করছি বেশ কিছু দিন যাবৎ। পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দঘন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতি সপ্তাহে প্রেম-ভালোবাসা এবং দাম্পত্যের মিষ্টি মধুর ছলচাতুরী এবং উপভোগ্য প্রতারণা নিয়ে একটি রম্য রচনা লেখার কথাও ভাবছিলাম। এর বাইরে কিশোর সন্তানের অবাধ্যতা এবং পিতা-মাতার অযাচিত অস্থিরতার কুফল নিয়ে যেমন লেখাপড়া করছিলাম তেমনি সামাজিক মাধ্যমের সাম্প্রতিক হালহকিকত, প্রেম-পরকীয়া এবং অন্যান্য অপরাধ বিষয়ে লেখার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ পাচ্ছিলাম। এত সব টাটকা এবং উপাদেয় বিষয়াদি বাদ দিয়ে কেন আমি শিরোনাম প্রসঙ্গে নিবন্ধ রচনায় উদ্যোগী হলাম তা বলার আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখালেখি সম্পর্কে কিছু বলে নিই।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা কত তা হয়তো বেশির ভাগ পাঠক জানেন না। তবে পত্রিকাটি যে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। কিন্তু পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা এবং পাঠককুলের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের এক পরম বিস্ময়। বঙ্গভবন-গণভবন থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিটি স্তরে পত্রিকাটি ঢুকে পড়েছে। চলতি পথে, অফিস-আদালতে, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, ফুটপাত ইত্যাদি সব জায়গার মানুষ ভাগাভাগি অথবা টানাটানি করে আনন্দচিত্তে পত্রিকাটি পাঠ করেন। কখনো-সখনো একটি পত্রিকা ১০-১২ জনকে ভাগাভাগি করে পড়তে দেখা যায়। আমার কাছে চরম ও পরম বিস্ময় হয়ে দেখা দেয় সেই দৃশ্য যখন দেখি একজন ভিক্ষুক অথবা রিকশাচালক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাটি নিজস্ব অর্থে হকারের কাছ থেকে কিনেন। কাজেই পত্রিকাটির কলাম লেখক হিসেবে আমাকে সর্বস্তরের পাঠকের আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা, অভাব-অভিযোগ, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, ভালো লাগা এবং অপছন্দের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে লিখতে হয়।

পত্রিকাটির প্রকাশনার একদম শুরুর দিন থেকে আজ অবধি আমি নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। কোনো একটি প্রসঙ্গ, ঘটনা বা কাহিনী যেন দ্বিতীয়বার বর্ণনা করা না হয় সে জন্য নিজের স্মরণশক্তি, বিদ্যাবুদ্ধি এবং মেধার কঠোর পরিচর্যা ও অনুশীলন করতে হয়। লেখার জন্য লেখককে পড়তে হয়, জানতে হয় এবং চিন্তা করতে হয়। এটা যে কতটা কঠিন এবং শ্রমসাধ্য তা বর্তমানের জনপ্রিয় লেখকদের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সংখ্যালঘুতার ক্রমহ্রাসমান হার দেখলেই অনুমান করা যায়। আমার জন্য বিষয়টি আরও জটিল এবং কঠিন। কারণ মোটামুটি বৃহৎ আকৃতির একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ পরিচালনা, রাজনীতি, সভা-সমিতি, সেমিনার, বিভিন্ন দাতব্য সংগঠনে অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক সংগঠন, দেশ-বিদেশ ভ্রমণ এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে দৈনন্দিন কর্মঘণ্টার প্রতিটি সেকেন্ড হিসাব করে চলতে হয়। কাজেই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতি মমত্ববোধ এবং পাঠককুলের জন্য সীমাহীন ভালোবাসা না থাকলে আমি হয়তো এভাবে নিয়মিত কলাম লিখতে পারতাম না।

পাঠকদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষণীয়, প্রয়োজনীয় অথচ আকর্ষণীয় বিষয়াদি বর্ণনার জন্য আমি নিরন্তর চেষ্টা করতে থাকি। এরই অংশ হিসেবে একটি শিক্ষামূলক ভিডিও দেখছিলাম। ভারতের তরুণ এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দু সন্ন্যাসী বা ধর্মগুরু গাউর গোপাল দাসের একটি বক্তৃতার ভিডিও দেখতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ, ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনার সাহায্য সম্পর্কে অসাধারণ কিছু বিষয় হৃদয়াঙ্গম করলাম। শ্রী গোপাল দাসের বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল—জীবনের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির ১০টি চাবিকাঠির গোপন রহস্য যার অন্যতম চাবিটির নাম তিনি ঝড়ত্ত্ু বলে উল্লেখ করেছেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব এবং আমাদের সমকালীন জীবনে এটির উপযোগিতার কথা বিবেচনা করেই আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে লেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। এবার ভূমিকা ছেড়ে সরাসরি মূল প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ি।

আমাদের জীবনের বেশির ভাগ সমস্যার উদ্ভব হয় মূলত তিনটি শব্দের এককেন্দ্রিক ব্যবহারের কারণে। আমি আমার এবং আত্মকেন্দ্রিক অহংবোধ শব্দগুলো মানুষের মনোজাগতিক এবং দৈহিক সমস্যার যেমন মূলভিত্তি তদ্রূপ মানুষের পারিপার্শ্বিক সমাজ, রাষ্ট্র, আত্মীয়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্ম এবং নীতি নৈতিকতার শব্দগুলোর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ যখন প্রতিটি কর্মচিন্তা ও চেতনায় কেবল নিজের কথা ভাবে এবং নিজের অহংবোধকে প্রাধান্য দেয় তখন পৃথিবীর সব কিছু থেকে সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আপনি যদি সব সময় বলতে থাকেন— আমি এটা চাই, আমি ওটা চাই না, আমি এটা পছন্দ করি, ওটাকে ঘৃণা করি, তোমরা সবাই আমার হুকুমমতো চলো, আমার কথা শোনো, আমার সিদ্ধান্তের ওপর কেউ কথা বলতে পারবে না— আমি যা বলব তাই হবে। আমার মতামতের বাইরে কিচ্ছু করা যাবে না অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন জীবনে কেবল আপনি অথবা আপনার বাইরে অন্য কোনো কিছুই সহ্য না করেন তবে আপনি কি মনে করেন আপনি খুশি হতে পারবেন? বিজ্ঞান বলেছে, অবশ্যই আপনি সুখী হতে পারবেন না। আশপাশের লোকজনের ঘৃণা-বিরক্তি, অভিশাপ এবং অসহযোগিতার কারণে আপনার সব সম্ভাবনা, সুখ এবং শান্তি বিলীন হয়ে যাবে।

শৈশব থেকেই মানুষ কেবল নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থকে বড় করে দেখার ফলে তার চারপাশে কেবল তারই মতো স্বার্থপর। আত্মকেন্দ্রিক এবং অহংকারী মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এই ধরনের মানুষের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, প্রেমিকা, ব্যবসায়িক অংশীদার থেকে শুরু করে রাত-বিরাতের মন্দ কাজের সঙ্গী-সাথীরাও প্রায় সমচরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক স্বার্থপর প্রেমিক-প্রেমিকা পাঁচ বছর ধরে প্রেম করেও বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল— আচ্ছা তোমার বয়স যেন কত! মেয়েটি বলল, পঁচিশ। ছেলেটি আঁতকে উঠে বলল, কি করে সম্ভব। পাঁচ বছর আগেও তো তুমি তোমার বয়স পঁচিশ বলেছিল। মেয়েটি নির্বিকার চিত্তে বলল, মেয়েদের কথার নড়চড় হয় না, তারা সব সময় একই কথা বলে। প্রেমিক দম্পতি একদিন কোনো এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেদম ঝগড়া করল। মেয়েটি বলল, তোমার মতো স্বার্থপর, ইতর, ছোটলোক এবং অভদ্রের সঙ্গে আর এক মিনিটও নয়। আজই সব সম্পর্ক শেষ— আমি চললাম। ছেলেটি নির্বিকার চিত্তে বলল, তা যাও! বেশ ভালো, তবে যাওয়ার আগে ফিফটি পার্সেন্ট বিলটা পরিশোধ করে যাও। মেয়েটি হাসিমুখে উঠে দাঁড়ালো এবং প্রেমিকের চেয়ারের পাশে গিয়ে পুতু পুতু গলায় বলল— এই বেবি! কি হয়েছে তোমার! তুমি কি ঠাট্টা মশকরাও বুঝ না! স্বার্থপর স্বামীরা সব সময় মনে করে তারা হলো স্ত্রীদের জন্য পরমেশ্বর। তাদের পায়ের নিচে স্ত্রীদের বেহেশত। কাজেই সংসার জীবনে স্বামীর হুকুম আহকাম বেদবাক্যের মতো পবিত্র। অলঙ্ঘনীয় এবং তা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে স্বার্থপর স্ত্রীরা ভাবে, তারা হলো সাক্ষাৎ সতীসাবিত্রী এবং ভাগ্যগুণে মা লক্ষ্মী। তাদের ভাগ্যের কারণেই স্বামী বেচারা প্রাণে বেঁচে আছে। বিপদাপদ বালা-মুসিবতমুক্ত থাকতে পারছে এবং কামাই রুজি করতে পারছে। কাজেই নিজেকে দেবীর আসনে বসিয়ে স্বার্থপর স্ত্রীরা স্বামীদের ভৃত্য অথবা সেবায়েত বানানোর অপচেষ্টায় নিরন্তর চেষ্টা-তদবির করতে থাকে। স্বার্থপর স্বামী-স্ত্রীর মতো স্বার্থপর পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাইবোন, রাজা-প্রজা, পুরোহিত-ভক্ত, মালিক-শ্রমিক প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই ফলাফল প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। কারণ তারা সবাই চায়— সব মানুষ শুধু তাদের জন্য করুক সব কিছু তাদের দিয়ে দিক এবং তাদের কথা মেনে চলুক। মানুষের এই আমিত্বমূলক স্বার্থপর মনোভাব এবং আচরণই মানবদেহ, মানব মন ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগবালাই অশান্তি এবং অসুখ সৃষ্টি করে। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রাও আমিত্ববাদের কাছে চাপা পড়ে যায়।

মানব জন্মের পরম সার্থকতা হলো, নিজের হাতটি সব সময় অন্যকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে দেওয়া। ইংরেজিতে হ্যান্ডসাম শব্দটি সাধারণত সুন্দর ও সুপুরুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সত্যিকার হ্যান্ডসাম পুরুষের সার্থকতা তখনই ফুটে ওঠে যখন তার হ্যান্ডটি ঝড়সব ড়হব-এর সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। আপনি যদি আশা করেন যে, সবাই আপনার আশা পূর্ণ করে দেবে তবে জেনে রাখুন— এই পৃথিবীর কারও দায় পড়েনি আপনার আশা পূর্ণ করার। আপনার সুখের পাখিদের কল-কাকলি, অর্থবিত্ত, ক্ষমতা এবং উল্লাসের মধ্যে নিজের সফলতা না খুঁজে বরং ভাবুন দুঃখের দিনে আপনার অশ্রু মুছে দেওয়ার মতো কয়জন লোক আপনার রয়েছে অথবা মৃত্যুর কয়েক যুগ পর কতজন মানুষ আপনার কথা স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে একান্তে আপনার জন্য প্রার্থনায় মগ্ন থাকবে!

পৃথিবীর সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট এক অক্ষরের স্বার্থপর শব্দ হলো ও অর্থাৎ আমি। ও কোনো দিন ডঊ ছাড়া সার্থক হয় না। পৃথিবীর কোনো ভোগ, বিলাস, আনন্দ, উল্লাস, ক্রীড়া কৌতুক, বিনোদন, ভ্রমণ, সৃষ্টি ইত্যাদি একার দ্বারা সম্ভব নয়। এমনকি পাগলামোও একাকী করা যায় না। তাই মানুষের দরকার সঙ্গী। সঙ্গী-সাথী নিয়ে ও যখন জীবন শুরু করে তখন তাকে ও-এর সব বৈশিষ্ট্য ত্যাগ করে ডঊ-এর বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হয়। ও থেকে ডঊ অর্থাৎ আমি থেকে আমরাতে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য আপনার মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা এবং কর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বদা পাওয়ার জন্য, চাওয়ার জন্য অথবা ভোগের জন্য হাত না বাড়িয়ে আপনি যদি চিন্তা করেন—আমি এযাবৎকালে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, দেশ-জাতি এবং রাষ্ট্রের জন্য কী করেছি, কেন করেছি এবং কি উদ্দেশ্যে করেছি—অথবা আগামী দিনে কী করব, কেন করব এবং কী উদ্দেশ্যে করব তাহলে নিজের সংকীর্ণতার গণ্ডি থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

আপনি যদি চাতক পাখির মতো কেবল চাইতেই থাকেন তবে অন্তহীন ব্যথা, বেদনা, অপমান এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের গ্লানি আপনাকে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি দিতে চান— কেবলই নিঃস্বার্থভাবে দিতে চান তবে কেউ আপনাকে বাধা দেবে না বরং সবাই কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বন্ধনে আপনাকে জড়িয়ে ফেলবে। মনে রাখবেন—আপনার দেওয়ার মাঝে কোনো প্রতিদান, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা লাভের সামান্যতম আশা-আকাঙ্ক্ষা বা অভিলাষ থাকলে আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না। মানুষ বড়ই কৃতজ্ঞ জাতি—তারা কোনো দিন নিঃস্বার্থ পরোপকারীকে ভুলে না। আমরা কি দাতা হাতেম তাই, হাজী মুহম্মদ মুহসীন অথবা রণদা প্রসাদের কথা ভুলতে পেরেছি?

আমিত্ববাদ থেকে আমরাতে উন্নীত হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ব্যক্তির ইগো বা অহংবোধ। মানুষ হিসেবে সফল হওয়ার পথে দুনিয়া এবং আখেরাতের সবচেয়ে বড় বাধাটির নাম অহংবোধ। অহংকারী মন বিধাতার ক্ষমা, দয়া এবং দাক্ষিণ্য লাভ করতে পারে না। অহংকারী ব্যক্তির সব ভালো কাজ শেষ অবধি মন্দ কাজে পরিণত হয়ে যায় এবং এ ধরনের মানুষ কোনো দিন বেহেশতে যেতে পারবে না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ স্বয়ং বলেন—অহংকার হলো আমার ইজ্জত বা চাদর। যে ব্যক্তি জমিনে অহংকার করে বেড়ায় সে যেন আমার চাদর নিয়ে টানাটানি করে। কাজেই অহংকার, অহংবোধ, দাম্ভিকতা ইত্যাদি থেকে মুক্ত না হয়ে ও কখনো ডঊ তে বিলীন হতে পারে না।

আপনি যে অহংকারী নন তা বুঝবেন কী করে? আপনি যদি প্রয়োজনে এবং সময়ে-অসময়ে ঝড়ত্ত্ু বলতে পারেন তবেই ধরে নেওয়া হবে আপনি একজন অহংকারমুক্ত মানুষ। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে, লোক ঠকানোর জন্য, ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী কিংবা স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঝড়ত্ত্ু বললে হবে না। অন্তরের অন্তস্থল থেকে সরি শব্দটি উচ্চারণ করতে হবে। সরি বললে সব সময় বুঝাবে না যে আপনি ভুল। বরং সরি বলার মাধ্যমে আপনি অন্য একজন মানুষকে তার আপন সত্তার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করে মূলত তাকে সম্মানিত করতে পারেন। সরি শব্দটির মাধ্যমে আপনি নিজের অহংবোধকে অবদমিত করে অন্যের মাঝে মানবিকতার ফুল ফোটাতে পারবেন এবং অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজের আত্মার দরজা খুলে দিতে পারবেন।

আপনার সরি বলা বা দুঃখ প্রকাশটি যেমন নিঃস্বার্থ এবং আন্তরিক হতে হবে তেমনি হতে হবে নিঃশর্ত। শর্তযুক্ত দুঃখ প্রকাশ প্রায়ই হিতেবিপরীত হয়, আপনি সম্পূর্ণ আন্তরিকতা, মানবিকতা এবং স্বার্থ ত্যাগ করে দুঃখ প্রকাশ করলেন কিন্তু মনে মনে আশা করলেন, লোকজন আপনার দুঃখ প্রকাশকে সরল দৃষ্টিতে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করবে। অথবা আপনি মনে মনে ভাবলেন, আপনি মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি, পতিপরমেশ্বর অথবা নিয়োগকর্তা অন্নদাতা। নিজের মহত্ত্ব প্রকাশের জন্য আপনি অধীনস্থ অথবা সুবিধাভোগীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সুতরাং তাদের উচিত কৃতজ্ঞতা ও সম্মানসহকালে আপনার দুঃখ প্রকাশকে গ্রহণ করা। আপনার যদি এ ধরনের মানসিকতা থাকে তবে ধরে নেওয়া হবে, আপনি আপনার আমিত্ববাদ, হামবড়া ভাবসাব এবং আত্ম অহমিকা থেকে বের হতে পারেননি।

দুঃখ প্রকাশের সর্বোত্কৃষ্ট উপায় হলো নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা। আর ক্ষমা প্রার্থনাকে সর্বাঙ্গীণ সফল করার জন্য দরকার একান্ত অনুশোচনা এবং অশ্রুসজল আঁখি। মানুষ যদি তার শরীর, মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ সামনের দিকে বাঁকাতে না পারে অথবা নোয়াতে না শেখে তবে তার শরীর মন অহংবোধের পাপ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারে না। মানুষ যাতে সাবলীলভাবে এই কাজটি করতে পারে সে জন্য প্রকৃতিগতভাবেই তার শরীরটি সামনের দিকে অবনত করা, সেজদা করা অথবা বিনয়ী হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মেই পরম প্রভুর কাছে শ্রদ্ধাবনত সেজদা এবং অনুশোচনার অশ্রুকে মানুষের মুক্তির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ভুল-ভ্রান্তি, অপরাধ বা গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আমরা গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মক্কা-মদিনা, মসজিদ-মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাতে যাই— কিন্তু আল্লাহর যে বান্দার হকটি নষ্ট করা হলো একবারের জন্য যদি সেই হতভাগ্যের কাছে নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করি কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করি তবে গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মসজিদ-মন্দির-দেবালয়—আমার হৃদয়েই স্থাপিত হয়ে যাবে। এবার সরি বলা নিয়ে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি কৌতুক বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানবো। যখন মানুষ ভুল করে এবং সরি বলে তখন তাকে বলা হয় সৎ। যখন কোনো মানুষ কোনো বিষয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ার কারণে সরি বলে তখন তাকে বলা হয় জ্ঞানী। আর সব কিছু ঠিক থাকার পরও মানুষ যখন বারবার সরি বলে তখন ধরে নেওয়া হয় লোকটি হয়তো কোনো মহিলার স্বামী!

 লেখক : কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

২৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ঢাকায় দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির আভাস
ঢাকায় দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির আভাস

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অমুসলিমদের কলমে মহানবী (সা.)-এর মহিমা
অমুসলিমদের কলমে মহানবী (সা.)-এর মহিমা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা
রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের আগে দেওয়া হবে না আগ্নেয়াস্ত্রের নতুন লাইসেন্স
নির্বাচনের আগে দেওয়া হবে না আগ্নেয়াস্ত্রের নতুন লাইসেন্স

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় দুর্ভিক্ষে শিশুসহ ৪২৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজায় দুর্ভিক্ষে শিশুসহ ৪২৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোজ্যতেল আমদানির খরচ বাড়াল এনবিআর
ভোজ্যতেল আমদানির খরচ বাড়াল এনবিআর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সাফল্য লাভে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব
সাফল্য লাভে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

২২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস
পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি
ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন