শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

ইচ্ছে ছিল পবিত্র হজ, কোরবানি এবং পিতা-পুত্রের সম্পর্ক নিয়ে লিখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নেপথ্য কারণ, উদ্ধার কাহিনী এবং রাখাল বালক বলে খ্যাত গভর্নর আতিউর রহমানের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েও লেখার তাগিদ অনুভব করছি বেশ কিছু দিন যাবৎ। পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দঘন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতি সপ্তাহে প্রেম-ভালোবাসা এবং দাম্পত্যের মিষ্টি মধুর ছলচাতুরী এবং উপভোগ্য প্রতারণা নিয়ে একটি রম্য রচনা লেখার কথাও ভাবছিলাম। এর বাইরে কিশোর সন্তানের অবাধ্যতা এবং পিতা-মাতার অযাচিত অস্থিরতার কুফল নিয়ে যেমন লেখাপড়া করছিলাম তেমনি সামাজিক মাধ্যমের সাম্প্রতিক হালহকিকত, প্রেম-পরকীয়া এবং অন্যান্য অপরাধ বিষয়ে লেখার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ পাচ্ছিলাম। এত সব টাটকা এবং উপাদেয় বিষয়াদি বাদ দিয়ে কেন আমি শিরোনাম প্রসঙ্গে নিবন্ধ রচনায় উদ্যোগী হলাম তা বলার আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখালেখি সম্পর্কে কিছু বলে নিই।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা কত তা হয়তো বেশির ভাগ পাঠক জানেন না। তবে পত্রিকাটি যে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। কিন্তু পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা এবং পাঠককুলের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের এক পরম বিস্ময়। বঙ্গভবন-গণভবন থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিটি স্তরে পত্রিকাটি ঢুকে পড়েছে। চলতি পথে, অফিস-আদালতে, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, ফুটপাত ইত্যাদি সব জায়গার মানুষ ভাগাভাগি অথবা টানাটানি করে আনন্দচিত্তে পত্রিকাটি পাঠ করেন। কখনো-সখনো একটি পত্রিকা ১০-১২ জনকে ভাগাভাগি করে পড়তে দেখা যায়। আমার কাছে চরম ও পরম বিস্ময় হয়ে দেখা দেয় সেই দৃশ্য যখন দেখি একজন ভিক্ষুক অথবা রিকশাচালক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাটি নিজস্ব অর্থে হকারের কাছ থেকে কিনেন। কাজেই পত্রিকাটির কলাম লেখক হিসেবে আমাকে সর্বস্তরের পাঠকের আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা, অভাব-অভিযোগ, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, ভালো লাগা এবং অপছন্দের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে লিখতে হয়।

পত্রিকাটির প্রকাশনার একদম শুরুর দিন থেকে আজ অবধি আমি নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। কোনো একটি প্রসঙ্গ, ঘটনা বা কাহিনী যেন দ্বিতীয়বার বর্ণনা করা না হয় সে জন্য নিজের স্মরণশক্তি, বিদ্যাবুদ্ধি এবং মেধার কঠোর পরিচর্যা ও অনুশীলন করতে হয়। লেখার জন্য লেখককে পড়তে হয়, জানতে হয় এবং চিন্তা করতে হয়। এটা যে কতটা কঠিন এবং শ্রমসাধ্য তা বর্তমানের জনপ্রিয় লেখকদের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সংখ্যালঘুতার ক্রমহ্রাসমান হার দেখলেই অনুমান করা যায়। আমার জন্য বিষয়টি আরও জটিল এবং কঠিন। কারণ মোটামুটি বৃহৎ আকৃতির একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ পরিচালনা, রাজনীতি, সভা-সমিতি, সেমিনার, বিভিন্ন দাতব্য সংগঠনে অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক সংগঠন, দেশ-বিদেশ ভ্রমণ এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে দৈনন্দিন কর্মঘণ্টার প্রতিটি সেকেন্ড হিসাব করে চলতে হয়। কাজেই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতি মমত্ববোধ এবং পাঠককুলের জন্য সীমাহীন ভালোবাসা না থাকলে আমি হয়তো এভাবে নিয়মিত কলাম লিখতে পারতাম না।

পাঠকদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষণীয়, প্রয়োজনীয় অথচ আকর্ষণীয় বিষয়াদি বর্ণনার জন্য আমি নিরন্তর চেষ্টা করতে থাকি। এরই অংশ হিসেবে একটি শিক্ষামূলক ভিডিও দেখছিলাম। ভারতের তরুণ এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দু সন্ন্যাসী বা ধর্মগুরু গাউর গোপাল দাসের একটি বক্তৃতার ভিডিও দেখতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ, ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনার সাহায্য সম্পর্কে অসাধারণ কিছু বিষয় হৃদয়াঙ্গম করলাম। শ্রী গোপাল দাসের বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল—জীবনের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির ১০টি চাবিকাঠির গোপন রহস্য যার অন্যতম চাবিটির নাম তিনি ঝড়ত্ত্ু বলে উল্লেখ করেছেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব এবং আমাদের সমকালীন জীবনে এটির উপযোগিতার কথা বিবেচনা করেই আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে লেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। এবার ভূমিকা ছেড়ে সরাসরি মূল প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ি।

আমাদের জীবনের বেশির ভাগ সমস্যার উদ্ভব হয় মূলত তিনটি শব্দের এককেন্দ্রিক ব্যবহারের কারণে। আমি আমার এবং আত্মকেন্দ্রিক অহংবোধ শব্দগুলো মানুষের মনোজাগতিক এবং দৈহিক সমস্যার যেমন মূলভিত্তি তদ্রূপ মানুষের পারিপার্শ্বিক সমাজ, রাষ্ট্র, আত্মীয়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্ম এবং নীতি নৈতিকতার শব্দগুলোর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ যখন প্রতিটি কর্মচিন্তা ও চেতনায় কেবল নিজের কথা ভাবে এবং নিজের অহংবোধকে প্রাধান্য দেয় তখন পৃথিবীর সব কিছু থেকে সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আপনি যদি সব সময় বলতে থাকেন— আমি এটা চাই, আমি ওটা চাই না, আমি এটা পছন্দ করি, ওটাকে ঘৃণা করি, তোমরা সবাই আমার হুকুমমতো চলো, আমার কথা শোনো, আমার সিদ্ধান্তের ওপর কেউ কথা বলতে পারবে না— আমি যা বলব তাই হবে। আমার মতামতের বাইরে কিচ্ছু করা যাবে না অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন জীবনে কেবল আপনি অথবা আপনার বাইরে অন্য কোনো কিছুই সহ্য না করেন তবে আপনি কি মনে করেন আপনি খুশি হতে পারবেন? বিজ্ঞান বলেছে, অবশ্যই আপনি সুখী হতে পারবেন না। আশপাশের লোকজনের ঘৃণা-বিরক্তি, অভিশাপ এবং অসহযোগিতার কারণে আপনার সব সম্ভাবনা, সুখ এবং শান্তি বিলীন হয়ে যাবে।

শৈশব থেকেই মানুষ কেবল নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থকে বড় করে দেখার ফলে তার চারপাশে কেবল তারই মতো স্বার্থপর। আত্মকেন্দ্রিক এবং অহংকারী মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এই ধরনের মানুষের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, প্রেমিকা, ব্যবসায়িক অংশীদার থেকে শুরু করে রাত-বিরাতের মন্দ কাজের সঙ্গী-সাথীরাও প্রায় সমচরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক স্বার্থপর প্রেমিক-প্রেমিকা পাঁচ বছর ধরে প্রেম করেও বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল— আচ্ছা তোমার বয়স যেন কত! মেয়েটি বলল, পঁচিশ। ছেলেটি আঁতকে উঠে বলল, কি করে সম্ভব। পাঁচ বছর আগেও তো তুমি তোমার বয়স পঁচিশ বলেছিল। মেয়েটি নির্বিকার চিত্তে বলল, মেয়েদের কথার নড়চড় হয় না, তারা সব সময় একই কথা বলে। প্রেমিক দম্পতি একদিন কোনো এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেদম ঝগড়া করল। মেয়েটি বলল, তোমার মতো স্বার্থপর, ইতর, ছোটলোক এবং অভদ্রের সঙ্গে আর এক মিনিটও নয়। আজই সব সম্পর্ক শেষ— আমি চললাম। ছেলেটি নির্বিকার চিত্তে বলল, তা যাও! বেশ ভালো, তবে যাওয়ার আগে ফিফটি পার্সেন্ট বিলটা পরিশোধ করে যাও। মেয়েটি হাসিমুখে উঠে দাঁড়ালো এবং প্রেমিকের চেয়ারের পাশে গিয়ে পুতু পুতু গলায় বলল— এই বেবি! কি হয়েছে তোমার! তুমি কি ঠাট্টা মশকরাও বুঝ না! স্বার্থপর স্বামীরা সব সময় মনে করে তারা হলো স্ত্রীদের জন্য পরমেশ্বর। তাদের পায়ের নিচে স্ত্রীদের বেহেশত। কাজেই সংসার জীবনে স্বামীর হুকুম আহকাম বেদবাক্যের মতো পবিত্র। অলঙ্ঘনীয় এবং তা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে স্বার্থপর স্ত্রীরা ভাবে, তারা হলো সাক্ষাৎ সতীসাবিত্রী এবং ভাগ্যগুণে মা লক্ষ্মী। তাদের ভাগ্যের কারণেই স্বামী বেচারা প্রাণে বেঁচে আছে। বিপদাপদ বালা-মুসিবতমুক্ত থাকতে পারছে এবং কামাই রুজি করতে পারছে। কাজেই নিজেকে দেবীর আসনে বসিয়ে স্বার্থপর স্ত্রীরা স্বামীদের ভৃত্য অথবা সেবায়েত বানানোর অপচেষ্টায় নিরন্তর চেষ্টা-তদবির করতে থাকে। স্বার্থপর স্বামী-স্ত্রীর মতো স্বার্থপর পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাইবোন, রাজা-প্রজা, পুরোহিত-ভক্ত, মালিক-শ্রমিক প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই ফলাফল প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। কারণ তারা সবাই চায়— সব মানুষ শুধু তাদের জন্য করুক সব কিছু তাদের দিয়ে দিক এবং তাদের কথা মেনে চলুক। মানুষের এই আমিত্বমূলক স্বার্থপর মনোভাব এবং আচরণই মানবদেহ, মানব মন ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগবালাই অশান্তি এবং অসুখ সৃষ্টি করে। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রাও আমিত্ববাদের কাছে চাপা পড়ে যায়।

মানব জন্মের পরম সার্থকতা হলো, নিজের হাতটি সব সময় অন্যকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে দেওয়া। ইংরেজিতে হ্যান্ডসাম শব্দটি সাধারণত সুন্দর ও সুপুরুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সত্যিকার হ্যান্ডসাম পুরুষের সার্থকতা তখনই ফুটে ওঠে যখন তার হ্যান্ডটি ঝড়সব ড়হব-এর সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। আপনি যদি আশা করেন যে, সবাই আপনার আশা পূর্ণ করে দেবে তবে জেনে রাখুন— এই পৃথিবীর কারও দায় পড়েনি আপনার আশা পূর্ণ করার। আপনার সুখের পাখিদের কল-কাকলি, অর্থবিত্ত, ক্ষমতা এবং উল্লাসের মধ্যে নিজের সফলতা না খুঁজে বরং ভাবুন দুঃখের দিনে আপনার অশ্রু মুছে দেওয়ার মতো কয়জন লোক আপনার রয়েছে অথবা মৃত্যুর কয়েক যুগ পর কতজন মানুষ আপনার কথা স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে একান্তে আপনার জন্য প্রার্থনায় মগ্ন থাকবে!

পৃথিবীর সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট এক অক্ষরের স্বার্থপর শব্দ হলো ও অর্থাৎ আমি। ও কোনো দিন ডঊ ছাড়া সার্থক হয় না। পৃথিবীর কোনো ভোগ, বিলাস, আনন্দ, উল্লাস, ক্রীড়া কৌতুক, বিনোদন, ভ্রমণ, সৃষ্টি ইত্যাদি একার দ্বারা সম্ভব নয়। এমনকি পাগলামোও একাকী করা যায় না। তাই মানুষের দরকার সঙ্গী। সঙ্গী-সাথী নিয়ে ও যখন জীবন শুরু করে তখন তাকে ও-এর সব বৈশিষ্ট্য ত্যাগ করে ডঊ-এর বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হয়। ও থেকে ডঊ অর্থাৎ আমি থেকে আমরাতে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য আপনার মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা এবং কর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বদা পাওয়ার জন্য, চাওয়ার জন্য অথবা ভোগের জন্য হাত না বাড়িয়ে আপনি যদি চিন্তা করেন—আমি এযাবৎকালে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, দেশ-জাতি এবং রাষ্ট্রের জন্য কী করেছি, কেন করেছি এবং কি উদ্দেশ্যে করেছি—অথবা আগামী দিনে কী করব, কেন করব এবং কী উদ্দেশ্যে করব তাহলে নিজের সংকীর্ণতার গণ্ডি থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

আপনি যদি চাতক পাখির মতো কেবল চাইতেই থাকেন তবে অন্তহীন ব্যথা, বেদনা, অপমান এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের গ্লানি আপনাকে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি দিতে চান— কেবলই নিঃস্বার্থভাবে দিতে চান তবে কেউ আপনাকে বাধা দেবে না বরং সবাই কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বন্ধনে আপনাকে জড়িয়ে ফেলবে। মনে রাখবেন—আপনার দেওয়ার মাঝে কোনো প্রতিদান, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা লাভের সামান্যতম আশা-আকাঙ্ক্ষা বা অভিলাষ থাকলে আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না। মানুষ বড়ই কৃতজ্ঞ জাতি—তারা কোনো দিন নিঃস্বার্থ পরোপকারীকে ভুলে না। আমরা কি দাতা হাতেম তাই, হাজী মুহম্মদ মুহসীন অথবা রণদা প্রসাদের কথা ভুলতে পেরেছি?

আমিত্ববাদ থেকে আমরাতে উন্নীত হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ব্যক্তির ইগো বা অহংবোধ। মানুষ হিসেবে সফল হওয়ার পথে দুনিয়া এবং আখেরাতের সবচেয়ে বড় বাধাটির নাম অহংবোধ। অহংকারী মন বিধাতার ক্ষমা, দয়া এবং দাক্ষিণ্য লাভ করতে পারে না। অহংকারী ব্যক্তির সব ভালো কাজ শেষ অবধি মন্দ কাজে পরিণত হয়ে যায় এবং এ ধরনের মানুষ কোনো দিন বেহেশতে যেতে পারবে না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ স্বয়ং বলেন—অহংকার হলো আমার ইজ্জত বা চাদর। যে ব্যক্তি জমিনে অহংকার করে বেড়ায় সে যেন আমার চাদর নিয়ে টানাটানি করে। কাজেই অহংকার, অহংবোধ, দাম্ভিকতা ইত্যাদি থেকে মুক্ত না হয়ে ও কখনো ডঊ তে বিলীন হতে পারে না।

আপনি যে অহংকারী নন তা বুঝবেন কী করে? আপনি যদি প্রয়োজনে এবং সময়ে-অসময়ে ঝড়ত্ত্ু বলতে পারেন তবেই ধরে নেওয়া হবে আপনি একজন অহংকারমুক্ত মানুষ। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে, লোক ঠকানোর জন্য, ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী কিংবা স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঝড়ত্ত্ু বললে হবে না। অন্তরের অন্তস্থল থেকে সরি শব্দটি উচ্চারণ করতে হবে। সরি বললে সব সময় বুঝাবে না যে আপনি ভুল। বরং সরি বলার মাধ্যমে আপনি অন্য একজন মানুষকে তার আপন সত্তার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করে মূলত তাকে সম্মানিত করতে পারেন। সরি শব্দটির মাধ্যমে আপনি নিজের অহংবোধকে অবদমিত করে অন্যের মাঝে মানবিকতার ফুল ফোটাতে পারবেন এবং অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজের আত্মার দরজা খুলে দিতে পারবেন।

আপনার সরি বলা বা দুঃখ প্রকাশটি যেমন নিঃস্বার্থ এবং আন্তরিক হতে হবে তেমনি হতে হবে নিঃশর্ত। শর্তযুক্ত দুঃখ প্রকাশ প্রায়ই হিতেবিপরীত হয়, আপনি সম্পূর্ণ আন্তরিকতা, মানবিকতা এবং স্বার্থ ত্যাগ করে দুঃখ প্রকাশ করলেন কিন্তু মনে মনে আশা করলেন, লোকজন আপনার দুঃখ প্রকাশকে সরল দৃষ্টিতে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করবে। অথবা আপনি মনে মনে ভাবলেন, আপনি মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি, পতিপরমেশ্বর অথবা নিয়োগকর্তা অন্নদাতা। নিজের মহত্ত্ব প্রকাশের জন্য আপনি অধীনস্থ অথবা সুবিধাভোগীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সুতরাং তাদের উচিত কৃতজ্ঞতা ও সম্মানসহকালে আপনার দুঃখ প্রকাশকে গ্রহণ করা। আপনার যদি এ ধরনের মানসিকতা থাকে তবে ধরে নেওয়া হবে, আপনি আপনার আমিত্ববাদ, হামবড়া ভাবসাব এবং আত্ম অহমিকা থেকে বের হতে পারেননি।

দুঃখ প্রকাশের সর্বোত্কৃষ্ট উপায় হলো নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা। আর ক্ষমা প্রার্থনাকে সর্বাঙ্গীণ সফল করার জন্য দরকার একান্ত অনুশোচনা এবং অশ্রুসজল আঁখি। মানুষ যদি তার শরীর, মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ সামনের দিকে বাঁকাতে না পারে অথবা নোয়াতে না শেখে তবে তার শরীর মন অহংবোধের পাপ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারে না। মানুষ যাতে সাবলীলভাবে এই কাজটি করতে পারে সে জন্য প্রকৃতিগতভাবেই তার শরীরটি সামনের দিকে অবনত করা, সেজদা করা অথবা বিনয়ী হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মেই পরম প্রভুর কাছে শ্রদ্ধাবনত সেজদা এবং অনুশোচনার অশ্রুকে মানুষের মুক্তির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ভুল-ভ্রান্তি, অপরাধ বা গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আমরা গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মক্কা-মদিনা, মসজিদ-মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাতে যাই— কিন্তু আল্লাহর যে বান্দার হকটি নষ্ট করা হলো একবারের জন্য যদি সেই হতভাগ্যের কাছে নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করি কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করি তবে গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মসজিদ-মন্দির-দেবালয়—আমার হৃদয়েই স্থাপিত হয়ে যাবে। এবার সরি বলা নিয়ে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি কৌতুক বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানবো। যখন মানুষ ভুল করে এবং সরি বলে তখন তাকে বলা হয় সৎ। যখন কোনো মানুষ কোনো বিষয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ার কারণে সরি বলে তখন তাকে বলা হয় জ্ঞানী। আর সব কিছু ঠিক থাকার পরও মানুষ যখন বারবার সরি বলে তখন ধরে নেওয়া হয় লোকটি হয়তো কোনো মহিলার স্বামী!

 লেখক : কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিবরিয়াকে হত্যা : নয়ন
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিবরিয়াকে হত্যা : নয়ন

৪২ সেকেন্ড আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি
রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ
লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নায়িকাকে জড়িয়ে ধরায় কারাদণ্ড
নায়িকাকে জড়িয়ে ধরায় কারাদণ্ড

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৫
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৫

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শান্ত, কড়া পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শান্ত, কড়া পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৩৯৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৩৯৫ মামলা

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

পাচারের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করল ইরান
পাচারের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করল ইরান

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রশক্তির ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা, কে কোন পদে লড়ছেন
ছাত্রশক্তির ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা, কে কোন পদে লড়ছেন

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১২ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান
মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১২ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান

২১ মিনিট আগে | পরবাস

গোপালগঞ্জে বিষ প্রয়োগে পেঁয়াজের এক বিঘা বীজতলা নষ্টের অভিযোগ
গোপালগঞ্জে বিষ প্রয়োগে পেঁয়াজের এক বিঘা বীজতলা নষ্টের অভিযোগ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে অস্ত্র-মাদকসহ একটি চক্রের সবাই গ্রেফতার: ডিবি
রাজধানীতে অস্ত্র-মাদকসহ একটি চক্রের সবাই গ্রেফতার: ডিবি

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

নোয়াখালীতে নতুন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ
নোয়াখালীতে নতুন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা জবি ছাত্রশিবিরের
‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা জবি ছাত্রশিবিরের

৩৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কূটনৈতিক উত্তেজনা, জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করেছে চীন
কূটনৈতিক উত্তেজনা, জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করেছে চীন

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ
দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ

৪১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক
দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা
পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস
সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে