শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

ইচ্ছে ছিল পবিত্র হজ, কোরবানি এবং পিতা-পুত্রের সম্পর্ক নিয়ে লিখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নেপথ্য কারণ, উদ্ধার কাহিনী এবং রাখাল বালক বলে খ্যাত গভর্নর আতিউর রহমানের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েও লেখার তাগিদ অনুভব করছি বেশ কিছু দিন যাবৎ। পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দঘন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতি সপ্তাহে প্রেম-ভালোবাসা এবং দাম্পত্যের মিষ্টি মধুর ছলচাতুরী এবং উপভোগ্য প্রতারণা নিয়ে একটি রম্য রচনা লেখার কথাও ভাবছিলাম। এর বাইরে কিশোর সন্তানের অবাধ্যতা এবং পিতা-মাতার অযাচিত অস্থিরতার কুফল নিয়ে যেমন লেখাপড়া করছিলাম তেমনি সামাজিক মাধ্যমের সাম্প্রতিক হালহকিকত, প্রেম-পরকীয়া এবং অন্যান্য অপরাধ বিষয়ে লেখার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ পাচ্ছিলাম। এত সব টাটকা এবং উপাদেয় বিষয়াদি বাদ দিয়ে কেন আমি শিরোনাম প্রসঙ্গে নিবন্ধ রচনায় উদ্যোগী হলাম তা বলার আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখালেখি সম্পর্কে কিছু বলে নিই।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা কত তা হয়তো বেশির ভাগ পাঠক জানেন না। তবে পত্রিকাটি যে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। কিন্তু পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা এবং পাঠককুলের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের এক পরম বিস্ময়। বঙ্গভবন-গণভবন থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিটি স্তরে পত্রিকাটি ঢুকে পড়েছে। চলতি পথে, অফিস-আদালতে, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, ফুটপাত ইত্যাদি সব জায়গার মানুষ ভাগাভাগি অথবা টানাটানি করে আনন্দচিত্তে পত্রিকাটি পাঠ করেন। কখনো-সখনো একটি পত্রিকা ১০-১২ জনকে ভাগাভাগি করে পড়তে দেখা যায়। আমার কাছে চরম ও পরম বিস্ময় হয়ে দেখা দেয় সেই দৃশ্য যখন দেখি একজন ভিক্ষুক অথবা রিকশাচালক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাটি নিজস্ব অর্থে হকারের কাছ থেকে কিনেন। কাজেই পত্রিকাটির কলাম লেখক হিসেবে আমাকে সর্বস্তরের পাঠকের আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা, অভাব-অভিযোগ, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, ভালো লাগা এবং অপছন্দের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে লিখতে হয়।

পত্রিকাটির প্রকাশনার একদম শুরুর দিন থেকে আজ অবধি আমি নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। কোনো একটি প্রসঙ্গ, ঘটনা বা কাহিনী যেন দ্বিতীয়বার বর্ণনা করা না হয় সে জন্য নিজের স্মরণশক্তি, বিদ্যাবুদ্ধি এবং মেধার কঠোর পরিচর্যা ও অনুশীলন করতে হয়। লেখার জন্য লেখককে পড়তে হয়, জানতে হয় এবং চিন্তা করতে হয়। এটা যে কতটা কঠিন এবং শ্রমসাধ্য তা বর্তমানের জনপ্রিয় লেখকদের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সংখ্যালঘুতার ক্রমহ্রাসমান হার দেখলেই অনুমান করা যায়। আমার জন্য বিষয়টি আরও জটিল এবং কঠিন। কারণ মোটামুটি বৃহৎ আকৃতির একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ পরিচালনা, রাজনীতি, সভা-সমিতি, সেমিনার, বিভিন্ন দাতব্য সংগঠনে অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক সংগঠন, দেশ-বিদেশ ভ্রমণ এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে দৈনন্দিন কর্মঘণ্টার প্রতিটি সেকেন্ড হিসাব করে চলতে হয়। কাজেই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতি মমত্ববোধ এবং পাঠককুলের জন্য সীমাহীন ভালোবাসা না থাকলে আমি হয়তো এভাবে নিয়মিত কলাম লিখতে পারতাম না।

পাঠকদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষণীয়, প্রয়োজনীয় অথচ আকর্ষণীয় বিষয়াদি বর্ণনার জন্য আমি নিরন্তর চেষ্টা করতে থাকি। এরই অংশ হিসেবে একটি শিক্ষামূলক ভিডিও দেখছিলাম। ভারতের তরুণ এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দু সন্ন্যাসী বা ধর্মগুরু গাউর গোপাল দাসের একটি বক্তৃতার ভিডিও দেখতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ, ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনার সাহায্য সম্পর্কে অসাধারণ কিছু বিষয় হৃদয়াঙ্গম করলাম। শ্রী গোপাল দাসের বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল—জীবনের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির ১০টি চাবিকাঠির গোপন রহস্য যার অন্যতম চাবিটির নাম তিনি ঝড়ত্ত্ু বলে উল্লেখ করেছেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব এবং আমাদের সমকালীন জীবনে এটির উপযোগিতার কথা বিবেচনা করেই আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে লেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। এবার ভূমিকা ছেড়ে সরাসরি মূল প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ি।

আমাদের জীবনের বেশির ভাগ সমস্যার উদ্ভব হয় মূলত তিনটি শব্দের এককেন্দ্রিক ব্যবহারের কারণে। আমি আমার এবং আত্মকেন্দ্রিক অহংবোধ শব্দগুলো মানুষের মনোজাগতিক এবং দৈহিক সমস্যার যেমন মূলভিত্তি তদ্রূপ মানুষের পারিপার্শ্বিক সমাজ, রাষ্ট্র, আত্মীয়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্ম এবং নীতি নৈতিকতার শব্দগুলোর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ যখন প্রতিটি কর্মচিন্তা ও চেতনায় কেবল নিজের কথা ভাবে এবং নিজের অহংবোধকে প্রাধান্য দেয় তখন পৃথিবীর সব কিছু থেকে সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আপনি যদি সব সময় বলতে থাকেন— আমি এটা চাই, আমি ওটা চাই না, আমি এটা পছন্দ করি, ওটাকে ঘৃণা করি, তোমরা সবাই আমার হুকুমমতো চলো, আমার কথা শোনো, আমার সিদ্ধান্তের ওপর কেউ কথা বলতে পারবে না— আমি যা বলব তাই হবে। আমার মতামতের বাইরে কিচ্ছু করা যাবে না অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন জীবনে কেবল আপনি অথবা আপনার বাইরে অন্য কোনো কিছুই সহ্য না করেন তবে আপনি কি মনে করেন আপনি খুশি হতে পারবেন? বিজ্ঞান বলেছে, অবশ্যই আপনি সুখী হতে পারবেন না। আশপাশের লোকজনের ঘৃণা-বিরক্তি, অভিশাপ এবং অসহযোগিতার কারণে আপনার সব সম্ভাবনা, সুখ এবং শান্তি বিলীন হয়ে যাবে।

শৈশব থেকেই মানুষ কেবল নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থকে বড় করে দেখার ফলে তার চারপাশে কেবল তারই মতো স্বার্থপর। আত্মকেন্দ্রিক এবং অহংকারী মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এই ধরনের মানুষের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, প্রেমিকা, ব্যবসায়িক অংশীদার থেকে শুরু করে রাত-বিরাতের মন্দ কাজের সঙ্গী-সাথীরাও প্রায় সমচরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক স্বার্থপর প্রেমিক-প্রেমিকা পাঁচ বছর ধরে প্রেম করেও বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল— আচ্ছা তোমার বয়স যেন কত! মেয়েটি বলল, পঁচিশ। ছেলেটি আঁতকে উঠে বলল, কি করে সম্ভব। পাঁচ বছর আগেও তো তুমি তোমার বয়স পঁচিশ বলেছিল। মেয়েটি নির্বিকার চিত্তে বলল, মেয়েদের কথার নড়চড় হয় না, তারা সব সময় একই কথা বলে। প্রেমিক দম্পতি একদিন কোনো এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেদম ঝগড়া করল। মেয়েটি বলল, তোমার মতো স্বার্থপর, ইতর, ছোটলোক এবং অভদ্রের সঙ্গে আর এক মিনিটও নয়। আজই সব সম্পর্ক শেষ— আমি চললাম। ছেলেটি নির্বিকার চিত্তে বলল, তা যাও! বেশ ভালো, তবে যাওয়ার আগে ফিফটি পার্সেন্ট বিলটা পরিশোধ করে যাও। মেয়েটি হাসিমুখে উঠে দাঁড়ালো এবং প্রেমিকের চেয়ারের পাশে গিয়ে পুতু পুতু গলায় বলল— এই বেবি! কি হয়েছে তোমার! তুমি কি ঠাট্টা মশকরাও বুঝ না! স্বার্থপর স্বামীরা সব সময় মনে করে তারা হলো স্ত্রীদের জন্য পরমেশ্বর। তাদের পায়ের নিচে স্ত্রীদের বেহেশত। কাজেই সংসার জীবনে স্বামীর হুকুম আহকাম বেদবাক্যের মতো পবিত্র। অলঙ্ঘনীয় এবং তা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে স্বার্থপর স্ত্রীরা ভাবে, তারা হলো সাক্ষাৎ সতীসাবিত্রী এবং ভাগ্যগুণে মা লক্ষ্মী। তাদের ভাগ্যের কারণেই স্বামী বেচারা প্রাণে বেঁচে আছে। বিপদাপদ বালা-মুসিবতমুক্ত থাকতে পারছে এবং কামাই রুজি করতে পারছে। কাজেই নিজেকে দেবীর আসনে বসিয়ে স্বার্থপর স্ত্রীরা স্বামীদের ভৃত্য অথবা সেবায়েত বানানোর অপচেষ্টায় নিরন্তর চেষ্টা-তদবির করতে থাকে। স্বার্থপর স্বামী-স্ত্রীর মতো স্বার্থপর পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাইবোন, রাজা-প্রজা, পুরোহিত-ভক্ত, মালিক-শ্রমিক প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই ফলাফল প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। কারণ তারা সবাই চায়— সব মানুষ শুধু তাদের জন্য করুক সব কিছু তাদের দিয়ে দিক এবং তাদের কথা মেনে চলুক। মানুষের এই আমিত্বমূলক স্বার্থপর মনোভাব এবং আচরণই মানবদেহ, মানব মন ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগবালাই অশান্তি এবং অসুখ সৃষ্টি করে। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রাও আমিত্ববাদের কাছে চাপা পড়ে যায়।

মানব জন্মের পরম সার্থকতা হলো, নিজের হাতটি সব সময় অন্যকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে দেওয়া। ইংরেজিতে হ্যান্ডসাম শব্দটি সাধারণত সুন্দর ও সুপুরুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সত্যিকার হ্যান্ডসাম পুরুষের সার্থকতা তখনই ফুটে ওঠে যখন তার হ্যান্ডটি ঝড়সব ড়হব-এর সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। আপনি যদি আশা করেন যে, সবাই আপনার আশা পূর্ণ করে দেবে তবে জেনে রাখুন— এই পৃথিবীর কারও দায় পড়েনি আপনার আশা পূর্ণ করার। আপনার সুখের পাখিদের কল-কাকলি, অর্থবিত্ত, ক্ষমতা এবং উল্লাসের মধ্যে নিজের সফলতা না খুঁজে বরং ভাবুন দুঃখের দিনে আপনার অশ্রু মুছে দেওয়ার মতো কয়জন লোক আপনার রয়েছে অথবা মৃত্যুর কয়েক যুগ পর কতজন মানুষ আপনার কথা স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে একান্তে আপনার জন্য প্রার্থনায় মগ্ন থাকবে!

পৃথিবীর সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট এক অক্ষরের স্বার্থপর শব্দ হলো ও অর্থাৎ আমি। ও কোনো দিন ডঊ ছাড়া সার্থক হয় না। পৃথিবীর কোনো ভোগ, বিলাস, আনন্দ, উল্লাস, ক্রীড়া কৌতুক, বিনোদন, ভ্রমণ, সৃষ্টি ইত্যাদি একার দ্বারা সম্ভব নয়। এমনকি পাগলামোও একাকী করা যায় না। তাই মানুষের দরকার সঙ্গী। সঙ্গী-সাথী নিয়ে ও যখন জীবন শুরু করে তখন তাকে ও-এর সব বৈশিষ্ট্য ত্যাগ করে ডঊ-এর বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হয়। ও থেকে ডঊ অর্থাৎ আমি থেকে আমরাতে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য আপনার মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা এবং কর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বদা পাওয়ার জন্য, চাওয়ার জন্য অথবা ভোগের জন্য হাত না বাড়িয়ে আপনি যদি চিন্তা করেন—আমি এযাবৎকালে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, দেশ-জাতি এবং রাষ্ট্রের জন্য কী করেছি, কেন করেছি এবং কি উদ্দেশ্যে করেছি—অথবা আগামী দিনে কী করব, কেন করব এবং কী উদ্দেশ্যে করব তাহলে নিজের সংকীর্ণতার গণ্ডি থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

আপনি যদি চাতক পাখির মতো কেবল চাইতেই থাকেন তবে অন্তহীন ব্যথা, বেদনা, অপমান এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের গ্লানি আপনাকে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি দিতে চান— কেবলই নিঃস্বার্থভাবে দিতে চান তবে কেউ আপনাকে বাধা দেবে না বরং সবাই কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বন্ধনে আপনাকে জড়িয়ে ফেলবে। মনে রাখবেন—আপনার দেওয়ার মাঝে কোনো প্রতিদান, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা লাভের সামান্যতম আশা-আকাঙ্ক্ষা বা অভিলাষ থাকলে আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না। মানুষ বড়ই কৃতজ্ঞ জাতি—তারা কোনো দিন নিঃস্বার্থ পরোপকারীকে ভুলে না। আমরা কি দাতা হাতেম তাই, হাজী মুহম্মদ মুহসীন অথবা রণদা প্রসাদের কথা ভুলতে পেরেছি?

আমিত্ববাদ থেকে আমরাতে উন্নীত হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ব্যক্তির ইগো বা অহংবোধ। মানুষ হিসেবে সফল হওয়ার পথে দুনিয়া এবং আখেরাতের সবচেয়ে বড় বাধাটির নাম অহংবোধ। অহংকারী মন বিধাতার ক্ষমা, দয়া এবং দাক্ষিণ্য লাভ করতে পারে না। অহংকারী ব্যক্তির সব ভালো কাজ শেষ অবধি মন্দ কাজে পরিণত হয়ে যায় এবং এ ধরনের মানুষ কোনো দিন বেহেশতে যেতে পারবে না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ স্বয়ং বলেন—অহংকার হলো আমার ইজ্জত বা চাদর। যে ব্যক্তি জমিনে অহংকার করে বেড়ায় সে যেন আমার চাদর নিয়ে টানাটানি করে। কাজেই অহংকার, অহংবোধ, দাম্ভিকতা ইত্যাদি থেকে মুক্ত না হয়ে ও কখনো ডঊ তে বিলীন হতে পারে না।

আপনি যে অহংকারী নন তা বুঝবেন কী করে? আপনি যদি প্রয়োজনে এবং সময়ে-অসময়ে ঝড়ত্ত্ু বলতে পারেন তবেই ধরে নেওয়া হবে আপনি একজন অহংকারমুক্ত মানুষ। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে, লোক ঠকানোর জন্য, ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী কিংবা স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঝড়ত্ত্ু বললে হবে না। অন্তরের অন্তস্থল থেকে সরি শব্দটি উচ্চারণ করতে হবে। সরি বললে সব সময় বুঝাবে না যে আপনি ভুল। বরং সরি বলার মাধ্যমে আপনি অন্য একজন মানুষকে তার আপন সত্তার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করে মূলত তাকে সম্মানিত করতে পারেন। সরি শব্দটির মাধ্যমে আপনি নিজের অহংবোধকে অবদমিত করে অন্যের মাঝে মানবিকতার ফুল ফোটাতে পারবেন এবং অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজের আত্মার দরজা খুলে দিতে পারবেন।

আপনার সরি বলা বা দুঃখ প্রকাশটি যেমন নিঃস্বার্থ এবং আন্তরিক হতে হবে তেমনি হতে হবে নিঃশর্ত। শর্তযুক্ত দুঃখ প্রকাশ প্রায়ই হিতেবিপরীত হয়, আপনি সম্পূর্ণ আন্তরিকতা, মানবিকতা এবং স্বার্থ ত্যাগ করে দুঃখ প্রকাশ করলেন কিন্তু মনে মনে আশা করলেন, লোকজন আপনার দুঃখ প্রকাশকে সরল দৃষ্টিতে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করবে। অথবা আপনি মনে মনে ভাবলেন, আপনি মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি, পতিপরমেশ্বর অথবা নিয়োগকর্তা অন্নদাতা। নিজের মহত্ত্ব প্রকাশের জন্য আপনি অধীনস্থ অথবা সুবিধাভোগীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সুতরাং তাদের উচিত কৃতজ্ঞতা ও সম্মানসহকালে আপনার দুঃখ প্রকাশকে গ্রহণ করা। আপনার যদি এ ধরনের মানসিকতা থাকে তবে ধরে নেওয়া হবে, আপনি আপনার আমিত্ববাদ, হামবড়া ভাবসাব এবং আত্ম অহমিকা থেকে বের হতে পারেননি।

দুঃখ প্রকাশের সর্বোত্কৃষ্ট উপায় হলো নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা। আর ক্ষমা প্রার্থনাকে সর্বাঙ্গীণ সফল করার জন্য দরকার একান্ত অনুশোচনা এবং অশ্রুসজল আঁখি। মানুষ যদি তার শরীর, মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ সামনের দিকে বাঁকাতে না পারে অথবা নোয়াতে না শেখে তবে তার শরীর মন অহংবোধের পাপ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারে না। মানুষ যাতে সাবলীলভাবে এই কাজটি করতে পারে সে জন্য প্রকৃতিগতভাবেই তার শরীরটি সামনের দিকে অবনত করা, সেজদা করা অথবা বিনয়ী হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মেই পরম প্রভুর কাছে শ্রদ্ধাবনত সেজদা এবং অনুশোচনার অশ্রুকে মানুষের মুক্তির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ভুল-ভ্রান্তি, অপরাধ বা গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আমরা গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মক্কা-মদিনা, মসজিদ-মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাতে যাই— কিন্তু আল্লাহর যে বান্দার হকটি নষ্ট করা হলো একবারের জন্য যদি সেই হতভাগ্যের কাছে নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করি কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করি তবে গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মসজিদ-মন্দির-দেবালয়—আমার হৃদয়েই স্থাপিত হয়ে যাবে। এবার সরি বলা নিয়ে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি কৌতুক বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানবো। যখন মানুষ ভুল করে এবং সরি বলে তখন তাকে বলা হয় সৎ। যখন কোনো মানুষ কোনো বিষয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ার কারণে সরি বলে তখন তাকে বলা হয় জ্ঞানী। আর সব কিছু ঠিক থাকার পরও মানুষ যখন বারবার সরি বলে তখন ধরে নেওয়া হয় লোকটি হয়তো কোনো মহিলার স্বামী!

 লেখক : কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি
সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার
অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা
পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত
রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ
বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের
বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

৯ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার
যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাদের
সেই কাদের

শোবিজ

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমন খেতে ইঁদুরের হানা
আমন খেতে ইঁদুরের হানা

দেশগ্রাম

মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ
মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ

পেছনের পৃষ্ঠা

জেনেভা ক্যাম্পে ককটেলের গোপন কারখানার সন্ধান
জেনেভা ক্যাম্পে ককটেলের গোপন কারখানার সন্ধান

নগর জীবন

কৃষককে কুপিয়ে গরু লুট
কৃষককে কুপিয়ে গরু লুট

দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলের মৃত্যু রক্তক্ষরণে
বিচারকের ছেলের মৃত্যু রক্তক্ষরণে

পেছনের পৃষ্ঠা