শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

ইচ্ছে ছিল পবিত্র হজ, কোরবানি এবং পিতা-পুত্রের সম্পর্ক নিয়ে লিখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নেপথ্য কারণ, উদ্ধার কাহিনী এবং রাখাল বালক বলে খ্যাত গভর্নর আতিউর রহমানের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েও লেখার তাগিদ অনুভব করছি বেশ কিছু দিন যাবৎ। পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দঘন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতি সপ্তাহে প্রেম-ভালোবাসা এবং দাম্পত্যের মিষ্টি মধুর ছলচাতুরী এবং উপভোগ্য প্রতারণা নিয়ে একটি রম্য রচনা লেখার কথাও ভাবছিলাম। এর বাইরে কিশোর সন্তানের অবাধ্যতা এবং পিতা-মাতার অযাচিত অস্থিরতার কুফল নিয়ে যেমন লেখাপড়া করছিলাম তেমনি সামাজিক মাধ্যমের সাম্প্রতিক হালহকিকত, প্রেম-পরকীয়া এবং অন্যান্য অপরাধ বিষয়ে লেখার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ পাচ্ছিলাম। এত সব টাটকা এবং উপাদেয় বিষয়াদি বাদ দিয়ে কেন আমি শিরোনাম প্রসঙ্গে নিবন্ধ রচনায় উদ্যোগী হলাম তা বলার আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখালেখি সম্পর্কে কিছু বলে নিই।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা কত তা হয়তো বেশির ভাগ পাঠক জানেন না। তবে পত্রিকাটি যে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। কিন্তু পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা এবং পাঠককুলের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের এক পরম বিস্ময়। বঙ্গভবন-গণভবন থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিটি স্তরে পত্রিকাটি ঢুকে পড়েছে। চলতি পথে, অফিস-আদালতে, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, ফুটপাত ইত্যাদি সব জায়গার মানুষ ভাগাভাগি অথবা টানাটানি করে আনন্দচিত্তে পত্রিকাটি পাঠ করেন। কখনো-সখনো একটি পত্রিকা ১০-১২ জনকে ভাগাভাগি করে পড়তে দেখা যায়। আমার কাছে চরম ও পরম বিস্ময় হয়ে দেখা দেয় সেই দৃশ্য যখন দেখি একজন ভিক্ষুক অথবা রিকশাচালক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাটি নিজস্ব অর্থে হকারের কাছ থেকে কিনেন। কাজেই পত্রিকাটির কলাম লেখক হিসেবে আমাকে সর্বস্তরের পাঠকের আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা, অভাব-অভিযোগ, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, ভালো লাগা এবং অপছন্দের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে লিখতে হয়।

পত্রিকাটির প্রকাশনার একদম শুরুর দিন থেকে আজ অবধি আমি নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। কোনো একটি প্রসঙ্গ, ঘটনা বা কাহিনী যেন দ্বিতীয়বার বর্ণনা করা না হয় সে জন্য নিজের স্মরণশক্তি, বিদ্যাবুদ্ধি এবং মেধার কঠোর পরিচর্যা ও অনুশীলন করতে হয়। লেখার জন্য লেখককে পড়তে হয়, জানতে হয় এবং চিন্তা করতে হয়। এটা যে কতটা কঠিন এবং শ্রমসাধ্য তা বর্তমানের জনপ্রিয় লেখকদের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সংখ্যালঘুতার ক্রমহ্রাসমান হার দেখলেই অনুমান করা যায়। আমার জন্য বিষয়টি আরও জটিল এবং কঠিন। কারণ মোটামুটি বৃহৎ আকৃতির একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ পরিচালনা, রাজনীতি, সভা-সমিতি, সেমিনার, বিভিন্ন দাতব্য সংগঠনে অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক সংগঠন, দেশ-বিদেশ ভ্রমণ এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে দৈনন্দিন কর্মঘণ্টার প্রতিটি সেকেন্ড হিসাব করে চলতে হয়। কাজেই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতি মমত্ববোধ এবং পাঠককুলের জন্য সীমাহীন ভালোবাসা না থাকলে আমি হয়তো এভাবে নিয়মিত কলাম লিখতে পারতাম না।

পাঠকদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষণীয়, প্রয়োজনীয় অথচ আকর্ষণীয় বিষয়াদি বর্ণনার জন্য আমি নিরন্তর চেষ্টা করতে থাকি। এরই অংশ হিসেবে একটি শিক্ষামূলক ভিডিও দেখছিলাম। ভারতের তরুণ এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দু সন্ন্যাসী বা ধর্মগুরু গাউর গোপাল দাসের একটি বক্তৃতার ভিডিও দেখতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ, ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনার সাহায্য সম্পর্কে অসাধারণ কিছু বিষয় হৃদয়াঙ্গম করলাম। শ্রী গোপাল দাসের বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল—জীবনের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির ১০টি চাবিকাঠির গোপন রহস্য যার অন্যতম চাবিটির নাম তিনি ঝড়ত্ত্ু বলে উল্লেখ করেছেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব এবং আমাদের সমকালীন জীবনে এটির উপযোগিতার কথা বিবেচনা করেই আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে লেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। এবার ভূমিকা ছেড়ে সরাসরি মূল প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ি।

আমাদের জীবনের বেশির ভাগ সমস্যার উদ্ভব হয় মূলত তিনটি শব্দের এককেন্দ্রিক ব্যবহারের কারণে। আমি আমার এবং আত্মকেন্দ্রিক অহংবোধ শব্দগুলো মানুষের মনোজাগতিক এবং দৈহিক সমস্যার যেমন মূলভিত্তি তদ্রূপ মানুষের পারিপার্শ্বিক সমাজ, রাষ্ট্র, আত্মীয়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্ম এবং নীতি নৈতিকতার শব্দগুলোর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ যখন প্রতিটি কর্মচিন্তা ও চেতনায় কেবল নিজের কথা ভাবে এবং নিজের অহংবোধকে প্রাধান্য দেয় তখন পৃথিবীর সব কিছু থেকে সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আপনি যদি সব সময় বলতে থাকেন— আমি এটা চাই, আমি ওটা চাই না, আমি এটা পছন্দ করি, ওটাকে ঘৃণা করি, তোমরা সবাই আমার হুকুমমতো চলো, আমার কথা শোনো, আমার সিদ্ধান্তের ওপর কেউ কথা বলতে পারবে না— আমি যা বলব তাই হবে। আমার মতামতের বাইরে কিচ্ছু করা যাবে না অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন জীবনে কেবল আপনি অথবা আপনার বাইরে অন্য কোনো কিছুই সহ্য না করেন তবে আপনি কি মনে করেন আপনি খুশি হতে পারবেন? বিজ্ঞান বলেছে, অবশ্যই আপনি সুখী হতে পারবেন না। আশপাশের লোকজনের ঘৃণা-বিরক্তি, অভিশাপ এবং অসহযোগিতার কারণে আপনার সব সম্ভাবনা, সুখ এবং শান্তি বিলীন হয়ে যাবে।

শৈশব থেকেই মানুষ কেবল নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থকে বড় করে দেখার ফলে তার চারপাশে কেবল তারই মতো স্বার্থপর। আত্মকেন্দ্রিক এবং অহংকারী মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এই ধরনের মানুষের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, প্রেমিকা, ব্যবসায়িক অংশীদার থেকে শুরু করে রাত-বিরাতের মন্দ কাজের সঙ্গী-সাথীরাও প্রায় সমচরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক স্বার্থপর প্রেমিক-প্রেমিকা পাঁচ বছর ধরে প্রেম করেও বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল— আচ্ছা তোমার বয়স যেন কত! মেয়েটি বলল, পঁচিশ। ছেলেটি আঁতকে উঠে বলল, কি করে সম্ভব। পাঁচ বছর আগেও তো তুমি তোমার বয়স পঁচিশ বলেছিল। মেয়েটি নির্বিকার চিত্তে বলল, মেয়েদের কথার নড়চড় হয় না, তারা সব সময় একই কথা বলে। প্রেমিক দম্পতি একদিন কোনো এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেদম ঝগড়া করল। মেয়েটি বলল, তোমার মতো স্বার্থপর, ইতর, ছোটলোক এবং অভদ্রের সঙ্গে আর এক মিনিটও নয়। আজই সব সম্পর্ক শেষ— আমি চললাম। ছেলেটি নির্বিকার চিত্তে বলল, তা যাও! বেশ ভালো, তবে যাওয়ার আগে ফিফটি পার্সেন্ট বিলটা পরিশোধ করে যাও। মেয়েটি হাসিমুখে উঠে দাঁড়ালো এবং প্রেমিকের চেয়ারের পাশে গিয়ে পুতু পুতু গলায় বলল— এই বেবি! কি হয়েছে তোমার! তুমি কি ঠাট্টা মশকরাও বুঝ না! স্বার্থপর স্বামীরা সব সময় মনে করে তারা হলো স্ত্রীদের জন্য পরমেশ্বর। তাদের পায়ের নিচে স্ত্রীদের বেহেশত। কাজেই সংসার জীবনে স্বামীর হুকুম আহকাম বেদবাক্যের মতো পবিত্র। অলঙ্ঘনীয় এবং তা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে স্বার্থপর স্ত্রীরা ভাবে, তারা হলো সাক্ষাৎ সতীসাবিত্রী এবং ভাগ্যগুণে মা লক্ষ্মী। তাদের ভাগ্যের কারণেই স্বামী বেচারা প্রাণে বেঁচে আছে। বিপদাপদ বালা-মুসিবতমুক্ত থাকতে পারছে এবং কামাই রুজি করতে পারছে। কাজেই নিজেকে দেবীর আসনে বসিয়ে স্বার্থপর স্ত্রীরা স্বামীদের ভৃত্য অথবা সেবায়েত বানানোর অপচেষ্টায় নিরন্তর চেষ্টা-তদবির করতে থাকে। স্বার্থপর স্বামী-স্ত্রীর মতো স্বার্থপর পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাইবোন, রাজা-প্রজা, পুরোহিত-ভক্ত, মালিক-শ্রমিক প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই ফলাফল প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। কারণ তারা সবাই চায়— সব মানুষ শুধু তাদের জন্য করুক সব কিছু তাদের দিয়ে দিক এবং তাদের কথা মেনে চলুক। মানুষের এই আমিত্বমূলক স্বার্থপর মনোভাব এবং আচরণই মানবদেহ, মানব মন ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগবালাই অশান্তি এবং অসুখ সৃষ্টি করে। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রাও আমিত্ববাদের কাছে চাপা পড়ে যায়।

মানব জন্মের পরম সার্থকতা হলো, নিজের হাতটি সব সময় অন্যকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে দেওয়া। ইংরেজিতে হ্যান্ডসাম শব্দটি সাধারণত সুন্দর ও সুপুরুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সত্যিকার হ্যান্ডসাম পুরুষের সার্থকতা তখনই ফুটে ওঠে যখন তার হ্যান্ডটি ঝড়সব ড়হব-এর সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। আপনি যদি আশা করেন যে, সবাই আপনার আশা পূর্ণ করে দেবে তবে জেনে রাখুন— এই পৃথিবীর কারও দায় পড়েনি আপনার আশা পূর্ণ করার। আপনার সুখের পাখিদের কল-কাকলি, অর্থবিত্ত, ক্ষমতা এবং উল্লাসের মধ্যে নিজের সফলতা না খুঁজে বরং ভাবুন দুঃখের দিনে আপনার অশ্রু মুছে দেওয়ার মতো কয়জন লোক আপনার রয়েছে অথবা মৃত্যুর কয়েক যুগ পর কতজন মানুষ আপনার কথা স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে একান্তে আপনার জন্য প্রার্থনায় মগ্ন থাকবে!

পৃথিবীর সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট এক অক্ষরের স্বার্থপর শব্দ হলো ও অর্থাৎ আমি। ও কোনো দিন ডঊ ছাড়া সার্থক হয় না। পৃথিবীর কোনো ভোগ, বিলাস, আনন্দ, উল্লাস, ক্রীড়া কৌতুক, বিনোদন, ভ্রমণ, সৃষ্টি ইত্যাদি একার দ্বারা সম্ভব নয়। এমনকি পাগলামোও একাকী করা যায় না। তাই মানুষের দরকার সঙ্গী। সঙ্গী-সাথী নিয়ে ও যখন জীবন শুরু করে তখন তাকে ও-এর সব বৈশিষ্ট্য ত্যাগ করে ডঊ-এর বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হয়। ও থেকে ডঊ অর্থাৎ আমি থেকে আমরাতে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য আপনার মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা এবং কর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বদা পাওয়ার জন্য, চাওয়ার জন্য অথবা ভোগের জন্য হাত না বাড়িয়ে আপনি যদি চিন্তা করেন—আমি এযাবৎকালে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, দেশ-জাতি এবং রাষ্ট্রের জন্য কী করেছি, কেন করেছি এবং কি উদ্দেশ্যে করেছি—অথবা আগামী দিনে কী করব, কেন করব এবং কী উদ্দেশ্যে করব তাহলে নিজের সংকীর্ণতার গণ্ডি থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

আপনি যদি চাতক পাখির মতো কেবল চাইতেই থাকেন তবে অন্তহীন ব্যথা, বেদনা, অপমান এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের গ্লানি আপনাকে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি দিতে চান— কেবলই নিঃস্বার্থভাবে দিতে চান তবে কেউ আপনাকে বাধা দেবে না বরং সবাই কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বন্ধনে আপনাকে জড়িয়ে ফেলবে। মনে রাখবেন—আপনার দেওয়ার মাঝে কোনো প্রতিদান, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা লাভের সামান্যতম আশা-আকাঙ্ক্ষা বা অভিলাষ থাকলে আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না। মানুষ বড়ই কৃতজ্ঞ জাতি—তারা কোনো দিন নিঃস্বার্থ পরোপকারীকে ভুলে না। আমরা কি দাতা হাতেম তাই, হাজী মুহম্মদ মুহসীন অথবা রণদা প্রসাদের কথা ভুলতে পেরেছি?

আমিত্ববাদ থেকে আমরাতে উন্নীত হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ব্যক্তির ইগো বা অহংবোধ। মানুষ হিসেবে সফল হওয়ার পথে দুনিয়া এবং আখেরাতের সবচেয়ে বড় বাধাটির নাম অহংবোধ। অহংকারী মন বিধাতার ক্ষমা, দয়া এবং দাক্ষিণ্য লাভ করতে পারে না। অহংকারী ব্যক্তির সব ভালো কাজ শেষ অবধি মন্দ কাজে পরিণত হয়ে যায় এবং এ ধরনের মানুষ কোনো দিন বেহেশতে যেতে পারবে না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ স্বয়ং বলেন—অহংকার হলো আমার ইজ্জত বা চাদর। যে ব্যক্তি জমিনে অহংকার করে বেড়ায় সে যেন আমার চাদর নিয়ে টানাটানি করে। কাজেই অহংকার, অহংবোধ, দাম্ভিকতা ইত্যাদি থেকে মুক্ত না হয়ে ও কখনো ডঊ তে বিলীন হতে পারে না।

আপনি যে অহংকারী নন তা বুঝবেন কী করে? আপনি যদি প্রয়োজনে এবং সময়ে-অসময়ে ঝড়ত্ত্ু বলতে পারেন তবেই ধরে নেওয়া হবে আপনি একজন অহংকারমুক্ত মানুষ। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে, লোক ঠকানোর জন্য, ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী কিংবা স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঝড়ত্ত্ু বললে হবে না। অন্তরের অন্তস্থল থেকে সরি শব্দটি উচ্চারণ করতে হবে। সরি বললে সব সময় বুঝাবে না যে আপনি ভুল। বরং সরি বলার মাধ্যমে আপনি অন্য একজন মানুষকে তার আপন সত্তার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করে মূলত তাকে সম্মানিত করতে পারেন। সরি শব্দটির মাধ্যমে আপনি নিজের অহংবোধকে অবদমিত করে অন্যের মাঝে মানবিকতার ফুল ফোটাতে পারবেন এবং অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজের আত্মার দরজা খুলে দিতে পারবেন।

আপনার সরি বলা বা দুঃখ প্রকাশটি যেমন নিঃস্বার্থ এবং আন্তরিক হতে হবে তেমনি হতে হবে নিঃশর্ত। শর্তযুক্ত দুঃখ প্রকাশ প্রায়ই হিতেবিপরীত হয়, আপনি সম্পূর্ণ আন্তরিকতা, মানবিকতা এবং স্বার্থ ত্যাগ করে দুঃখ প্রকাশ করলেন কিন্তু মনে মনে আশা করলেন, লোকজন আপনার দুঃখ প্রকাশকে সরল দৃষ্টিতে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করবে। অথবা আপনি মনে মনে ভাবলেন, আপনি মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি, পতিপরমেশ্বর অথবা নিয়োগকর্তা অন্নদাতা। নিজের মহত্ত্ব প্রকাশের জন্য আপনি অধীনস্থ অথবা সুবিধাভোগীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সুতরাং তাদের উচিত কৃতজ্ঞতা ও সম্মানসহকালে আপনার দুঃখ প্রকাশকে গ্রহণ করা। আপনার যদি এ ধরনের মানসিকতা থাকে তবে ধরে নেওয়া হবে, আপনি আপনার আমিত্ববাদ, হামবড়া ভাবসাব এবং আত্ম অহমিকা থেকে বের হতে পারেননি।

দুঃখ প্রকাশের সর্বোত্কৃষ্ট উপায় হলো নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা। আর ক্ষমা প্রার্থনাকে সর্বাঙ্গীণ সফল করার জন্য দরকার একান্ত অনুশোচনা এবং অশ্রুসজল আঁখি। মানুষ যদি তার শরীর, মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ সামনের দিকে বাঁকাতে না পারে অথবা নোয়াতে না শেখে তবে তার শরীর মন অহংবোধের পাপ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারে না। মানুষ যাতে সাবলীলভাবে এই কাজটি করতে পারে সে জন্য প্রকৃতিগতভাবেই তার শরীরটি সামনের দিকে অবনত করা, সেজদা করা অথবা বিনয়ী হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মেই পরম প্রভুর কাছে শ্রদ্ধাবনত সেজদা এবং অনুশোচনার অশ্রুকে মানুষের মুক্তির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ভুল-ভ্রান্তি, অপরাধ বা গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আমরা গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মক্কা-মদিনা, মসজিদ-মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাতে যাই— কিন্তু আল্লাহর যে বান্দার হকটি নষ্ট করা হলো একবারের জন্য যদি সেই হতভাগ্যের কাছে নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করি কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করি তবে গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মসজিদ-মন্দির-দেবালয়—আমার হৃদয়েই স্থাপিত হয়ে যাবে। এবার সরি বলা নিয়ে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি কৌতুক বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানবো। যখন মানুষ ভুল করে এবং সরি বলে তখন তাকে বলা হয় সৎ। যখন কোনো মানুষ কোনো বিষয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ার কারণে সরি বলে তখন তাকে বলা হয় জ্ঞানী। আর সব কিছু ঠিক থাকার পরও মানুষ যখন বারবার সরি বলে তখন ধরে নেওয়া হয় লোকটি হয়তো কোনো মহিলার স্বামী!

 লেখক : কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী
চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী

৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি
কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত
ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম
বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই
১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

প্রথম পৃষ্ঠা