শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমি দুঃখিত! খুবই দুঃখিত! নিঃশর্ত ক্ষমা চাই!

ইচ্ছে ছিল পবিত্র হজ, কোরবানি এবং পিতা-পুত্রের সম্পর্ক নিয়ে লিখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নেপথ্য কারণ, উদ্ধার কাহিনী এবং রাখাল বালক বলে খ্যাত গভর্নর আতিউর রহমানের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েও লেখার তাগিদ অনুভব করছি বেশ কিছু দিন যাবৎ। পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দঘন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতি সপ্তাহে প্রেম-ভালোবাসা এবং দাম্পত্যের মিষ্টি মধুর ছলচাতুরী এবং উপভোগ্য প্রতারণা নিয়ে একটি রম্য রচনা লেখার কথাও ভাবছিলাম। এর বাইরে কিশোর সন্তানের অবাধ্যতা এবং পিতা-মাতার অযাচিত অস্থিরতার কুফল নিয়ে যেমন লেখাপড়া করছিলাম তেমনি সামাজিক মাধ্যমের সাম্প্রতিক হালহকিকত, প্রেম-পরকীয়া এবং অন্যান্য অপরাধ বিষয়ে লেখার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ পাচ্ছিলাম। এত সব টাটকা এবং উপাদেয় বিষয়াদি বাদ দিয়ে কেন আমি শিরোনাম প্রসঙ্গে নিবন্ধ রচনায় উদ্যোগী হলাম তা বলার আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখালেখি সম্পর্কে কিছু বলে নিই।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা কত তা হয়তো বেশির ভাগ পাঠক জানেন না। তবে পত্রিকাটি যে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। কিন্তু পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা এবং পাঠককুলের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের এক পরম বিস্ময়। বঙ্গভবন-গণভবন থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিটি স্তরে পত্রিকাটি ঢুকে পড়েছে। চলতি পথে, অফিস-আদালতে, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, ফুটপাত ইত্যাদি সব জায়গার মানুষ ভাগাভাগি অথবা টানাটানি করে আনন্দচিত্তে পত্রিকাটি পাঠ করেন। কখনো-সখনো একটি পত্রিকা ১০-১২ জনকে ভাগাভাগি করে পড়তে দেখা যায়। আমার কাছে চরম ও পরম বিস্ময় হয়ে দেখা দেয় সেই দৃশ্য যখন দেখি একজন ভিক্ষুক অথবা রিকশাচালক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাটি নিজস্ব অর্থে হকারের কাছ থেকে কিনেন। কাজেই পত্রিকাটির কলাম লেখক হিসেবে আমাকে সর্বস্তরের পাঠকের আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা, অভাব-অভিযোগ, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, ভালো লাগা এবং অপছন্দের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে লিখতে হয়।

পত্রিকাটির প্রকাশনার একদম শুরুর দিন থেকে আজ অবধি আমি নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। কোনো একটি প্রসঙ্গ, ঘটনা বা কাহিনী যেন দ্বিতীয়বার বর্ণনা করা না হয় সে জন্য নিজের স্মরণশক্তি, বিদ্যাবুদ্ধি এবং মেধার কঠোর পরিচর্যা ও অনুশীলন করতে হয়। লেখার জন্য লেখককে পড়তে হয়, জানতে হয় এবং চিন্তা করতে হয়। এটা যে কতটা কঠিন এবং শ্রমসাধ্য তা বর্তমানের জনপ্রিয় লেখকদের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সংখ্যালঘুতার ক্রমহ্রাসমান হার দেখলেই অনুমান করা যায়। আমার জন্য বিষয়টি আরও জটিল এবং কঠিন। কারণ মোটামুটি বৃহৎ আকৃতির একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ পরিচালনা, রাজনীতি, সভা-সমিতি, সেমিনার, বিভিন্ন দাতব্য সংগঠনে অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক সংগঠন, দেশ-বিদেশ ভ্রমণ এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে দৈনন্দিন কর্মঘণ্টার প্রতিটি সেকেন্ড হিসাব করে চলতে হয়। কাজেই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতি মমত্ববোধ এবং পাঠককুলের জন্য সীমাহীন ভালোবাসা না থাকলে আমি হয়তো এভাবে নিয়মিত কলাম লিখতে পারতাম না।

পাঠকদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষণীয়, প্রয়োজনীয় অথচ আকর্ষণীয় বিষয়াদি বর্ণনার জন্য আমি নিরন্তর চেষ্টা করতে থাকি। এরই অংশ হিসেবে একটি শিক্ষামূলক ভিডিও দেখছিলাম। ভারতের তরুণ এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দু সন্ন্যাসী বা ধর্মগুরু গাউর গোপাল দাসের একটি বক্তৃতার ভিডিও দেখতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ, ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনার সাহায্য সম্পর্কে অসাধারণ কিছু বিষয় হৃদয়াঙ্গম করলাম। শ্রী গোপাল দাসের বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল—জীবনের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির ১০টি চাবিকাঠির গোপন রহস্য যার অন্যতম চাবিটির নাম তিনি ঝড়ত্ত্ু বলে উল্লেখ করেছেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব এবং আমাদের সমকালীন জীবনে এটির উপযোগিতার কথা বিবেচনা করেই আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে লেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। এবার ভূমিকা ছেড়ে সরাসরি মূল প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ি।

আমাদের জীবনের বেশির ভাগ সমস্যার উদ্ভব হয় মূলত তিনটি শব্দের এককেন্দ্রিক ব্যবহারের কারণে। আমি আমার এবং আত্মকেন্দ্রিক অহংবোধ শব্দগুলো মানুষের মনোজাগতিক এবং দৈহিক সমস্যার যেমন মূলভিত্তি তদ্রূপ মানুষের পারিপার্শ্বিক সমাজ, রাষ্ট্র, আত্মীয়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্ম এবং নীতি নৈতিকতার শব্দগুলোর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ যখন প্রতিটি কর্মচিন্তা ও চেতনায় কেবল নিজের কথা ভাবে এবং নিজের অহংবোধকে প্রাধান্য দেয় তখন পৃথিবীর সব কিছু থেকে সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আপনি যদি সব সময় বলতে থাকেন— আমি এটা চাই, আমি ওটা চাই না, আমি এটা পছন্দ করি, ওটাকে ঘৃণা করি, তোমরা সবাই আমার হুকুমমতো চলো, আমার কথা শোনো, আমার সিদ্ধান্তের ওপর কেউ কথা বলতে পারবে না— আমি যা বলব তাই হবে। আমার মতামতের বাইরে কিচ্ছু করা যাবে না অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন জীবনে কেবল আপনি অথবা আপনার বাইরে অন্য কোনো কিছুই সহ্য না করেন তবে আপনি কি মনে করেন আপনি খুশি হতে পারবেন? বিজ্ঞান বলেছে, অবশ্যই আপনি সুখী হতে পারবেন না। আশপাশের লোকজনের ঘৃণা-বিরক্তি, অভিশাপ এবং অসহযোগিতার কারণে আপনার সব সম্ভাবনা, সুখ এবং শান্তি বিলীন হয়ে যাবে।

শৈশব থেকেই মানুষ কেবল নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থকে বড় করে দেখার ফলে তার চারপাশে কেবল তারই মতো স্বার্থপর। আত্মকেন্দ্রিক এবং অহংকারী মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এই ধরনের মানুষের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, প্রেমিকা, ব্যবসায়িক অংশীদার থেকে শুরু করে রাত-বিরাতের মন্দ কাজের সঙ্গী-সাথীরাও প্রায় সমচরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক স্বার্থপর প্রেমিক-প্রেমিকা পাঁচ বছর ধরে প্রেম করেও বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল— আচ্ছা তোমার বয়স যেন কত! মেয়েটি বলল, পঁচিশ। ছেলেটি আঁতকে উঠে বলল, কি করে সম্ভব। পাঁচ বছর আগেও তো তুমি তোমার বয়স পঁচিশ বলেছিল। মেয়েটি নির্বিকার চিত্তে বলল, মেয়েদের কথার নড়চড় হয় না, তারা সব সময় একই কথা বলে। প্রেমিক দম্পতি একদিন কোনো এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেদম ঝগড়া করল। মেয়েটি বলল, তোমার মতো স্বার্থপর, ইতর, ছোটলোক এবং অভদ্রের সঙ্গে আর এক মিনিটও নয়। আজই সব সম্পর্ক শেষ— আমি চললাম। ছেলেটি নির্বিকার চিত্তে বলল, তা যাও! বেশ ভালো, তবে যাওয়ার আগে ফিফটি পার্সেন্ট বিলটা পরিশোধ করে যাও। মেয়েটি হাসিমুখে উঠে দাঁড়ালো এবং প্রেমিকের চেয়ারের পাশে গিয়ে পুতু পুতু গলায় বলল— এই বেবি! কি হয়েছে তোমার! তুমি কি ঠাট্টা মশকরাও বুঝ না! স্বার্থপর স্বামীরা সব সময় মনে করে তারা হলো স্ত্রীদের জন্য পরমেশ্বর। তাদের পায়ের নিচে স্ত্রীদের বেহেশত। কাজেই সংসার জীবনে স্বামীর হুকুম আহকাম বেদবাক্যের মতো পবিত্র। অলঙ্ঘনীয় এবং তা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে স্বার্থপর স্ত্রীরা ভাবে, তারা হলো সাক্ষাৎ সতীসাবিত্রী এবং ভাগ্যগুণে মা লক্ষ্মী। তাদের ভাগ্যের কারণেই স্বামী বেচারা প্রাণে বেঁচে আছে। বিপদাপদ বালা-মুসিবতমুক্ত থাকতে পারছে এবং কামাই রুজি করতে পারছে। কাজেই নিজেকে দেবীর আসনে বসিয়ে স্বার্থপর স্ত্রীরা স্বামীদের ভৃত্য অথবা সেবায়েত বানানোর অপচেষ্টায় নিরন্তর চেষ্টা-তদবির করতে থাকে। স্বার্থপর স্বামী-স্ত্রীর মতো স্বার্থপর পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাইবোন, রাজা-প্রজা, পুরোহিত-ভক্ত, মালিক-শ্রমিক প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই ফলাফল প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। কারণ তারা সবাই চায়— সব মানুষ শুধু তাদের জন্য করুক সব কিছু তাদের দিয়ে দিক এবং তাদের কথা মেনে চলুক। মানুষের এই আমিত্বমূলক স্বার্থপর মনোভাব এবং আচরণই মানবদেহ, মানব মন ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগবালাই অশান্তি এবং অসুখ সৃষ্টি করে। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রাও আমিত্ববাদের কাছে চাপা পড়ে যায়।

মানব জন্মের পরম সার্থকতা হলো, নিজের হাতটি সব সময় অন্যকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে দেওয়া। ইংরেজিতে হ্যান্ডসাম শব্দটি সাধারণত সুন্দর ও সুপুরুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সত্যিকার হ্যান্ডসাম পুরুষের সার্থকতা তখনই ফুটে ওঠে যখন তার হ্যান্ডটি ঝড়সব ড়হব-এর সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। আপনি যদি আশা করেন যে, সবাই আপনার আশা পূর্ণ করে দেবে তবে জেনে রাখুন— এই পৃথিবীর কারও দায় পড়েনি আপনার আশা পূর্ণ করার। আপনার সুখের পাখিদের কল-কাকলি, অর্থবিত্ত, ক্ষমতা এবং উল্লাসের মধ্যে নিজের সফলতা না খুঁজে বরং ভাবুন দুঃখের দিনে আপনার অশ্রু মুছে দেওয়ার মতো কয়জন লোক আপনার রয়েছে অথবা মৃত্যুর কয়েক যুগ পর কতজন মানুষ আপনার কথা স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে একান্তে আপনার জন্য প্রার্থনায় মগ্ন থাকবে!

পৃথিবীর সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট এক অক্ষরের স্বার্থপর শব্দ হলো ও অর্থাৎ আমি। ও কোনো দিন ডঊ ছাড়া সার্থক হয় না। পৃথিবীর কোনো ভোগ, বিলাস, আনন্দ, উল্লাস, ক্রীড়া কৌতুক, বিনোদন, ভ্রমণ, সৃষ্টি ইত্যাদি একার দ্বারা সম্ভব নয়। এমনকি পাগলামোও একাকী করা যায় না। তাই মানুষের দরকার সঙ্গী। সঙ্গী-সাথী নিয়ে ও যখন জীবন শুরু করে তখন তাকে ও-এর সব বৈশিষ্ট্য ত্যাগ করে ডঊ-এর বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হয়। ও থেকে ডঊ অর্থাৎ আমি থেকে আমরাতে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য আপনার মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা এবং কর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বদা পাওয়ার জন্য, চাওয়ার জন্য অথবা ভোগের জন্য হাত না বাড়িয়ে আপনি যদি চিন্তা করেন—আমি এযাবৎকালে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, দেশ-জাতি এবং রাষ্ট্রের জন্য কী করেছি, কেন করেছি এবং কি উদ্দেশ্যে করেছি—অথবা আগামী দিনে কী করব, কেন করব এবং কী উদ্দেশ্যে করব তাহলে নিজের সংকীর্ণতার গণ্ডি থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

আপনি যদি চাতক পাখির মতো কেবল চাইতেই থাকেন তবে অন্তহীন ব্যথা, বেদনা, অপমান এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের গ্লানি আপনাকে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি দিতে চান— কেবলই নিঃস্বার্থভাবে দিতে চান তবে কেউ আপনাকে বাধা দেবে না বরং সবাই কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বন্ধনে আপনাকে জড়িয়ে ফেলবে। মনে রাখবেন—আপনার দেওয়ার মাঝে কোনো প্রতিদান, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা লাভের সামান্যতম আশা-আকাঙ্ক্ষা বা অভিলাষ থাকলে আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না। মানুষ বড়ই কৃতজ্ঞ জাতি—তারা কোনো দিন নিঃস্বার্থ পরোপকারীকে ভুলে না। আমরা কি দাতা হাতেম তাই, হাজী মুহম্মদ মুহসীন অথবা রণদা প্রসাদের কথা ভুলতে পেরেছি?

আমিত্ববাদ থেকে আমরাতে উন্নীত হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ব্যক্তির ইগো বা অহংবোধ। মানুষ হিসেবে সফল হওয়ার পথে দুনিয়া এবং আখেরাতের সবচেয়ে বড় বাধাটির নাম অহংবোধ। অহংকারী মন বিধাতার ক্ষমা, দয়া এবং দাক্ষিণ্য লাভ করতে পারে না। অহংকারী ব্যক্তির সব ভালো কাজ শেষ অবধি মন্দ কাজে পরিণত হয়ে যায় এবং এ ধরনের মানুষ কোনো দিন বেহেশতে যেতে পারবে না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ স্বয়ং বলেন—অহংকার হলো আমার ইজ্জত বা চাদর। যে ব্যক্তি জমিনে অহংকার করে বেড়ায় সে যেন আমার চাদর নিয়ে টানাটানি করে। কাজেই অহংকার, অহংবোধ, দাম্ভিকতা ইত্যাদি থেকে মুক্ত না হয়ে ও কখনো ডঊ তে বিলীন হতে পারে না।

আপনি যে অহংকারী নন তা বুঝবেন কী করে? আপনি যদি প্রয়োজনে এবং সময়ে-অসময়ে ঝড়ত্ত্ু বলতে পারেন তবেই ধরে নেওয়া হবে আপনি একজন অহংকারমুক্ত মানুষ। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে, লোক ঠকানোর জন্য, ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী কিংবা স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঝড়ত্ত্ু বললে হবে না। অন্তরের অন্তস্থল থেকে সরি শব্দটি উচ্চারণ করতে হবে। সরি বললে সব সময় বুঝাবে না যে আপনি ভুল। বরং সরি বলার মাধ্যমে আপনি অন্য একজন মানুষকে তার আপন সত্তার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করে মূলত তাকে সম্মানিত করতে পারেন। সরি শব্দটির মাধ্যমে আপনি নিজের অহংবোধকে অবদমিত করে অন্যের মাঝে মানবিকতার ফুল ফোটাতে পারবেন এবং অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজের আত্মার দরজা খুলে দিতে পারবেন।

আপনার সরি বলা বা দুঃখ প্রকাশটি যেমন নিঃস্বার্থ এবং আন্তরিক হতে হবে তেমনি হতে হবে নিঃশর্ত। শর্তযুক্ত দুঃখ প্রকাশ প্রায়ই হিতেবিপরীত হয়, আপনি সম্পূর্ণ আন্তরিকতা, মানবিকতা এবং স্বার্থ ত্যাগ করে দুঃখ প্রকাশ করলেন কিন্তু মনে মনে আশা করলেন, লোকজন আপনার দুঃখ প্রকাশকে সরল দৃষ্টিতে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করবে। অথবা আপনি মনে মনে ভাবলেন, আপনি মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি, পতিপরমেশ্বর অথবা নিয়োগকর্তা অন্নদাতা। নিজের মহত্ত্ব প্রকাশের জন্য আপনি অধীনস্থ অথবা সুবিধাভোগীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সুতরাং তাদের উচিত কৃতজ্ঞতা ও সম্মানসহকালে আপনার দুঃখ প্রকাশকে গ্রহণ করা। আপনার যদি এ ধরনের মানসিকতা থাকে তবে ধরে নেওয়া হবে, আপনি আপনার আমিত্ববাদ, হামবড়া ভাবসাব এবং আত্ম অহমিকা থেকে বের হতে পারেননি।

দুঃখ প্রকাশের সর্বোত্কৃষ্ট উপায় হলো নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা। আর ক্ষমা প্রার্থনাকে সর্বাঙ্গীণ সফল করার জন্য দরকার একান্ত অনুশোচনা এবং অশ্রুসজল আঁখি। মানুষ যদি তার শরীর, মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ সামনের দিকে বাঁকাতে না পারে অথবা নোয়াতে না শেখে তবে তার শরীর মন অহংবোধের পাপ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারে না। মানুষ যাতে সাবলীলভাবে এই কাজটি করতে পারে সে জন্য প্রকৃতিগতভাবেই তার শরীরটি সামনের দিকে অবনত করা, সেজদা করা অথবা বিনয়ী হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মেই পরম প্রভুর কাছে শ্রদ্ধাবনত সেজদা এবং অনুশোচনার অশ্রুকে মানুষের মুক্তির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ভুল-ভ্রান্তি, অপরাধ বা গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আমরা গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মক্কা-মদিনা, মসজিদ-মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাতে যাই— কিন্তু আল্লাহর যে বান্দার হকটি নষ্ট করা হলো একবারের জন্য যদি সেই হতভাগ্যের কাছে নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করি কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করি তবে গয়া-কাশি-বৃন্দাবন, মসজিদ-মন্দির-দেবালয়—আমার হৃদয়েই স্থাপিত হয়ে যাবে। এবার সরি বলা নিয়ে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি কৌতুক বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানবো। যখন মানুষ ভুল করে এবং সরি বলে তখন তাকে বলা হয় সৎ। যখন কোনো মানুষ কোনো বিষয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ার কারণে সরি বলে তখন তাকে বলা হয় জ্ঞানী। আর সব কিছু ঠিক থাকার পরও মানুষ যখন বারবার সরি বলে তখন ধরে নেওয়া হয় লোকটি হয়তো কোনো মহিলার স্বামী!

 লেখক : কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
সর্বশেষ খবর
জবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

৩০ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ডিপফেক চিনবেন যেভাবে
ডিপফেক চিনবেন যেভাবে

৩৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজারবাইজান সীমান্তে তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
আজারবাইজান সীমান্তে তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ: ফ্রান্সকে হারিয়ে ইতিহাস উগান্ডার
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ: ফ্রান্সকে হারিয়ে ইতিহাস উগান্ডার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করল সেনাবাহিনী
বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করল সেনাবাহিনী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানে জনসম্মুখে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর
ইরানে জনসম্মুখে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক
চাঁদপুরে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজকের আলোচিত ১০ খবর
আজকের আলোচিত ১০ খবর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, উৎপাদন বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, উৎপাদন বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘একটি দল নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছে’
‘একটি দল নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছে’

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বর্তমানে কেমন আছেন ধর্মেন্দ্র?
বর্তমানে কেমন আছেন ধর্মেন্দ্র?

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মারা গেছেন
বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মারা গেছেন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান ডা. জাহিদ হোসেনের
বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান ডা. জাহিদ হোসেনের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হজ চুক্তি স্বাক্ষর, বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পাবেন সাড়ে ৭৮ হাজার হজযাত্রী
হজ চুক্তি স্বাক্ষর, বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পাবেন সাড়ে ৭৮ হাজার হজযাত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ক্যাচ মিস খেলার অংশ, বললেন হাসান মাহমুদ
ক্যাচ মিস খেলার অংশ, বললেন হাসান মাহমুদ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গুড়ায় কালোবাজারে সার বিক্রির অপরাধে ডিলারকে জরিমানা
ভাঙ্গুড়ায় কালোবাজারে সার বিক্রির অপরাধে ডিলারকে জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

২০২৬ বিশ্বকাপই শেষ, জানিয়ে দিলেন রোনালদো
২০২৬ বিশ্বকাপই শেষ, জানিয়ে দিলেন রোনালদো

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘‌অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না’
‘‌অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না’

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মুশফিককে সরিয়ে স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড লিটনের
মুশফিককে সরিয়ে স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড লিটনের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইনস্টাইনের ধারণা ভুল!
আইনস্টাইনের ধারণা ভুল!

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমতে পারে
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমতে পারে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনের কারাদণ্ড
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনের কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাখরাবাদ গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা আদায়
বাখরাবাদ গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা আদায়

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাশকতার শঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
নাশকতার শঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না
নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মধ্যরাতে রাজধানীতে ৩ বাসে আগুন
মধ্যরাতে রাজধানীতে ৩ বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩ নভেম্বর কী হবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দেশবাসী : জিল্লুর রহমান
১৩ নভেম্বর কী হবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দেশবাসী : জিল্লুর রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | টক শো

ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন তাসনিম জারা
ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন তাসনিম জারা

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজকীয় উত্থান থেকে দেউলিয়া, যেভাবে ডুবল কিংফিশার
রাজকীয় উত্থান থেকে দেউলিয়া, যেভাবে ডুবল কিংফিশার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের
আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, রেল যোগাযোগ বন্ধ
ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, রেল যোগাযোগ বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ময়মনসিংহে বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন, ঘুমন্ত চালক পুড়ে অঙ্গার
ময়মনসিংহে বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন, ঘুমন্ত চালক পুড়ে অঙ্গার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল
ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’
‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লি বিস্ফোরণের পর ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি
দিল্লি বিস্ফোরণের পর ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ইউরোপজুড়ে বিপর্যয়ের শঙ্কা কিয়েভের
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ইউরোপজুড়ে বিপর্যয়ের শঙ্কা কিয়েভের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’
বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন
সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫০০ কোটি পাউন্ডের বিটকয়েন নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিপাকে চীনা নারী!
৫০০ কোটি পাউন্ডের বিটকয়েন নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিপাকে চীনা নারী!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান
দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট টেস্ট : অভিষেক হওয়া কে এই হাসান মুরাদ?
সিলেট টেস্ট : অভিষেক হওয়া কে এই হাসান মুরাদ?

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মস্তিষ্ক ছাড়াই জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেই তরুণীর বয়স এখন ২০
মস্তিষ্ক ছাড়াই জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেই তরুণীর বয়স এখন ২০

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সিলেটের ওপারে এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা কেন?
সিলেটের ওপারে এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা কেন?

১১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইয়ামাহা বাইক কার্নিভাল
ইয়ামাহা বাইক কার্নিভাল

নগর জীবন

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নগর জীবন

বস্তিবাসীর দুই দফা মেনে নেওয়ার দাবি
বস্তিবাসীর দুই দফা মেনে নেওয়ার দাবি

নগর জীবন

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অনশন প্রত্যাহার, অবস্থান চলবে
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অনশন প্রত্যাহার, অবস্থান চলবে

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতেই গ্রন্থমেলার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি
ফেব্রুয়ারিতেই গ্রন্থমেলার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি

নগর জীবন

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস

সম্পাদকীয়

গুম খুন লুটপাট নিয়ে ঢাকার ১০ স্থানে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী
গুম খুন লুটপাট নিয়ে ঢাকার ১০ স্থানে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী

নগর জীবন

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’

সম্পাদকীয়

সিলেটে নাশকতার পরিকল্পনা আটক ৫
সিলেটে নাশকতার পরিকল্পনা আটক ৫

নগর জীবন

রংপুরে স্বাচিপ নেতা গ্রেপ্তার
রংপুরে স্বাচিপ নেতা গ্রেপ্তার

নগর জীবন

আর্মি সার্ভিস কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন
আর্মি সার্ভিস কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন

নগর জীবন

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন

সীমানা পুনর্নির্ধারণের ৩০ আবেদন আদালতে
সীমানা পুনর্নির্ধারণের ৩০ আবেদন আদালতে

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক

সম্পাদকীয়

সাত দিন পর সূচক বাড়ল ১২ পয়েন্ট
সাত দিন পর সূচক বাড়ল ১২ পয়েন্ট

নগর জীবন