শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১৮

যাত্রী পরিবহনে নৌপথের ভূমিকা

মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ
প্রিন্ট ভার্সন
যাত্রী পরিবহনে নৌপথের ভূমিকা

নৌপথে চলাচল সারা বিশ্বের মানুষের প্রাচীন যোগাযোগ ব্যবস্থা। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরুর আগে নৌপথই ছিল দূরের যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। তখন নদীবন্দরের পাশেই শহর ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলাদেশ অঞ্চলে প্রথম রেলপথ ব্যবস্থা চালুর পূর্ব পর্যন্ত নৌপথ, গরু, ঘোড়ার গাড়ি ব্যবস্থা ছিল আদি যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশে সড়ক, রেল ও আকাশ যোগাযোগের প্রভূত উন্নতি সাধিত হলেও নৌপথের গুরুত্ব কোনো অংশে কমেনি। নদীমাতৃক বাংলাদেশে অনেক নদী হারিয়ে গেলেও এখনো যে নদীপথ রয়েছে তা দেশের অর্থনীতির উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নদীপথ অবারিত। আমাদের দেশে নতুন সড়ক নির্মাণ করলে সেখানে বৈধ, অবৈধ সব ধরনের যানবাহন এসে ঢুকে পড়ে। অনিয়ন্ত্রিত পথচারী, হকার, দোকানপাট, অনেক সময় রাস্তায় চলে আসে। নৌপথ, রেলপথ ও বিমানপথের প্রকৃতিই এমন যে, সেখানে নিজ নিজ পরিবহন বাদে অবৈধ কিছু চলাচলের সুযোগ নেই। বাংলাদেশের  রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের অনেক অঞ্চলের সরাসরি নৌপথে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশের রাজধানীর সঙ্গে এ ধরনের সুযোগ নেই। যাত্রী পরিবহনের সংখ্যার দিক বিবেচনায় সদরঘাট বা ঢাকা নদীবন্দরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর বলা হয়ে থাকে। কারণ ঢাকা থেকে সদরঘাট নদীবন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে লক্ষাধিক যাত্রী আসা-যাওয়া করে থাকে। ঈদের ছুটির সময় এ সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ঢাকা নদীবন্দর বা সদরঘাট থেকে বাংলাদেশের ২১টি জেলার ৪৩টি নৌরুটের সঙ্গে লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন হয়ে থাকে। সারা বছরে সদরঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭৫টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করে থাকলেও ঈদের সময় লঞ্চের সংখ্যা ১৫০টির মতো হয় বলে বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে সদরঘাটের লঞ্চের বহরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেক বড় বড় লঞ্চের সংযোজন হয়েছে। বহুতল বিশিষ্ট লঞ্চও আছে এখানে। সবচেয়ে বড় লঞ্চ পাঁচ হাজারের ঊর্ধ্বে যাত্রী নিতে পারে বলে জানা যায়। রাতের বেলা সদরঘাটে নোঙর করা আলো ঝলমল কোনো লঞ্চকে নদীর ওপার থেকে হঠাৎ দেখলে আধুনিক বহুতল ভবনের মতো মনে হবে। 

লঞ্চে যাতায়াতের অনেক সুবিধা রয়েছে। অনেক বড় জায়গা থাকায় যাত্রীরা ভিতরে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে। খাবার ব্যবস্থা ও বাথরুম সুবিধা থাকে। বিভিন্ন ধরনের এসি/নন-এসি কামরাসহ পাটাতন ব্যবস্থা রয়েছে। এতে যাত্রীরা সহজে ঘুমিয়ে যাতায়াত করতে পারে। পানিপথ হওয়াতে লঞ্চে বাসের মতো ঝাঁকুনি থাকে না। অনেক যাত্রী আছে যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত বৃহস্পতিবার অফিস শেষে রাতে লঞ্চে উঠে ঘুম দিয়ে সকালে ফ্রেশ মুডে নিজ জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন। কাজকর্ম ও পরিবার দেখাশোনা করে শনিবার রাতে লঞ্চে চড়ে সারা রাত আরামে ঘুম দিয়ে রবিবার সকালে ঢাকায় কর্মস্থলে যোগদান করছেন। লঞ্চে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আসন/শোবার ব্যবস্থা থাকায় সব ধরনের যাত্রীই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন। বলতে গেলে সারা রাত বাসায় ঘুমিয়ে থাকা বা লঞ্চে ঘুমিয়ে থাকার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। সেন্ট্রাল এসি করা বিলাসবহুল লঞ্চ দিনের বেলা ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে। বুড়িগঙ্গা নদীসহ আশপাশের বড় বড় নদীতে দিনের বেলায় মালামাল পরিবহনের ট্রলারসহ অনেক মাছধরা নৌকা থাকে। সদরঘাটের যাত্রীবাহী বড় বড় অধিকাংশ লঞ্চই রাতে যাতায়াত করায় ঢেউয়ের কারণে নৌকা/ট্রলারের দিনে চলাচলে সমস্যা হয় না।

পুরান ঢাকার গোড়াপত্তন যখন হয়, তখন থেকেই সদরঘাটের অবস্থান। আগে যেখানে সদরঘাট থেকে বড় বড় নৌকা চলত, এখন সেখানে বড় বড় অত্যাধুনিক লঞ্চ চলে। পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে কেরানীগঞ্জের পূর্ব পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে ঢাকার আদি শহর গড়ে উঠেছে। মোগল, ব্রিটিশ আমলের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার নিদর্শনও রয়েছে এই আদি ঢাকায়। এক সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনেক কিছুই পরিচালিত হতো এ অঞ্চল থেকে। ঢাকা শহরের কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু আদি ঢাকার রাস্তাঘাটের আয়তন বাড়েনি। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার, চকবাজার, মিটফোর্ড, ইসলামপুর, বাদামতলী, নর্থ-সাউথ রোড, নওয়াবপুর রোড, ধোলাইখাল ইত্যাদি অঞ্চলে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের হোলসেল মার্কেট এখনো রয়ে গেছে। যেখানে প্রতিদিন রাতে শত শত ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আসে মালামাল লোড-আনলোডের জন্য। দিনের বেলায় আবার পিকআপ, ভ্যান, রিকশায় সেগুলো ডেলিভারি হয়। এ কারণে এতদাঞ্চলে দিনে-রাত্রে অনেকটা স্থবির অবস্থা বিরাজ করে। পুরান ঢাকাকে জীবিত রাখতে হলে এ ধরনের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করা প্রয়োজন।

বুড়িগঙ্গার তীরে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বাকল্যান্ড বাঁধের কথা আমরা সবাই জানি। গাবতলী থেকে ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধের ওপর সুন্দর পাকা রাস্তা নির্মাণ করে বুড়িগঙ্গার বাকল্যান্ড বাঁধের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত রাস্তাটি বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে সদরঘাট হয়ে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর মূল লক্ষ্য ঢাকা শহরের যানজট এড়িয়ে সদরঘাটের সঙ্গে গাবতলীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রক্ষা করা। দিনের বেলায় হকারের দখল, ভাঙারির দোকান, গাবতলী হয়ে আসা ট্রাক/কাভার্ড ভ্যানের মালামাল লোড-আনলোড, বুড়িগঙ্গা দিয়ে নৌপথে আসা মালামালের লোড-আনলোড ইত্যাদি কারণে এই সড়ক অনেকটা বেদখলে থাকে। এ কারণে গাবতলী থেকে সীমিত আকারে বাসের মাধ্যমে যাত্রীরা যানজটের মধ্য দিয়ে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত আসে। অথচ সদরঘাট পর্যন্ত যাতায়াতের সুযোগ থাকা উচিত ছিল। এ সড়কের সবচেয়ে বড় অন্তরায় বাদামতলীর ফলপট্টি। বাদামতলী ফলপট্টিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান আসায় রাস্তাটি অনেকটা মৃত রাস্তায় পরিণত হয়েছে। দিন-রাতের অধিকাংশ সময়ই এখানে অসংখ্য ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান দিয়ে ফল লোড-আনলোডসহ রাস্তার ওপর ব্যবসা করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন যানজট হচ্ছে, অন্যদিকে সারা দিনের ময়লা দিয়ে রাস্তাটিকে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। এদের কারণে আহসান মঞ্জিলের মতো একটি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানের সামনের রাস্তা বর্তমানে নোংরার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ধরনের গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান করা হলেও তা আরও ব্যাপক আকারে করতে হবে। সড়কটিকে যে কোনো মূল্যে সচল রাখতে হবে। ভবিষ্যতে রাস্তাটিকে উদ্ধার করতে হলে হয় সীমিত আকারে ব্যবসা করতে হবে, নয়তো বাদামতলীর ফলের ব্যবসা অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। সম্প্রতি মিটিং করে বিষয়গুলো ফল ব্যবসায়ী সমিতিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহর থেকে সদরঘাটে যাওয়ার মূল পথ জিরোপয়েন্ট, গোলাপশাহ, ফুলবাড়িয়া, বংশাল, রায়সাহেব বাজার, বাহাদুরশাহ পার্ক হয়ে সদরঘাট। এ সড়কের দুই পাশে গুলিস্তানের হকার, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়ার বাস টার্মিনাল, নর্থ-সাউথ রোডের লোহা লক্কর সামগ্রীর হোলসেল ব্যবসা, ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা, ইংলিশ রোডের ট্রাক স্ট্যান্ড, কোর্টপাড়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামপুর মার্কেট, বাংলাবাজার, শ্যামবাজারের মতো বাস্তবতা রয়ে গেছে। বাবুবাজার ব্রিজ ও ধোলাইখাল সড়ক হয়েও যাত্রী সদরঘাটে আসে। নর্থ-সাউথ রোড, ইংলিশ রোড, ধোলাইখাল রোড, নওয়াবপুর রোড এ চারটি সড়ক এক হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে অনেকটা সরু হয়ে বাহাদুরশাহ পার্ক দিয়ে রাস্তাটি সদরঘাটে ঢুকেছে। সুতরাং ঈদের সময় চারদিকের যাত্রী ও গাড়ি এসে যখন কোর্টের সামনে দিয়ে সরু রাস্তায় চাপ দেয় তখন ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়।

ঈদের ছুটিতে সদরঘাটগামী যাত্রীরা মূলত বাসে, রিকশায়, সিএনজি থ্রি-হুইলার, উবার, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারে যাতায়াত করে। ঈদের ছুটিতে অসংখ্য সাধারণ যাত্রী গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যাতায়াত করে। হাতে ও মাথায় অনেকের ভারী লাগেজও থাকে। এত যাত্রী হয় যে, গাড়িগুলোকে সদরঘাট পর্যন্ত পৌঁছানোর উপায় থাকে না। শহর থেকে আসা বাস ও হিউম্যান হলার বাহাদুরশাহ পার্ক চত্বরে দ্রুত যাত্রী নামিয়ে আবার ফিরে যায়। রাস্তা কিছুটা হালকা থাকলে সিএনজি, রিকশা, প্রাইভেটকারকে টার্মিনাল পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। ভিড় বেশি হলে রিকশাসহ সব ধরনের গাড়িকে বাহাদুরশাহ পার্ক থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বাহাদুরশাহ পার্ক থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত যাত্রীদের পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া বিকল্প থাকে না। এ কারণে ঈদের সময় সদরঘাট হয়ে যাওয়া যাত্রীদের লাগেজ ছোট ও কম ওজনের হলে বহন করতে সুবিধা হয়। সম্প্রতি ঢাকা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালকে চারতলা ভবনসহ আরও বড় করেছেন। আগে লালকুঠি ঘাট পর্যন্ত এবং পশ্চিমে ওয়াইজঘাট পর্যন্ত প্রশস্ত হয়েছে। লালকুঠি ঘাট থেকে চাঁদপুর ও বরিশালের দিনের লঞ্চ ছেড়ে যায়। মাঝের প্রধান ঘাট থেকে বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠির লঞ্চ ছেড়ে যায়। পশ্চিমের ওয়াইজঘাট থেকে পাটুয়াখালীর লঞ্চ ছেড়ে যায়। এতে আগের তুলনায় অনেক স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। নির্দিষ্ট লঞ্চঘাটের অবস্থান ও আসা-যাওয়ার দিকনির্দেশনামূলক ব্যানার প্রতি বছর লাগানো হয়ে থাকে টার্মিনালে প্রবেশের মুখেই। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মিডিয়াতেও প্রচার করা হয়।

সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতর ২০১৮-এর ছুটিতে সদরঘাটকেন্দ্রিক নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে যাতায়াত উপলক্ষে সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় ডিএমপির সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কর্মকর্তাগণ বাদেও, নৌপুলিশ, ঢাকা জেলা পুলিশ, নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি, বিভিন্ন পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি, নৌযান মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের সদরঘাট হয়ে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ যাতায়াতের নিশ্চয়তা বিধান করা হয় এ সভায়।

ঈদের সময় সদরঘাটমুখী যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ লক্ষ্য করা যায়। রাস্তা ও ফুটপাথে হকার বসা, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল, নর্থ-সাউথ রোডের দুই পাশের ব্যবসাজনিত গাড়ি পার্কিং, অধিক পরিমাণ রিকশা ইত্যাদি। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্ব পালন করবে বলে সমন্বয় মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়। নর্থ-সাউথ রোডসহ পুরান ঢাকার হোলসেল ব্যবসা ঈদের পূর্বাপর কয়েক দিন বন্ধ থাকবে বলে জানা যায়।

বাহাদুরশাহ পার্ক থেকে সুষ্ঠু পরিবহন নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে অস্থায়ী কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমে পুলিশসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতি এবং সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলরগণের প্রতিনিধিগণ  থাকবেন। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার আলাদা কন্ট্রোলরুম ও বিআইডব্লিউটিএ এর আয়োজনে যৌথ কন্ট্রোলরুম স্থাপিত হয়ে থাকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, নৌপুলিশ, ঢাকা জেলা পুলিশ, র‌্যাব, বিআইডব্লিউটিএসহ বিভিন্ন সংস্থার আলাদা ডিউটি ব্যবস্থা রাখা হয়ে থাকে সদরঘাটে। স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে টার্মিনাল, ইনগেট, গ্যাংওয়ে, পন্টুন, প্রবেশ/বাহির রাস্তা কভার করে সিসি ক্যামেরা মনিটরিং ব্যবস্থা থাকে। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনামূলক তথ্য প্রচারের জন্য কন্ট্রোলরুম থেকে মাইকিং ব্যবস্থা রাখা হয়। লঞ্চের পন্টুনে যখন যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়, মাঝে মধ্যে প্রবেশ গেট ও গ্যাংওয়ে গেট বন্ধ রেখে যাত্রী লঞ্চে উঠে হালকা না হওয়া পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর মাধ্যমে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

ঈদের আগে গুলিস্তান থেকে শুরু করে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তার মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত ট্রাফিক ও ক্রাইম পুলিশ মোতায়েন করা হয়ে থাকে। যানজট নিয়ন্ত্রণপূর্বক সুষ্ঠু চলাচল, দুর্ঘটনা এড়ানো, ছিনতাই/পকেটমার প্রতিরোধ, অজ্ঞান/মলম পার্টি নিয়ন্ত্রণ করাই পুলিশ মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য। ডিএমপির গোয়েন্দা নজরদারিও থাকে এ সময়। সদরঘাট ও এর আশপাশে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও দ্রুত পুলিশিং করার জন্য স্থানীয় বেতার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা রাখা হয়। যেহেতু সম্প্রতি লালকুঠি ঘাটের সামনে বড় ধরনের পার্কিং ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে সুতরাং সদরঘাটের সামনে মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং না করার জন্য ডিএমপি ট্রাফিকের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সব সংস্থার ডিউটির জন্য, যাত্রী আনা-নেওয়ার জন্য, সিএনজি, ট্যাক্সিক্যাব, ব্যক্তিগত গাড়িসহ সব ধরনের গাড়িই পার্কিং ইয়ার্ডে রাখা যাবে। এতে সদরঘাটের সামনের রাস্তার প্রশস্ততা নিশ্চিত থাকবে, যাত্রীদের পায়ে হেঁটে চলাচল, হালকা পরিবহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না। বাহাদুরশাহ পার্ক থেকে শুরু করে বাটা ক্রসিং, সদরঘাট ভিআইপি টার্মিনাল, মসজিদ ক্রসিং, কোতোয়ালি থানা, ইসলামপুর রোড হয়ে পুনরায় বাটা ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তাটি সার্কুলার আকারে ওয়ানওয়ে থাকবে।

ঈদের পর গভীর রাতে যখন যাত্রীরা সদরঘাটে ফিরে আসে তখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বিগত কয়েক ঈদের পর গভীর রাতে যখন ডিউটি তদারকি করি তখন এ বাস্তবতা আমার নিজের চোখেও পড়েছে অনেকবার। রাত ৩টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ফিরতি যাত্রীর চাপ থাকে সদরঘাটে। তখন বাসায় ফিরে যাওয়া সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের মূল মাধ্যম থাকে বাস, সিএনজি ও ট্যাক্সিক্যাব। রাতে অধিক ভাড়া আদায়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বাসগুলো পথিমধ্যের যাত্রীর ভাড়া না নিয়ে ডাইরেক্ট ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের প্রতারিত করে। সিএনজি ও ট্যাক্সিক্যাবের দাপট আরও বেশি। দীর্ঘদিন ধরে গভীর রাতের পুলিশ ব্যবস্থাপনায় তেমন গুরুত্ব ছিল না। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ অব্যবস্থাপনার পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এবারে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির সঙ্গে সভা করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে ওই গাড়িকে সরাসরি মামলা/রেকারিং করা হবে। টার্মিনাল এলাকায় গভীর রাতে কোনো বাস/সিএনজি প্রবেশের ক্ষেত্রেও কোনো চাঁদা যাতে না নেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে সেটি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সদরঘাটে নতুন চারতলা টার্মিনাল করায় এবং জেলাভিত্তিক পন্টুনের এলাকা ভাগ করে দেওয়ায় আগের তুলনায় যাত্রীরা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য পেয়েছে। আগে কোনো কারণে লঞ্চ আসতে দেরি হলে যাত্রীদের অপেক্ষার জায়গায় ঘাটতি পড়ত। এখন চারতলা নতুন ভবনে অনেক স্থান সংকুলান হয়েছে। তবে সদরঘাটের সামনের ও আশপাশের রাস্তার আয়তন বাড়েনি। রাস্তা সরু হওয়ার কারণে ওয়ানওয়ে ব্যবস্থা চালু করায় পরিবহন ও যাত্রী চলাচলে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে বাদামতলী ফলপট্টিকে সীমিত আকারে রাখা বা অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়ে প্রস্তাব করা হচ্ছে। কারণ বাকল্যান্ড বাঁধের বাদামতলী অংশের রাস্তা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানমুক্ত রাখা গেলে সদরঘাটের রাতের যাত্রী নিয়ে বাস, সিএনজি, রিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলার বাহাদুরশাহ পার্ক-সদরঘাট-আহসান মঞ্জিল-বাদামতলী-বাবুবাজার ব্রিজ-তাঁতীবাজার হয়ে সার্কুলার রুটে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারলে ওই এলাকার পরিবহন ও যানজট ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন হবে বলে মনে হয়। এতে সদরঘাটে যাতায়াত করা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য অনেকটা ফিরে আসবে। বিশেষ করে রাতের যাত্রীর ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে বাদামতলীতে রাস্তায় অবৈধভাবে রাখা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলেও এটি যথেষ্ট নয় বলে মনে হয়। উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বাদামতলীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে ভবিষ্যতে সদরঘাটের কৌশলগত স্থানে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের জন্য। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সব ধরনের লঞ্চের আগমন, নোঙর করা, লঞ্চ ছেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএসহ অন্যান্য সংস্থার প্রচেষ্টায় নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী ওঠার পর লঞ্চ ছেড়ে দেওয়া নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। সদরঘাট ও আশপাশে থাকা প্রতিটি লঞ্চে ওয়াকিটকি (বেতারযন্ত্র) সেট দিয়ে টার্মিনাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে লঞ্চ নোঙর করা ও ছেড়ে যাওয়ার বিষয়গুলো সুষ্ঠু ও দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

সদরঘাট টার্মিনাল ও আশপাশের রাস্তা হকারমুক্ত রাখা ও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। এসব স্থান পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা, স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেক নাগরিকের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। রাস্তায় ও নদীতে যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা উচিত। সদরঘাট দিয়ে যাত্রী পরিবহনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা ও উন্নত লঞ্চ আসায় মানুষের স্বাচ্ছন্দ্য আগের  তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলো অবস্থার উন্নতির জন্য নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন। এতে সদরঘাটকেন্দ্রিক যাত্রীসেবার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে বলে আশা করি।

লেখক : জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ)

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৫৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী
চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি
কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত
ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম
বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই
১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন
ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে পলাতক দুই আসামি গ্রেফতার
টেকনাফে পলাতক দুই আসামি গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের
প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভাড়া নিয়ে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই শতাধিক বাস ভাঙচুর
ভাড়া নিয়ে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই শতাধিক বাস ভাঙচুর

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় রিকশাচালকের আসনে পাকিস্তানি অভিনেতা
ঢাকার রাস্তায় রিকশাচালকের আসনে পাকিস্তানি অভিনেতা

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুখস্থ নয়, সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়তে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মুখস্থ নয়, সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়তে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

২৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর

নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে
বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হচ্ছে
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হচ্ছে

নগর জীবন

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ী আকাশ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩
ব্যবসায়ী আকাশ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

নগর জীবন