শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ আপডেট:

সরকার পতনে আন্দোলনের যৌক্তিকতা

মেজর মো. আখতারুজ্জামান (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
সরকার পতনে আন্দোলনের যৌক্তিকতা

এ কষ্ট কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাচ্ছে না। সরকারের নেতা, পাতি নেতা, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সবাই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলছেন বিএনপি নির্বাচনে যাবেই। বিএনপির নেতারাও বলে বেড়াচ্ছেন বিএনপিও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত! ৩০০ আসনের প্রতিটিতে নাকি বিএনপির একাধিক প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নাকি প্রার্থীদের নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে নেমে যাবে!! কথাটি কতটুকু সত্যি তা কারও কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করারও উপায় নেই।  দলের চেয়ারপারসন জেলে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশান্তরিত। যার ফলে তাদের কারও সঙ্গে দলের সিংহভাগ নেতা-কর্মীর যোগাযোগ নেই। যাদের আছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতার চরম ঘাটতি। একেক নেতা একেক রকম করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের খবরাখবর বাজারে ছড়াচ্ছে অথচ প্রকৃত তথ্য জানার কোনো উপায় নেই। বিএনপির সব নেতা-কর্মীর মধ্যে ব্যাপক চাপা গুমোট অবস্থা। পদধারী নেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা কিছু দিনের মধ্যেই আন্দোলন শুরু করে দিচ্ছেন বলে বাগাড়ম্বর করেন। তারা বলছেন অপেক্ষা শুধু মোক্ষম সময়ের। তবে পদধারী নেতারা প্রকাশ্যেই কর্মীদের সামনে স্বীকার করে বেড়াচ্ছেন যে, এই সরকারের বিরুদ্ধে নাকি বেশি দিন আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়। আন্দোলন করতে হবে স্বল্প সময়ের জন্য। তাই তারা অপেক্ষা করছে মোক্ষম সময়ের জন্য এবং এই মোক্ষম সময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাকি অপেক্ষা করতেও বলেছেন এবং সময় হলে তিনিই নির্দেশ দেবেন তখন আমরা সবাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব।

এখন এই অর্থহীন কথাগুলোর সত্য-মিথ্যা যাচাই করা বা আলোচনা করা বা কারও সঙ্গে শেয়ার করার কোনো সুযোগ নেই। তারা সবাই দেশমাতার মুক্তি আন্দোলনের কথা মুখে মুখে বলছে কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে নির্বাচন প্রস্তুতির। দলের কর্মীরা দিকভ্রান্ত। কর্মীরা কার কথা শুনে কোন দিকে যাবে? দলের তৃণমূল নেতারা সামনে দেশমাতার মুক্তি ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ডা নিয়ে চিন্তা করতে রাজি না। অন্য কোনো অংক তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বোঝে না। কিন্তু তারা সবাই প্রায় নেতৃত্বহীন। নেতারা বিভিন্ন হিসাব নিয়ে ব্যস্ত!!! নেতাদের যোগাযোগ নেই, দলের চেয়ারপারসন জেলে বন্দী থাকার কারণে, যোগাযোগ নেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দূরদেশে থাকার কারণে। যেসব নেতার টাকা আছে, সামর্থ্য আছে দূরদেশে যোগাযোগ করার জন্য তারা উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে। সব কিছুই বা সবাই, শত্রু মিত্র সবাই তাদের নিয়ন্ত্রণে। রাজনীতি তাদের কাছে ব্যবসার পণ্য। যে যেভাবে পারে সেই পণ্য বাজারজাত করছে। তারা পদের পাগল। মেম্বার, চেয়ারম্যান, মেয়র, সংসদ সদস্য তাদের কাছে স্বপ্নের পরী। সেই পরী ধরার জন্য তারা রাজনীতির আকাশে বিচরণ করে। তারা শুধু পরী চায়। রাজনীতি কি, কেন বা কার জন্য তার ধার তারা ধারে না। আজকে আমাদের চরম দুর্ভাগ্য এই পরী লোভী স্বপ্নচারীরা আমাদের নেতা যাদের আমরা বিগত সময়কাল থেকে দলে বিভিন্ন স্তরে ও অঙ্গসংগঠনে টাকা ছড়িয়ে পদ দখল করার বাণিজ্যে উৎসাহিত করেছি।

দলে এখন মূল আলোচনা দেশমাতার মুক্তি আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে। তিন ভাগে বিভক্ত এই আলোচনা। প্রথম ভাগে সব নেতার মূল বক্তব্য হলো— দেশমাতার মুক্তির আন্দোলন ও একই সঙ্গে নির্বাচন। দ্বিতীয় ভাগে হলো আন্দোলন ফান্দোলন বাদ দিয়ে এখনই নির্বাচনে নেমে পড়া। আর তৃতীয় ভাগ হলো সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গোষ্ঠী বা শক্তির মধ্যস্থতায় বর্তমান সংসদ ভেঙে নির্বাচনে যাওয়া।

তবে যারা আন্দোলনের কথা বলেন, তাদের বক্তব্য হলো শুধু দেশমাতার মুক্তির কথা বললে তাদের মতে দেশের জনগণ সেই আন্দোলনে এগিয়ে নাও আসতে পারে। তাই তারা দেশমাতার মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলন ও অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়ে একটি ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলা যাতে একসঙ্গে দেশমাতার মুক্তি এবং সরকারের পতনও করানো যায়। লক্ষ্য খুবই আদর্শিক কিন্তু বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। করতে পারলে খুবই ভালো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই গণআন্দোলন করে তুলতে হলে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ইস্যুর প্রয়োজন পড়ে এবং সেই ইস্যু গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য শুধু জনসমর্থন নয়, তা বাস্তবায়নের জন্য একটি অতি নিবেদিত তরুণ ও পেশাজীবী সংগঠন দরকার। যে কোনো সফল আন্দোলনের জন্য প্রথমেই দরকার তরুণ বা ছাত্রসমাজের ভূমিকা। একটি চৌকস এবং আক্রমণাত্মক সেনাবাহিনীর জন্য যেমন প্রয়োজন তরুণ টকবগে সৈনিক তেমনি আন্দোলনের জন্য দরকার শিক্ষারত তরুণ ছাত্রের যারা প্রতিদিন তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকে ফলে অতি সহজে ছাত্রদের রাস্তায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠরত ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সরাসরি সম্পৃক্তা থাকে ফলে ছাত্রদের বিপদে আপদে যেমন শিক্ষকরা শক্তিশালী ভূমিকা রাখে তেমনি ছাত্রদের আন্দোলনও উপদেশ পরামর্শ দিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের সঠিক পথে পরিচালিত করে থাকে। ক্যাম্পাস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে বা অছাত্ররা সব সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা গোয়েন্দাদের নজরে নজরে থাকে, যার ফলে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে তারা সব সময় যোগাযোগ রাখতে পারে না। এ ছাড়া অছাত্ররা সামাজিক অপরাধ ও রাজনৈতিক নেতা-নেতৃত্বের লেজুড়বৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে যার ফলে পাঠরত ছাত্ররা কখনই অছাত্রদের নেতৃত্ব বা কর্তৃত্ব মেনে নেয় না। ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের অত্যাবশ্যক শর্ত হলো নেতা-কর্মীদের অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ছাত্র হতেই হবে যার কোনো বিকল্প নেই। সরকারি দলে বাবা দাদা ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী হতে পারে কিন্তু সরকারবিরোধী কোনো ছাত্র প্রতিষ্ঠানে কোনো অবস্থাতেই অছাত্র ছাত্রনেতা বা কর্মী হওয়ার সুযোগ নেই। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত বিরোধী রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের অছাত্রদের যুব বা অন্য সমমর্যাদার সংগঠনে ছড়িয়ে দিয়ে শুধু পাঠরত ছাত্রদের দিয়ে ছাত্র সংগঠন না সংগঠিত করা হবে ততদিন পর্যন্ত অছাত্রদের ছাত্র সংগঠন দিয়ে কোনো ধরনের আন্দোলন করানো তো দূরের কথা বরঞ্চ এই অছাত্রদের ছাত্র সংগঠন আন্দোলনের প্রতিবন্ধক হিসেবে যে কোনো আন্দোলনের ক্ষতি করবে। তাই বর্তমানে সরকারবিরোধী মূল রাজনৈতিক দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠনের যে সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের অবস্থা তাতে সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন তো দূরের কথা দেশমাতার মুক্তি আন্দোলন করানোও সম্ভব নয়। এটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে চরম বাস্তবতা।

আন্দোলনের জন্য অপরিহার্য যে শক্তি তা হলো শ্রমিক তথা শ্রমজীবী মানুষের সংগঠন। আজকের আর্থ-সামাজিক ও শ্রম বাজারের আলোকে এখন শুধু মিল কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাই শ্রমজীবী নয়। মিল কারখানার পাশাপাশি রয়েছে বিশাল বিশাল সেবা ও কর্ম করার প্রতিষ্ঠান যেখানে কায়িক পরিশ্রমের শ্রমজীবীর পাশাপাশি বিশাল পরিমাণ সেবাদানকারী ও কর্মজীবী মানুষ যারা দেশের আর্থ-সামাজিক ও উৎপাদনের বিশাল কর্মযোগ্যে নিয়োজিত। এই বিশাল কর্মজীবী মানুষ সরাসরি কোনো রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে না কিন্তু তারা রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। যারা পরোক্ষভাবে দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই বিশাল কর্মজীবীরা সরাসরি রাজনীতি না করলেও রাজনীতিতে রয়েছে তাদের বিশাল প্রভাব। প্রতিটি কর্মজীবী প্রতিষ্ঠানের রয়েছে তাদের নিজস্ব পেশাভিত্তিক সংগঠন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন কোনো কোনোটি এত শক্তিশালী যে সরকারকেও তাদের কথা শুনতে হয়, না হলে সত্যিকার অর্থেই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাছাড়া গার্মেন্টভিত্তিক মেগা শিল্প প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান যেখানে লাখ লাখ শ্রমজীবী নারী-পুরুষ কাজ করে। এই বিশাল শ্রমজীবীরা প্রত্যক্ষভাবে কোনো রাজনৈতিক দল না করলেও সরকারের ভারসাম্য রক্ষায় এদের বিশাল প্রভাব রয়েছে। তাছাড়া সরকারের দরকষাকষি করার মতো রয়েছে তাদের প্রভাবশালী সংগঠন যাদের সঙ্গে আপস করে চলতে সরকার বাধ্য হয়। এই কর্মজীবী ও শ্রমজীবীদের পাশাপাশি রয়েছে দেশব্যাপী বিস্তৃত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন যেমন মত্স্যজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, মোটরযান শ্রমিক, কুলি মজদুর এমনি অজস্র পেশাজীবী সংগঠন যারা যে কোনো আন্দোলনের পক্ষে বিশাল একটি সহায়ক শক্তি।

বর্তমানে দেশের বিশাল অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কারণে দেশে গড়ে উঠেছে ব্যবসাভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন। ছোট ছোট বাজারের দোকানদার সমিতি থেকে শুরু করে এফবিসিসিআই নামে বিশাল ক্ষমতাশালী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। রয়েছে ব্যাংক মালিকদের পরাক্রমশালী ক্ষমতাধর সমিতি যেখানে সরকারবিরোধীদের টুঁ শব্দ করার ক্ষমতা নেই। এ ব্যাংক মালিকদের পরোক্ষ সমর্থন বা ইশারা ছাড়া সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনে সফলতার চিন্তা যদি কেউ করে তাহলে সে বোকার স্বর্গে বাস করছে বলেই মনে হবে। সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন করতে হলে অবশ্যই এ অসীম ক্ষমতাধর ব্যাংক মালিকদের সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি দফা-রফায় আসতেই হবে। শুধু রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে আন্দোলনে সফলতা আনা এখন খুবই কঠিন বলেই অনেকের ধারণা।

একটি শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হলে যে পটভূমিকা ও আন্দোলনের ইতিবাচক রাজনৈতিক এবং আর্থসামাজিক অবস্থার প্রয়োজন পড়ে তা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির অনুকূলে নেই। এ মুহূর্তে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন বা এমনকি দেশমাতার জন্য ন্যূনতম আন্দোলন করতেও অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এগিয়ে আসবে না। তাদের সঙ্গে আন্দোলনের ব্যাপারে আলোচনা করা মানে এ ক্রান্তিকালের মহামূল্যবান সময় নষ্ট করা। কাজেই আন্দোলন ও নির্বাচন একসঙ্গে হবে না এবং এ মুহূর্তে হওয়ার সুযোগ নেই।

বর্তমান অবস্থায় আন্দোলন ও নির্বাচন একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া বাস্তবসম্মত কর্মসূচি নয় বলেই অনেকে মনে করে। তাই আন্দোলনের কথা আপাতত স্থগিত রেখে নির্বাচনের পথে হাঁটতে হবে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে। কারণ সরকার চাচ্ছে বর্তমান সংসদ রেখে নির্বাচন দিতে যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। সংসদ রেখে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে যাওয়ার চেয়ে না যাওয়া হাজার গুণ ভালো। কারণ তখন সরকারের সঙ্গে আঁতাত না করে নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনে যাওয়া মানে হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে যাওয়া এবং নিজেকে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে দেওয়া। তার চেয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কাজেই সংসদ বহাল রেখে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অনেকে চাইবে না যদিও রাজনীতিতে লোভী মানুষের ভিড় বেশি!

বাকি থাকল তৃতীয় পথ অর্থাৎ সংসদ ভেঙে যদি সরকার নির্বাচন দেয় তাহলে সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায় কিনা। অনেকে মনে করেন দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচনে যাওয়া যায় যদি সরকার চলমান সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী বছরের প্রথমদিকে নির্বাচন দেয়। তবে সরকারকে অবশ্যই অঙ্গীকার করে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে ওই নির্বাচনে সরকার সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিরপেক্ষ রাখবে এবং বিরোধী দলকে আজ থেকে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরবর্তী এক মাস কোনো হয়রানি করবে না এবং এ সময়ে পুলিশ কোনো রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করতে পারবে না। যদি গ্রেফতার করার প্রয়োজন হয় তাহলে সে লক্ষ্যে প্রতিটি থানায় বিপরীতমুখী দুই দল বা জোটের স্থানীয় সভাপতি দিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিতে হবে, যারা দলীয় কর্মীদের যথাযথ প্রত্যয়ন দেবে এবং তাদের উভয়ের যৌথ পূর্বানুমতি নিয়ে প্রয়োজনে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে। সবার কাছে নিরাপদ এমন একটি অবস্থা সরকার তৈরি করে দিলে জনগণ মনে করে অনেকেই নির্বাচনে আসবে এবং তখনই শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের ভোটে ক্ষমতার পালাবদল সম্ভব হবে।

আন্দোলন নয়, আলোচনার মাধ্যমেই জাতীয় সব সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বন্দী অবস্থায় দেশমাতা খালেদা জিয়ার আজকে পাঁচ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনোভাবেই দেশমাতাকে মুক্ত করে আনা যাচ্ছে না। এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে কেউ দায়ী নয়। বিভিন্ন বাস্তবতায় দেশমাতার জেলে যাওয়াতে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও পরবর্তী নেতৃত্বের দূরে থাকার কারণে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করার মতো কোনো সাহসী নেতা না থাকার কারণে দেশমাতার মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে। কোনো নেতা স্থানীয়ভাবে একা দায়িত্ব নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রভাবশালী সংগঠন বা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে বা আলোচনা করতে পারছে না, যার কারণে অনেক ব্যক্তি বা সংগঠন দেশমাতার মুক্তির ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসছে না। যার ফলে সমমনা বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এখন এমন কোনো নেতা নেই যিনি সাহস করে বলবেন দলের চেয়ারপারসন কারারুদ্ধ হওয়ার কারণে দেশে অনুপস্থিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে এখন চলবে না। দেশে একজন পূর্ণ ক্ষমতাশালী নেতৃত্ব দরকার যিনি তার প্রজ্ঞা, মেধা, সাংগঠনিক ক্ষমতা ও বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা শক্তির সঙ্গে দায়দায়িত্ব নিয়ে দেশমাতার মুক্তি নিশ্চিত করতে নিজ দায়িত্বে কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন। রাজনীতি হলো কৌশল এবং বুদ্ধির খেলা। এখানে মুহূর্তে মুহূর্তে নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে হয় সেখানে অনুপস্থিত নেতা যতই মেধা বা বুদ্ধিশালী হোক না কেন, তা কাজে আসবে না। নির্বাসিত নেতার প্রতি দলের কারও আনুগত্যের অভাব নেই। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করা সময়ের দাবি। দলে অনেক দক্ষ, মেধাবী ব্যক্তি যারা নেতা ও দলের প্রতি বিশ্বস্ত আছেন এমন কাউকে সর্বময় ক্ষমতাসহ দায়িত্ব দিলে অবশ্যই একটি ফলাফল আসবে বলে অনেকের বিশ্বাস। দেশমাতার অজস্র সমর্থনকারী আছে যারা জীবন দিতেও পিছপা হবে না, কিন্তু নির্দেশের অপেক্ষায় তারা কিছু করতে পারছেন না। মাঝখান দিয়ে সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ মাস চলে গেছে। আগামী সাত মাসের মধ্যে যদি কোনো কিছু ইতিবাচক না করা যায় তাহলে দেশমাতাকেও মুক্ত করা যাবে না এবং তারেক রহমানও অদূর ভবিষ্যতে দেশে হয়তো আর আসতে পারবেন না। সব শেষ হয়ে যাবে। জিয়ার নাম মুছে যাবে। হয়তো আমাদের আবার নতুন করে শুরু করতে হবে কিন্তু সে সুযোগও পাব কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই। তাই জনগণ মনে করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধ্যান-ধারণা একটি প্রতিক্রিয়াশীল অশান্তিপূর্ণ রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা কখনই আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কাম্য হতে পারে।  এ তথাকথিত আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজনীতি আর ফায়দা লুটে পুলিশ, প্রশাসন ও আমলা। এ মরণ খেলার অবসান জনগণ চায়।  জনগণ মনে করে সরকার পরিবর্তন শুধু নির্বাচনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।  তাই সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকার একটি অর্থবহ নির্বাচন দেবে, যা অংশগ্রহণমূলক হবে বলে জনগণের প্রত্যাশা।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ
ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ

এই মাত্র | ভোটের হাওয়া

দুই দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন ৩১ প্রার্থী
দুই দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন ৩১ প্রার্থী

৪৩ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

জামালপুরে ইয়াবাসহ নারী আটক
জামালপুরে ইয়াবাসহ নারী আটক

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে
বরিশালে অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘ভুয়া ভিডিও’ সম্পর্কে সচেতন হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
‘ভুয়া ভিডিও’ সম্পর্কে সচেতন হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

এবার ১০ গোলে বাংলাদেশের হার
এবার ১০ গোলে বাংলাদেশের হার

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব
কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব

১৯ মিনিট আগে | পরবাস

গৌরনদীতে তিন মরদেহ উদ্ধার: দুটি হত্যা, একটি আত্মহত্যা
গৌরনদীতে তিন মরদেহ উদ্ধার: দুটি হত্যা, একটি আত্মহত্যা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা
চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনা-বরিশাল বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
খুলনা-বরিশাল বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতা গ্রেফতার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতা গ্রেফতার

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা, গ্রেফতার ৬
গোপালগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা, গ্রেফতার ৬

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি
রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন

৩৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

জুলাই সনদ আদেশ সংশোধন করে কেবল মতৈক্যের বিষয়গুলো গণভোটে দিন: সাইফুল হক
জুলাই সনদ আদেশ সংশোধন করে কেবল মতৈক্যের বিষয়গুলো গণভোটে দিন: সাইফুল হক

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

৪২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেললাইনে গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেললাইনে গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা

৪৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশরাফুল হত্যা: ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোপালপুর
আশরাফুল হত্যা: ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোপালপুর

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

৩০ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
৩০ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

৫১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মতভেদ ঐক্য ভাঙবে না: তুলি-আরমান
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মতভেদ ঐক্য ভাঙবে না: তুলি-আরমান

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

নির্বাচনে যারা পেশি শক্তি দেখাবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে : ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচনে যারা পেশি শক্তি দেখাবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে : ইসি সানাউল্লাহ

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৫৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে ‘পদোন্নতি বঞ্চিত’ প্রভাষকদের কর্মবিরতি পালন
নীলফামারীতে ‘পদোন্নতি বঞ্চিত’ প্রভাষকদের কর্মবিরতি পালন

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি কর্মী আটক
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি কর্মী আটক

৫৭ মিনিট আগে | পরবাস

টি-টেন লিগে দল পেলেন তাসকিন
টি-টেন লিগে দল পেলেন তাসকিন

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি
আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা