মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

টাকা ছাড়া হয় না কাজ

অবৈধ লেনদেনের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ । ৩৭ খাতের নাগরিক সেবা কিনে নিতে হয় । নিয়োগ, বদলি, পোস্টিং, পদোন্নতি, ছুটি পেতেও টাকা লাগে । স্বাস্থ্য অধিদফতর, ওষুধ প্রশাসন, শিক্ষা সেক্টরে সিন্ডিকেটই সর্বেসর্বা । বিমানে ঘুষ লাগে ৬০ ঘাটে । বিআরটিএর সিন্ডিকেট অপ্রতিরোধ্য । সাব-রেজিস্ট্রার বদলিতে কোটি টাকা লেনদেন

সাঈদুর রহমান রিমন

টাকা ছাড়া হয় না কাজ

টাকা আর তদবির ছাড়া কোথাও কোনো কাজ হচ্ছে না। হয় চাহিদামাফিক টাকা দিয়ে কাজ সম্পাদন করতে হবে, নয় তো থাকতে হবে শক্তিশালী তদবির। আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা-তদবির দুটোই লাগে। সরকারের প্রশাসনে, দফতর-অধিদফতরের সর্বত্রই চলছে একচেটিয়া ঘুষের রাজত্ব। ঘুষের বাড়তি টাকা ছাড়া কোথাও কোনো কাজ হচ্ছে না। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে লাজলজ্জা থাকলেও অধস্তন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পর্যন্ত অভিন্ন সুরেই কথা বলেন, ‘কড়ি ফেলো বাজনা শোনো, টাকা দাও নাচ দেখো।’ কাগজপত্র যতই সঠিক থাকুক, দাবি যতই ন্যায্য হোক— টাকা ছাড়া কাজ হবে না। এমনকি আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতেও টাকার দাবি পূরণ করতে হচ্ছে। নাগরিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা পেতেও আগে ঘুষ দিতে হচ্ছে। ঘুষের টাকা না দিলে প্রাপ্য সেবাটুকুও ভাগ্যে জুটছে না। সরকারি ত্রাণের ভিজিএফ কার্ড আর দান-খয়রাতের গম পেতেও দায়িত্ববানদের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। অন্যথায় দুস্থজনের তালিকায় নামটাও লিপিবদ্ধ হবে না। সরকারের উচ্চমহল থেকে দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই অবৈধ লেনদেন ‘প্রাতিষ্ঠানিক রূপ’ পেয়ে বসেছে। বৈধ প্রশাসনিক সহায়তা পেতে, পুলিশি সাহায্য নিতে এমনকি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানাতে হলেও চাহিদামাফিক টাকা দিতে হচ্ছে। টাকা দিয়ে কথা বলো, চাহিদা পূরণ করে প্রতিকার পাও— এমন পরিস্থিতি চলছে মন্ত্রণালয়, অধিদফতর থেকে গ্রামীণ পর্যায়ে বিস্তৃত কাঠামোর সব ইউনিটে। সর্বত্রই ঘুষের দৌরাত্ম্য বিদ্যমান। অর্থ ছাড় পেতে এক মন্ত্রণালয় ঘুষ দিয়েছে অন্য মন্ত্রণালয়কে— এমন নজিরও আছে দেশে। সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশন তুলতেও আরেক সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়।

গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসার পানি থেকে শুরু করে নাগরিক সেবার অন্তত ৩৭টি খাতের ন্যূনতম সেবাও চাহিদামাফিক টাকা      দিয়েই কিনে নিতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকাণ্ড ইদানীং পুরোটাই ঘুষনির্ভর হয়ে ওঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসন, কাস্টমস, পুলিশ, সার্ভিস সেক্টরে ঘুষ হচ্ছে ওপেন সিক্রেট। পুলিশ থেকে নানা পেশার কর্মকর্তার একটি বড় অংশই ঘুষ-দুর্নীতি, বাড়তি টাকা আয়ের কল্যাণে বিত্তশালী হয়ে উঠছেন। পুলিশ শুধু ভুক্তভোগী, বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েই ক্ষান্ত থাকছে না, পদস্থ কর্মকর্তাদের কব্জা থেকে নিজ বিভাগের পুলিশ সদস্যরাও বিন্দুমাত্র ছাড় পাচ্ছেন না। পুলিশে নিয়োগ, বদলি, পোস্টিং, পদোন্নতি এমনকি ছুটি প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেরাও মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদানে বাধ্য হচ্ছেন। কোথাও কোথাও মাসিক হারেও ঘুষ প্রদানের নজির আছে। আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা থানায় থানায় মাসিক হারে টাকা দিয়ে তবেই গ্রেফতারমুক্ত থাকতে সক্ষম হন। অপরাধ-অপকর্ম, মাদক বাজার, নারী বাণিজ্য, জুয়া বাণিজ্য বহাল রাখতেও ঘাটে ঘাটে মাসিক এমনকি সাপ্তাহিক হারেও টাকা ধার্য করা আছে। স্বাস্থ্য সেক্টরের তৃণমূল পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত টাকা লেনদেন রীতিমতো বৈধতা পেতে বসেছে। সেখানে রাখঢাকের কোনো বালাই নেই। স্বাস্থ্য শিক্ষা তথা মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগী ভর্তি, অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ, সার্টিফিকেট প্রদান এমনকি রোগীর লাশ ছাড় প্রদানের ক্ষেত্রেও চাহিদামাফিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য সেক্টরে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, বিদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমোদন পেতেও মোটা অঙ্কের টাকা লাগে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে সরকার আসে সরকার যায়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও বদল হয়; কিন্তু নিত্যনতুন সিন্ডিকেট বহাল থাকে বছরের পর বছর। সাত সদস্যের সিন্ডিকেট ঠিকাদার গ্রুপের সঙ্গে গোপন আঁতাত গড়ে গোটা স্বাস্থ্য অধিদফতর লুটপাট করে খাচ্ছে। তাদের অপরাধ সিন্ডিকেট ভাঙার সাধ্য যেন কারও নেই। ওষুধ প্রশাসনে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে আরেকটি সিন্ডিকেট। এই গ্রুপের অবৈধ চাহিদা না মিটিয়ে সেখানে বৈধ কোনো কাজ করারও সাধ্য নেই কারোর। অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা আর ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেক্টরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে শিক্ষা খাত। সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ, বদলি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদনপ্রাপ্তি, এমপিওভুক্তিকরণ, শিক্ষকের পেনশন তোলা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে টাকার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা ভবনে যে কোনো কাজের জন্য হাজির হলেই যেন রেহাই নেই, টেবিলে টেবিলে টাকা গুনে দিয়ে তবেই শিক্ষকদের নিস্তার মেলে। এসব শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে নানা খাতে, ফন্দিফিকিরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই সেই টাকা তুলে নিতে বাধ্য হন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ভুক্ত সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বিআরটিএতে সরকারি ফি পরিশোধের আগে ঘুষের টাকা পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক বিধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে পিয়ন-দারোয়ান থেকে শুরু করে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যন্ত সব শাখাতেই শ্রেণিমাফিক ঘুষ দিয়ে তবেই কাজ হাসিল করতে হয়। বিমানের কার্গো থেকে পণ্য ছাড়াতে ঘুষ লাগে ৬০ ঘাটে! ঘুষের এ হার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার বেশি। জরুরি হলে গুনতে হয় দ্বিগুণের বেশি। ঘুষ ছাড়া কোনো পণ্য বের হওয়ার নজির নেই। বাংলাদেশ বিমান, কুরিয়ার সার্ভিস আর কাস্টমসের একটি সিন্ডিকেট এই ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুষ প্রদানে অনীহার কারণে একটি ফ্লাইট অবতরণের পর ২০-২৫ দিনের আগে পণ্য খালাস সম্ভব হচ্ছে না। ছাড় না পাওয়ায় পণ্যগুলো বিমানবন্দরের রানওয়ের খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে পচতে থাকে। এই সুযোগে একটি সিন্ডিকেট কার্টন ভেঙে, পলিথিন খুলে হামেশা চুরি করে নিয়ে যায় শত শত কোটি টাকার মূল্যবান পণ্য। রাজধানীর সেবা খাত বিশেষ করে সিটি করপোরেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসার প্রতিটি কর্মকাণ্ডের ধাপে ধাপে শুধু ঘুষের ছড়াছড়ি। সরকারি সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহে ন্যক্কারজনক ঘুষের প্রচলন সেবাগ্রহীতাদের পদে পদে বিপাকে ফেলছে। সরকারি সব সেক্টরেই নিয়োগ, বদলি, পোস্টিং— প্রতিটি ক্ষেত্রেই লাখ লাখ টাকা লেনদেন এখন খোলামেলা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে পুলিশ কনস্টেবল ও সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ে নিয়োগ নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুষের যে মেলা বসে তা নজিরবিহীন। ঘুষ লেনদেন ও ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে অনেক জেলায় এসপি ও এমপিদের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু নিয়োগ নয়, লোভনীয় স্থানে পোস্টিং পাওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে আলাদা রেট। সাব-রেজিস্ট্রার বদলি-পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে কোটি টাকা লেনদেনের অবিশ্বাস্য ঘটনাও জানা গেছে। দেশের যে কোনো এলাকা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী, সাভারসহ বিশটি স্থানে সাব-রেজিস্ট্রারের পোস্টিং রেট এখন কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ার থেকে শুরু করে গ্রামীণ পর্যায়ের তহসিল অফিসও ঘুষের আখড়া হয়ে উঠেছে। নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সরাসরি দায়বদ্ধ এর মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অন্যতম। অথচ প্রতিষ্ঠানটি ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে এখন সমসাময়িক সব প্রতিষ্ঠানকে ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে জায়গা ক্রয়, প্লট বরাদ্দ, হস্তান্তর, লেআউট অনুমোদন, প্ল্যান পাস থেকে শুরু করে সব খাতে চাহিদামাফিক টাকা পরিশোধ করে তবেই প্রাপ্তিটা মেলে। রাজউকে ইদানীং ঘুষ লেনদেন এতটাই বৈধতা (!) পেয়ে গেছে যে, বেশির ভাগ দফতরের কাজের ধরন অনুযায়ী কত টাকা ঘুষ দিতে হবে তা ভুক্তভোগীদেরও মুখস্থ রয়েছে। রাজধানীর থানাগুলোয় টাকা ছড়াছড়ির পাশাপাশি মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাটেরও বাজার বসে যেন। নানা ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ভুক্তভোগীদের পকেটের টাকা, মানিব্যাগ, দামি মোবাইল ফোন সেট, ব্যবহূত দামি মোটরসাইকেল মুহূর্তেই লাপাত্তা হয়ে যায়। সাব-ইন্সপেক্টর, এএসআই এমনকি অসংখ্য পুলিশ কনস্টেবলও তিন-চার লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে চলাফেরা করেন। টাকার ছড়াছড়িতে সবকিছুই সম্পাদন হচ্ছে আলাদিনের চেরাগ স্টাইলে। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন লাইন পেতে দিতে হয় ঘুষ। পোস্ট অফিসে বেশি চিঠি নিয়ে গেলে, ফেরি পারাপারে টেন্ডারে কাজ পেতে, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য বাজারজাত করতে, দালান তৈরিতে রাজউকের অনুমোদন পেতে ঘুষের কোনো বিকল্প নেই। সরকারি যেসব দফতর-অধিদফতরে টেন্ডার কার্যক্রম সচল রয়েছে সেগুলোয় টাকার লেনদেন এখন ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানির লেনদেনকেও ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রকৌশল দফতর, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, রাজউক, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ডেসকো, স্বাস্থ্য অধিদফতরে নিয়মিত বসছে ঘুষ বাণিজ্যের আসর। উত্তরা ওয়াসার অনিয়মের শেষ নেই। বিআরটিএ’র উত্তরা কার্যালয়ে দালালবিরোধী অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় শীর্ষ দালাল লিটন পাইককে। ওই সময় বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশারের ভ্রাম্যমাণ আদালত লিটনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে লিটন স্বীকার করেন, তিনি অফিসের সহকারী পরিচালক সুব্রত কুমার দেবনাথসহ বড় কর্তাদের হয়ে ঘুষ আদায় করতেন। কোন কর্মকর্তা গাড়িপ্রতি কত টাকা ঘুষ নেন তাও জবানবন্দিতে জানান লিটন। এ ঘটনায় বিআরটিএর উপপরিচালক তপন কুমার নাথকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটি উত্তরা সার্কেলের চার কর্মকর্তাসহ অভিযুক্ত ছয়জনকেই অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়ার সুপারিশ করে।

অন্য পাতায় ঘুষের রেট চার্ট

ক্ষেত্রসমূহ নিয়মমাফিক যা লাগে  ঘুষ বাবদ যা লাগে   

সরকারি স্কুলে ভর্তি    সব মিলিয়ে ১০০০ টাকা     ৩-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি    ১২ হাজার+সেশন ফি  ৫-৬ লাখ টাকা

সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি ৩ লাখ টাকা  ১২-১৫ লাখ টাকা   

পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি     কোনো টাকা লাগে না  ৬ লাখ টাকা 

পুলিশের এসআই চাকরি  ০০০  ১২ লাখ টাকা

পছন্দসই স্থানে পোস্টিং পেতে  ০০০  ২-১০ লাখ টাকা    

পেন্ডিং মামলায় আসামি করাতে ০০০  ১০-১৫ হাজার টাকা 

সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে  ১০ টাকা ফি  ২০০০ টাকা  

জরুরি পাসপোর্ট করাতে ৬০১০ টাকা   ১০,০০০ টাকা

আমদানিকৃত পণ্য খালাসে     নিয়মমাফিক ফির সঙ্গে  ১৫-২০ হাজার টাকা 

রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে লোন পাসে খরচ লাগে না ১৫% অগ্রিম ঘুষ    

শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে     ৩৪৫ টাকা    ৫০০০ টাকা ঘুষ    

থানায় জিডি করতে    কোনো টাকা লাগে না  ৩০০-৫০০ টাকা    

নির্ধারিত স্থানে সাব-রেজিস্ট্রার বদলি    ০০০  ৮০-৯০ লাখ পর্যন্ত   

কর্মজীবী হোস্টেলের সিট পেতে মাসে ৭০০-১১০০ টাকা সুযোগ পেতে ২০ হাজার

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর