সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

পর্যটক আসছেন না সুবলং ঝরনায়

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পর্যটক আসছেন না সুবলং ঝরনায়

কলকল ঝরনার শব্দ আসে পাহাড়ের বুক চিরে। প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ে ঝরনার পানি। বর্ষার কারণে এখন ভরা যৌবনা সুবলং ঝরনা। চারদিকে সবুজ সমারোহ। মাঝখানে টলটলে কাপ্তাই হ্রদ। সেই হ্রদের ঘেঁষে পাহাড়ের কোল বেয়ে নেমে এসেছে অপূর্ব সুন্দরী সুবলং পাহাড়ি ঝরনা। একটা সময় এ ঝরনাধারার পানিতে গা ভিজিয়ে আনন্দে হারিয়ে যেতেন ভ্রমণপিপাসু নারী-পুরুষ। কিন্তু এখন ভিন্ন চিত্র। বর্ষা আছে, ঝরনা আছে- কিন্তু নেই কেবল পর্যটক। খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, এখন ঝরনায় নেই আগের মতো আনন্দ উৎসবের জোয়ার। পাহাড়ধস সব কেড়ে নিয়েছে। পর্যটন শিল্পে নেমেছে ধস। বিপাকে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বেকার সময় পার করছেন স্থানীয় ট্যুরিস্ট বোট চালকরাও। রাঙামাটি শহর থেকে ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে সুবলং ঝরনা। প্রত্যন্ত বরকল উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় এর অবস্থান। দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে এ ঝরনা। এর শীতল ও চঞ্চলা জলধারা সব পর্যটককেই কাছে টানে। কারণ ঝরনা পথে দেখা মেলে এলোমেলো সারিতে সাজানো উঁচু-নিচু ছোট বড় অসংখ্য পাহাড়। যেদিকে চোখ যায় স্বচ্ছ পানি আর বিস্তীর্ণ সবুজের হাতছানি। দিগন্তজুড়ে বিস্তৃত সবুজের সমারোহ। আঁকাবাঁকা কাপ্তাই লেক। চারদিকেই জলধারা। কাপ্তাই লেক মিশেছে প্রকৃতির সঙ্গে অপরূপ সাজে। দেখলে মনে হয় যেন কোনো এক শিল্পী তার তুলিতে এঁকেছেন জীবন্ত এক চোখ জুড়ানো ছবি। তারই মধ্যে সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে সুবলং ঝরনাধারা। এ ধারা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসতেন হাজার হাজার পর্যটক। জমজমাট হয়ে উঠত সুবল ঝরনা এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু এখন বর্ষার ভরা মৌসুমেও বেকার সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা। রাঙামাটি সুবলং ঝরনা স্পট ইজারাদার জয় চাকমা জানান, সম্প্রতি রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে পাহাড়ধসের ঘটনায় তছনছ হয়ে গেছে পুরো রাঙামাটি। ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল রাঙামাটি। তাই পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেছে। সুবলং ঝরনা স্পর্ট নিয়ে ব্যবসায়ীদের এখন মাথায় হাত। কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার মতো টিকিটও বিক্রি হচ্ছে না। স্থানীয় কিছু কিছু পর্যটক সুবল ঝরনাা দেখতে আসলেও, আসছেন না দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর