পাখির অভয়াশ্রম নীলফামারীর ‘নীলসাগরে’ পাখির নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আবাসস্থল তৈরি করে দিচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাটির হাঁড়ি গাছে গাছে বসানো শুরু হয়েছে।
জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোড়গ্রাম এলাকায় রয়েছে অষ্টম শতাব্দীর বিরাটরাজার বিন্যাদিঘি, যা বর্তমানে নীলসাগর নামে পরিচিত। নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
অবাধ বৃক্ষ নিধনের কারণে পাখিরা তাদের নিরাপদ আবাসস্থল হারিয়েছে এবং খাদ্য সংকটের কবলে পড়েছে। ফলে পাখিদের স্বাভাবিক প্রজনন বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া ফসল উৎপাদনে বিষাক্ত কীটনাশকের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাখিদের মৃত্যুর হারও বেড়েছে। কালের পরিক্রমায় নানা ধরনের পাখি এখন প্রকৃতিতে দেখাই যায় না। সেই সঙ্গে শোনা যায় না পাখির কলরবও।
নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, নানান জাতের পাখি বসবাস করে নীলসাগরে। আবাসস্থল না থাকায় বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ায় পাখিরা। ডিম দেওয়া এবং বাচ্চা উৎপাদনে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে তাদের আবাস স্থান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। যারই অংশ হিসেবে মাটির হাঁড়ি বসানো শুরু হয়েছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, পাখিদের শুধু আবাসস্থল নয় তাদের খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে মাটির হাঁড়িগুলোতে। ২০০ হাঁড়ি বসানো হবে। এর মধ্যে শনিবার ১০০ হাঁড়ি বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে নীলসাগরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফারুক আল মাসুদ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই