প্রায় ৭ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পেয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরসহ সিন্ডিকেটের ৮ সদস্য। শনিবার বেলা ৩টা থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের ডাকে অনশন ও অবস্থান ধর্মঘটের মুখে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
শনিবার রাতে সিন্ডিকেটের দ্বিতীয় দফা সভায় ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে নিহত কুয়েটের ৪ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
জানা যায়, এর আগে শনিবার দুপুরে সিন্ডিকেটের ৬০তম (জরুরি) সভায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে অনশন ও ধর্মঘট শুরু করে। এর মধ্যে সন্ধ্যায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের সামিউল হক শামু ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের রিংকি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে রাত ৮টার দিকে পুনরায় সিন্ডিকেটের জরুরী সভা শুরু হয়। সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান সিন্ডিকেটের সভায় যোগ দেয়। এরপর রাত সোয়া ৯টার দিকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অনশন ও ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরনে কুয়েটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষবর্ষের এই ৪ শিক্ষার্থী মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, শাহীন মিয়া, হাফিজুর রহমান ও দিপ্ত সরকার নিহত হয়। তারা ওই এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে এক মাসের ইন্টার্ন (শিক্ষানবীশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল