গ্রামীণ ও সমাজের পশ্চাৎপদ শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) সম্প্রতি ‘প্রান্তিক প্রসার’ নামক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রকল্পের আওতায় সমাজের পশ্চাৎপদ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। যাতে পর্যাপ্ত মেধা থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে তারা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। প্রকল্পের অধীনে সারা দেশকে মোট ৩২টি শ্রেণিতে ভাগ করে ৩২টি গ্রুপের আওতায় মেধাবী শিক্ষার্থী সংগ্রহের কাজ চলছে।
প্রকল্পটির কার্যক্রমের ব্যাপারে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া মিলতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, চলতি স্প্রিং সেমিস্টারের আওতাতেই প্রান্তিক প্রসার প্রকল্পের আওতায় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পন্ন হবে। তবে আসন্ন সামার সেমিস্টারেও এ প্রকল্পের কার্যক্রম ও এর আওতাধীন সুবিধাদি অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক কাঠামোর আওতায় প্রচলিত ধারণামতে, বিত্তবান পরিবারের শিক্ষার্থীরাই মূলত: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনা করে থাকে। কিন্তু স্টেট ইউনিভার্সিটি এ প্রচলিত ধারণার বাইরে যেয়ে গ্রামীণ ও আধা-গ্রামীণ পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করতে আগ্রহী এবং সে লক্ষ্যে প্রান্তিক প্রসার প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে সারাদেশে এর প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। চলতি স্প্রিং সেমিস্টারের আওতায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ প্রকল্পের অধীনে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে মে ২০২১ থেকে শুরু হতে যাওয়া সামার সেমিস্টারের জন্যও এর অধীনে ভর্তি নেয়া হচ্ছে।
এসইউবি’র ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি)-এর সমন্বয়াধীন প্রকল্পের মূল পৃষ্ঠপোষক ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে এর দায়িত্ব পালন করছেন এর ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডা. এ. এম. শামীম, সহ-সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: আনোয়ারুল কবির। প্রান্তিক প্রসার প্রকল্পের আওতায় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এসইউবির ফেইসবুক পেইজ www.facebook.com/subedbd, ইমেইল: [email protected] অথবা ০১৭৬৬৬৬৩২৪৭ নম্বর এ যোগাযোগ করতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর