রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় পাঠাগারে (লাইব্রেরি ভবন) শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নরত সময়ে লাইব্রেরি ভাড়া নিয়ে শুটিং করায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে সংশ্লিষ্টদের তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে লাইব্রেরির ভেতরে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটলে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল থেকে দাঁড়িয়ে এর প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, কিছুদিন আগেও ক্লাস চলাকালীন ক্যাম্পাসে শুটিং কার্যক্রমে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হয়। এ সময় সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সমালোচনা হয়। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির পরিবর্তে তা ব্যাঘাত ঘটিয়ে লাইব্রেরি বা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট ‘স্পট ভাড়া’র বিনিময়ে টাকা আয় করার ঘটনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন নুর ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘটনা জানার পর সেসময় শুটিং কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকায় তাদেরকে বিকাল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সে সময় ভুল করে গিয়েছিল তারা।’
প্রধান লাইব্রেরিয়ান ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘লাইব্রেরি ভাড়া দেওয়ার নিয়ম আছে, তাই ভাড়া দেওয়া হয়েছে কিছু সময়ের জন্য। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটিয়ে লাইব্রেরি ভাড়া দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব আগে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামখচিত পতাকা চত্বরে চিত্রধারণ করে নির্মিত চলচ্চিত্রে ‘শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম মুছে মনগড়া নাম ও নাটকে কৃষিবিদদের খাটো করে নাটক নির্মাণ পুরনো ঘটনা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর