নিয়োগের পাঁচদিন পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলামের ডিন নিয়োগের (আইন অনুষদ) অফিস আদেশ স্থগিতের করেছেন হাইকোর্ট।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক খ্রিষ্টীন রিচার্ডসনের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ স্থগিতাদেশ দেন।
গত বছরের ১৩ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক এস এম মাসুম বিল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খ্রিষ্টীন রিচার্ডসন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ২২(৫) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন করা হয় তাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২২(৫) ধারা সঠিকভাবে প্রতিপালিত হয়নি দাবি করে গত ২৬ জানুয়ারি এক অফিস আদেশে খ্রিষ্টীন রিচার্ডসনের নিয়োগ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে ওই অফিস আদেশে বলা হয়, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খ্রিষ্টীন রিচার্ডসনের গত বছরের ৫ জুনের অফিস আদেশের মাধ্যমে আইন অনুষদের ডিন নিয়োগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ২২(৫) ধারা মোতাবেক সঠিকভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় উক্ত ডিন নিয়োগ বাতিল করা হল।
একই দিন ভিন্ন আরেকটি অফিস আদেশের মাধ্যমে আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলামকে অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ২২(৫) ধারা মোতাবেক সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলামকে পরবর্তী ২ (দুই) বছরের জন্য আইন অনুষদের ডিন হিসেবে নিযুক্ত করা হল।
এ বিষয়ে অধ্যাপক খ্রিষ্টীন রিচার্ডসন বলেন, আইন অনুষদের এ নিয়োগের আইনের ‘সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, ‘পালাক্রমে’ ডিন নিয়োগ দেওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ’র পর ‘ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও আইন’ বিভাগ থেকে আমি ডিন হয়েছি। আমার নিয়োগ হয়েছে গত বছরের জুলাইয়ে, মেয়াদ পূর্তির আগে কীভাবে নিয়োগ বাতিল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নতুন যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি অল্প কয়েকদিন আগে অধ্যাপক হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি নিয়োগ পাওয়ার কথা।
নিয়োগ বাতিলের বিষয়ে অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলতে পারবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ অনুসারে আইন অনুষদের ডিন নিয়োগে অসংগতি পাওয়ায় সহযোগী অধ্যাপক খ্রিষ্টীন রিচার্ডসনের নিয়োগটি বাতিল করা হয়েছে। সেই অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন ডিন নিয়োগ করেছে। এখন হাইকোর্ট যেহেতু রুল জারি করেছেন, সেটার জবাব বিশ্ববিদ্যালয় দেবে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত