অফিসের কাজ সামলাতে সামলাতে যারা অসহিষ্ণুতার শেষ সীমায় এসে পৌঁছেছেন, তাদের জপমন্ত্র একটাই মাল্টিটাস্কিং। মাল্টিটাস্কিং বলতে আমরা এক বিশেষ ধরনের দক্ষতাকে বুঝি যার সাহায্যে একাধিক কাজ একই সময় করা যেতে পারে। পৃথিবীজুড়ে সমীক্ষায় দেখা গেছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি দক্ষ মাল্টিটাস্কার। কাজের ফাঁকে দরকারি ফোন কল সেরে নেওয়া, ল্যাপটপে কাজ করতে করতে ইমার্জেন্সি ফোন নম্বর টুকে নেওয়া বা টিফিন ব্রেকে সহকর্মীদের সঙ্গে মিনি মিটিং সেরে নেওয়া— সবই মাল্টিটাস্কিং। মাল্টিটাস্কিংয়ের প্রথম এবং শেষ কথা হলো গুছিয়ে কাজ করার ক্ষমতা। প্রতিদিন অফিস ছাড়ার আগে পরের দিনের নির্দিষ্ট কাজের একটা খসড়া ড্রাফট করে রেখে গেলে সুবিধা হয়। এর জন্য প্রথমেই দরকার একটা ভালো প্লানার কাম-ডায়েরি। প্রতিদিনের নির্দিষ্ট সময়ের পাশে অফিশিয়াল এনগেজমেন্ট প্রায়োরিটি অনুযায়ী স্পষ্ট করে লিখে নিন যাতে কোনোভাবেই ভুলে না যান। পরের দিন সকালবেলা ব্রেকফাস্ট করতে করতে ওয়ার্কলিস্ট চেক করে নিন। * কোনো কাজ ‘পরে করব’ বলে ফেলে রাখবেন না। অফিসে কাজ চলাকালীন অজস্র ফোন নম্বর বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নোট করতে হতে পারে। হঠাৎ নতুন কাজ এসে যাওয়াও অসম্ভব নয়। বেশির ভাগ সময়ই হাতের কাছে পড়ে থাকা কাগজে কোনো মতো করে জরুরি মেসেজ লিখে, আমরা পরে ভুলে যাই। এই সমস্যা এড়াতে ফোনে কথা বলার সময় বাজে কাগজে জরুরি তথ্য লিখলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেয়ার করে লিখে নিন।
* অফিস থেকে বাড়িতে ফোন করার জন্য একটা সময় নির্দিষ্ট করে রাখুন। ছেলেমেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময়টাই সবচেয়ে ভালো। নিজের ডেস্ক বা আলমারি গোছাতে গোছাতে বাচ্চাকে ফোন করে স্কুলের খবরা-খবর নিন, খাওয়া-দাওয়া, খেলতে যাওয়া, হোমওয়ার্ক সম্পর্কিত ইনস্ট্রাকশন ফোনেই দিয়ে দিন। * দুপুরের লাঞ্চ বা ইভনিং স্ন্যাক্স কখনো মিস করবেন না।