দীর্ঘ ১৬ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। দীর্ঘদিন পর জেলা যুবলীগে বইছে নতুন কমিটির হাওয়ায়। তাই কার হাসছেন নেতৃত্বে বিষয়টি এখন সিলেটজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
মহানগর যুবলীগেরও সম্মেলন ছিল গত শুক্রবার। এতে মুক্তি-মুশফিক বিজয়ী হবেন এটা অনেকটা অনুমিত ছিল। কিন্তু জেলা যুবলীগের প্রার্থীরা শক্তিশালী হওয়ায় হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা।
জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন ৪ জন। তারা হচ্ছেন জেলা যুবলীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমদ, মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট মো. আলমগীর।
যুবলীগ সূত্র জানিয়েছে, সভাপতি পদে মূল লড়াই হবে শামীম আহমদ ও এডভোকেট আলমগীরের মধ্যে। শামীম দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুবলীগকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই দীর্ঘ সময়ে সম্মেলন করতে না পারার ব্যর্থতা থাকলেও পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। আর আলমগীরের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার মূল শক্তি জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জগদীশ দাস ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের নীরব সমর্থন। সম্মেলন জেলা যুবলীগের কাউন্সিলর তালিকার বড় একটি অংশ জগদীশ-আজাদের অনুসারী। আর আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতারও সমর্থন আছে আলমগীরের প্রতি। তাই শেষ সময়ে সভাপতি পদে চমক দেখাতে পারেন তরুণ এই যুবনেতা।
সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রার্থী ৪জন। তারা হচ্ছেন জেলা যুবলীগের বর্তমান প্রচার সম্পাদক জাহিদ সারোয়ার সবুজ, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও খাদিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আফসর আহমদ।
তবে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই হবে ত্রিমুখী। এ পদে শামীম আহমদের নাম তুমুল আলোচনায় থাকলেও শেষ সময়ে ভোটের মাঠ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন জাহাঙ্গীর আলম ও এডভোকেট আফসর।
এদিকে জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে টাকার মাধ্যমে ভোট কেনারও চেষ্টা চালাচ্ছেন কিছু প্রার্থী। রবিবার রাতে এক প্রার্থী জৈন্তাপুরে কয়েকজন ভোটারকে টাকা দিতে চান বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ভোটাররা সেই টাকা ফিরিয়ে দেন বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা