মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিসবটি উদযাপন উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) আয়োজনে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে উদ্বোধন করা হয় চা প্রদর্শনীর।
প্রদর্শনীতে বিটিআরআই উদ্ভাদিত বিভিন্ন ধরনের চা ও চা থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। পরে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা এসোসিয়েশনের সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান জিএম শিবলী। বক্তব্য দেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কৃষি তত্ত্ব ) ড. তৌফিক আহমদ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগ তত্ত্ব) সাইফুল ইসলাম এবং নিউ সমনবাগ চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদ্বীপ তালুকদার, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেল) শহিদুল হক মুন্সি প্রমুখ।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রামে প্রথম ব্যক্তি উদ্যোগে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের আবাদ শুরু হয়। ১৯৫১ সালে চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। এসময় তিনি চা শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটান। চায়ের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য তিনি চা গবেষণা কেন্দ্রকে একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে রূপ দেন। এই ইনস্টিটিউট থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ২৩টি উন্নত জাতের ক্লোন করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চায়ের মান আগের চেয়ে এখন অনেক উন্নত। বাড়ছে উৎপাদন। গত বছর আমরা ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা পাতা উৎপাদন করেছিলাম, যা আমাদের জন্য অনেক বড় রেকর্ড।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা