দীর্ঘদিনের ভেঙ্গে পড়া রেলওয়ে হাসপাতাল গতি ফিরে পাচ্ছে। চিকিৎসা সেবা আরও গতিশীল ও কঠোর নজরদারিতে রেখেছেন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা রোগীদের ঠিক মতো চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন কিনা সেই বিষয়টিও মনিটরিং করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে রেলওয়ে হাসপাতালে ‘হঠাৎ’ ছুটে যান পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মোঃ আবদুল হাই। এসময় তিনি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও খোজঁ-খবর নেন।এসময় হাসপাতালের আশ-পাশের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রয়েছে কিনা সেটিও ঘুরে দেখেছেন বলে জানান কেন্দ্রীয় রেল শ্রমিকলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেল কর্মচারী কামাল পারভেজ বাদল বলেন, দুইদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি আছি। সকাল থেকেই দায়িত্বরত ডাক্তাররা সেবা দিয়ে আসছে। এ হাসপাতালের সার্ভিসও ভাল বলে জানান তিনি। তবে এ সময় হাসপাতালে থাকা প্রতিটি রোগীর চিকিৎসার খবরাখবর নেন জিএম।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী আবদুল হাই বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সারাদেশের মতো রেলওয়ে হাসপাতালেও ভাল মানের চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। এখানে ডাক্তারসহ জনবল সংকট দূর হলে কাজের গতি ও চিকিৎসা সেবাও আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপির কঠোর নজরদারি ও রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) আমজাদ হোসেন নির্দেশনায় রেলের উন্নয়ন কর্মসূচী ও চলমান কাজগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতাল পরির্দশনের সময় পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আবদুল হাই ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল জিএম ইশা-ই-খলিল, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও) পরিতোষ দাশ, সিনিয়র ওয়েল ফেয়ার কর্মকর্তা (এসডব্লিউ) আবু খালেদ চৌধুরী, রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিকলীগ নেতা গাজি জাকারিয়া, খায়রুজ্জামান লিটন, সাজ্জাদ হোসেন সুজন, মিজানুর রহমান, শফিকুর রহমান, আবু বক্কর ছিদ্দীক প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/ ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান