নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান আবুল মোহাম্মাদ এরশাদুল আলমকে (৩৯) আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও ১৪ হিযবুত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক অন্যরা হলেন- ওয়ালিদ ইবনে নাজিম (১৮), ইমতিয়াজ ইসমাইল (২৫), আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০), নাসিরুদ্দিন চৌধুরী (২৯), নাজমুল হুদা (২৭), লোকমান গণি (২৯), মোহাম্মাদ করিম (২৭), আব্দুল্লাহ আল মুনিম (২২), কামরুল হাসান রানা (২০), আরিফুল ইসলাম (২০), আজিমুদ্দিন (৩১), মো. আজিমুল হুদা (২৪), আফজাল হোসেন আতিক (৩৫), মো. সম্রাট (২২)।
সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযান শনিবার ভোর পর্যন্ত চলে।
শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বৈঠক করা অবস্থায় ১৩ জনকে এবং বায়েজিদ থানা এলাকার অপর একটি বাসা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক হিযবুত তাহরীর আঞ্চলিক প্রধান এরশাদুল নগরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ৬ মাসের অনুসন্ধান চলছিল এই অভিযানের জন্য। নগরীর ৭টি স্থানে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে এ অভিযান চলে। অভিযানে ৫০ অফিসার অংশ নেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, কয়েকদিন ধরে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আসকারদীঘি ও আশপাশের এলাকায় পোস্টার ও লিফলেট বিলি করছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় নজরদারী বাড়ানো হয়। শুক্রবার দুপুরে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের সামনে লিফলেট বিলি করার সময় হিযবুত তাহরীরের সদস্য ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ও মো. ইমতিয়াজ ইসমাইলকে আটক করা হয়। ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ও ইমতিয়াজ ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদে অন্য সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নগরের নতুন চান্দগাঁও আবাসিক, বায়েজিদে অভিযান চালিয়ে অন্যদের আটক করা হয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান। তিনি চট্টগ্রামের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। এরশাদুল আলম বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ চক্রেসো কানন আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। তাদের কাছ থেকে সংগঠনের ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, হিযবুত তাহরীরের তথ্যসহ দুইটি ল্যাপটপ ও ডিভাইস, একটি মোটর সাইকেল, হিযবুত তাহরীরের প্রচারপত্র, গঠনতন্ত্র, ট্রেনিং ম্যানুয়েল উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম