‘পুকুর, খাল-জলাশয়, দিঘি রক্ষায় সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এ ব্যাপারে নদী কমিশন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও, ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে নদী খাল ও জলাশয় রক্ষায় এক হয়ে কাজ করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘বৃহত্তর চট্টগ্রামের নদী, খাল ও জলাশয় রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন, লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান। বক্তব্য রাখেন বেলার হেড অব প্রোগ্রাম এডভোকেট খোরশেদ আলম, প্রোগ্রাম এন্ড ফিল্ড কো-অরডিনেটর এএমএম মামুন।
বক্তব্য রাখেন সুপ্রভাত বাংলাদেশের চিপ রিপোর্টার ভূঁইয়া নজরুল, ক্যাব উপ-পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সঞ্চয় বিশ্বাস, ব্লাটস এর অ্যাডভোকেট জিন্নাত আমিন, টিআইবি প্রতিনিধি তৌহিদ আলম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সহ সভাপতি মোহাম্মদ লোকমান দয়াল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘মিরসরাই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর’ এর জন্য মোহরা পানি শোধনাগার ফেজ-২ স্থাপন করে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করা হলে হালদা নদীর জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন, পাহাড় কাটা, জুম চাষ ইত্যাদি কারণে বৃহত্তম চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও তার উপ-নদী সমূহ রাইনখিয়াং, কাসালং, হালদা, ইছামতী এবং পাহাড়ি নদী বাকখালী সাঙ্গু মাতামুহুরি নাফ ফেনী নদী ভরাট হয়ে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা সংকট এবং বর্ষাকালে বন্যায় নদী ভাঙ্গন এবং উভয় তীরের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে নদীগুলোর সংকট তৈরি হবে।’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর