বিবিএ শিক্ষার্থী মাহমুদুল হক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী জাহেদ হোসাইন। টাকার প্রলোভনে শর্ত সাপেক্ষে ইয়াবা পাচারে জড়িত হয়ে পড়েন তারা। এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছিলেন ইব্রাহিম নামের একজন কৃষক যুবকও। চুক্তি অনুযায়ী টেকনাফে থেকে চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট স্থানে ইয়াবাগুলো পৌঁছে দেয়া হবে। বিনিময়ে তারা পাবেন তিন লক্ষ টাকা।
এই টাকার বিনিময়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার পিচ ইয়াবা যথাযথভাবে ঠিক স্থানে পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু বিধিবাম! সেই যুবকদের শেষ রক্ষা হলো না পুলিশি তৎপরতার কারণে। তবে পুলিশ প্রাপক বা প্রেরকের কোন হদিস পায়নি।
প্রশাসন ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে একটি চক্র। এই চক্রটি সড়ক, ট্রেন, নিজস্ব গাড়িসহ নানাভাবে নানা কৌশলে চট্টগ্রামেই প্রবেশ করছে। এতে নেপথ্যে জড়িতরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই আনোয়ারা ও পটিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এসব ইয়াবাসহ এসব যুবকদের আটক করা হয়। একই সঙ্গে দুটি মোটর সাইকেল ও পাঁচটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন দমদমিয়া হ্নীলা এলাকার নুরুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক (২৩), সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৬) ও একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে জাহেদ হোসাইন (২৫)।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুইজন শিক্ষার্থী একজন কৃষক যুবক রয়েছে। তারা টেকনাফ থেকে এসব ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম নিয়ে আসছিলো। চট্টগ্রামে এ ইয়াবার চালান পৌঁছে দিলে তারা তিন লাখ টাকা পেতো। আটককৃত শিক্ষার্থী ও কৃষক যুবকরা এসবে জড়িত থাকলেও ইয়াবার মূল গন্তব্য বা জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন,অভিযানে আটকৃকতদের বিষয়ে আইনগতভাবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে দুইজন শিক্ষার্থী হলেও এখনও পর্যন্ত কোন কলেজের সে বিষয়ে যাছাই-বাছাই চলছে বলে জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার নগরীর হালিশহর জেলা পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) তারিক রহমান, আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর