মশার বিস্তার নিরসনে ২০ দিনের মধ্যে সময় বেঁধে দিয়ে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
শনিবার চান্দগাঁও ওয়ার্ডের নতুন থানা চত্বরে প্রথম ১০০ দিনের প্রতিশ্রুত জন-গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই কার্যক্রম সূচনা করেন মেয়র। এ সময় ফগার মেশিনে মশার ওষুধ ছিটিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন মশক নিধনের ওষুধ ছিটাবে এবং প্রকাশ্য স্থান ও নালা-নর্দমার স্তূপ করা আবর্জনা, বর্জ্য পরিষ্কার করবে। কিন্তু শুধু এভাবেই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা। নিজ গরজেই বাসা-বাড়িতে মশক প্রজনন ও উৎপত্তিস্থল বিনাশ এবং বর্জ্য-আবর্জনা সরিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ নালা নর্দমায় বা খালে ও পানি চলাচলের পথে পলিথিন ও প্লাস্টিক, বর্জ্য-আবর্জনা ফেলতে পারবেন না। ফেললে এটা হবে দ-নীয় অপরাধ। মনে রাখতে হবে সিটি কর্পোরেশন শুধু মেয়রের একার নয়, প্রত্যেক নগরবাসীর। মেয়র পদে ৫ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এই সময়ের মধ্যে শতভাগ আকাক্ষা ও চাহিদা পূরণ কখনও সম্ভব নয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অধিকতর জন-গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১০০ দিনের মধ্যে সেগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে জনদুর্ভোগ লাঘব ও নাগরিক স্বস্তি আনতে আমার সামর্থ্য ও সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।
মেয়র বলেন, কোনো সমস্যার সমাধান রাতারাতি হবে না। তবে সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগী এবং সচেষ্ট। যেকোনো নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগ থাকলে তা আমাকে অবগত করা হলে তা নিরসন ও লাঘবে তাৎক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর এসরারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, এম আশরাফুল আলম, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা, যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর