দেশব্যাপী জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। নগরী ও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি)।
হরতাল শুরুর পর নগরীর রাজপথে স্বাভাবিকভাবেই নেমেছে গণপরিবহন। অফিস-আদালত, কল-কারখানায় যেতে রাস্তায় নেমেছেন কর্মজীবী মানুষ। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।
তবে হরতালের কারণে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু কিন্ডারগার্টেন যথারীতি খোলা রয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর পর এ পর্যন্ত নগরী কিংবা জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিংয়ের খবরও পাওয়া যায়নি।
সিএমপির মুখপাত্র নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার কুসুম দেওয়ান বলেন, হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হরতাল চললেও নগরজীবনে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। এছাড়া এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্রমতে, নগরীতে অতিরিক্ত প্রায় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত এক হাজার পুলিশ মোতায়েন আছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের প্রস্তাব অনুযায়ী নগরীতে নাশকতা মোকাবেলায় ছয় প্লাটুন বিজিবি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন একরাম।
এদিকে, হরতালে দূরপাল্লার যান চলাচল কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ‘বাদ দেওয়ার চক্রান্তের’ প্রতিবাদে আজ সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ মার্চ ২০১৬/শরীফ