সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন-ইসি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কমিশন বলেছে তারা ব্যর্থতার দায় নেবে না। এখন কমিশন যদি দায় না নেয় এ দায় কে নেবে?
তারমতে, নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের যে হার তাই এ নির্বাচনকে বিকৃত নির্বাচন বলাই স্বাভাবিক। প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমাদান-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হলেও কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুজন আয়োজিত ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন: দৃশ্যপট ও শিক্ষণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। এতে আরও বক্তব্য দেন সুজন সহসম্পাদক জাকির হোসেন, নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী মুসবাহ আলীম এবং সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই নির্বাচনকে বিকতৃ বলার প্রধান তিনটি কারণ রয়েছে, যা প্রথমত, এতকাল মনোনয়ন বাণিজ্য ছিলো উপরের তলায়, এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য তৃণমূলে ছড়িয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, এবারের নির্বাচনে সহিংসতার মাত্রা নিকট অতীতের সকল নিবাচনের সহিংসতার মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা প্রকট। এবারের নির্বাচনে সহিংসতার ধরনও ভিন্ন। আগে নির্বাচনের দিনে সহিংসতা ঘটতো, কিন্তু এবার সহিংসতা দীর্ঘমেয়াদি এবং সহিংসতা দেখা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের মধ্যে বেশি। তৃতীয়ত, নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন, কিন্তু এবারের নির্বাচন ছিল প্রায় প্রতিযোগিতাহীন।
তিনি বলেন, এবার মনোনয়ন বাণিজ্য তৃণমূল পর্যায়ে চলে গেছে। এটা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকেও বিকৃত করেছে। ৮০ এবং ৯০ এর দশকে এই পর্যায়ের নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হতো। ২০০৮ সাল থেকে এটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এবার আবার এই সহিংসতা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া এই নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হয়নি। এটি ‘বিকৃত’ নির্বাচনের প্রতিফলন। আর এই ‘বিকৃত’ নির্বাচনের ফলে মানুষ নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এটি মঙ্গলজনক নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন