পৃথক হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে রংপুরের দুটি আদালত। মঙ্গলবার সকালে বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার কৃষক হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ কথা জানিয়েছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী (বিশেষ পিপি) রথীশ চন্দ্র ভৌমিক।
মত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান (৩৫)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন: নুরুল হক, নুর ইসলাম, আতিয়ার রহমান, মোকসেদুল হক ও মনোয়ার হোসেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ১৯ নভেম্বর সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর বাতান গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে খুন হন কৃষক আব্দুর রহমান।
ওইদিন বিকেলে নিহতের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ৪৩ জনের নামে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন। যাদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরাও রয়েছেন।
২০০১ সালের ২৫ মার্চ মিঠাপুকুর থানার তৎকালিন ওসি গোলাম মোস্তফা ৪৩ জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৭ জন আসামিকে খালাস দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় সকল আসামিই আদালতে হাজির ছিলেন বলে রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক জানান।
অপরদিকে, দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান শিশু হত্যার দায়ে সৎ পিতা হামিদুল ইসলামকে (৩৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) আখতারুজ্জামান পলাশ জানিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার জামুবাড়ি কুমারপাড়া গ্রামের হামিদুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন বছরের ছেলে মিলন বাবুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
পরের দিন নিহতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বাদি হয়ে হামিদুল ইসলামকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথম স্ত্রী থাকলেও মিলন বাবুর মাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন হামিদুল।
২০০৪ সালের ২০ মার্চ বদরগঞ্জ থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক(এসআই) আব্দুস সবুর আসামী হামিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পুলিশ হামিদুলকে গ্রেফতার করলেও পরে জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি। আদালত তার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বলে এপিপি আখতারুজ্জামান পলাশ জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা