চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চসিক বছরে ১৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে মাতৃসদন হাসপাতাল, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্র ও ৪টি স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। দেশের আর কোন কর্পোরেশনে সেবার এমন উদ্যোগ নেই। এ খাতে সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তারপরও নাগরিক সেবার স্বার্থে, স্বাস্থ্যসেবাকে গতিশীল এবং নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার বিকালে চসিকের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। চসিকের শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলীসহ মাতৃসদন হাসপাতাল, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দাতব্য চিকিৎসালয় সমুহের ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে চসিক জেনারেল হাসপাতালে চক্ষু, দন্ত চিকিৎসা চালু ও প্রতিব›দ্বী কর্ণার স্থাপন করেছে। তাছাড়া জেনারেল হাসপাতালে বার্ন ইউনিট, আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ ও ডায়ালেইসিস ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন। পর্যায়ক্রমে এটিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, প্রতিটি বিভাগ পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণিত খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করতে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউটকে জুনিয়র মিডওয়াইফারি কোর্স থেকে উন্নীত করে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস্-এ বিএসসি কোর্স চালুর প্রক্রিয়াও চলমান এবং জাকির হোসেন হোমিও মেডিকেল কলেজে ডিগ্রি কোর্স চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন-১০