স্বর্ণ চোরাচালান মামলার আসামি হিসেবে এক শুল্ক কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয়ে যায়। আনিসুর রহমান নামের ওই সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. শাহে নূর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ মঙ্গলবার ওই আসামি আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমপর্ণ করেন। আনিসুর চার বছর আগে দায়ের করা এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ। মামলার অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান দুদকের এই আইনজীবী।
মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ছয় জন হলেন- চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারি মোমেন মোকসেদ, আনসারের সহকারি প্লাটুন কমান্ডার ইলিয়াস উদ্দিন, বিমানের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরুদ্দিন, আনসার সদস্য মাহফুজুর রহমান ও শাহিন মিয়া এবং দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিন চৌধুরী। ১৩ মার্চ এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর দুবাই থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসেন আলাউদ্দিন চৌধুরী। লাগেজ হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ জানিয়ে ওইদিন তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। পরদিন বিমান বন্দরের ‘হারানো ও প্রাপ্তি’ শাখায় আলাউদ্দিনকে নিয়ে হাজির হন তখনকার ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকসেদ। তারা লাগেজটি ‘নিয়ম বর্হিভূতভাবে’ ছাড় করাতে চাইলে স্ক্যান করে তাতে ২৫টি সোনার বার পাওয়া যায় এবং ‘বিপদ বুঝতে পেরে’ ওই দুইজন সেদিন সটকে পড়েন। এ ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে মামলা হয়। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক এইচএম আখতারুজ্জামান ২০১৬ সালের ১৬ জুন সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এতে ‘স্বর্ণ পাচারকারীকে বাঁচাতে’ মিথ্যা জব্দ তালিকা তৈরি এবং জড়িতদের পক্ষাবলম্বনের অভিযোগ আনা হয় শুল্ক কর্মকর্তা আনিসুরের বিরুদ্ধে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার