বরিশালে এক দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গত রবিবার বরিশালের পিয়াজ পট্টিতে প্রতিকেজি পিয়াজ ৫২ টাকা দরে বিক্রি হলেও রবিবার বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা দরে। খুঁচরা দোকানগুলোতে সোমবার প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকায়। এতে বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ।
নগরীর সাগরদী বাজারের ইসলাম ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী শেখ সাদি জানান, রবিবার তিনি পিয়াজপট্টির পাইকারি আড়ত থেকে প্রতিকেজি পিয়াজ পাইকারি কিনেছেন ৫১ টাকা দরে। ওইদিন তিনি ৫৩ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। সোমবার সেই পিয়াজের পাইকারি দাম উঠেছে কেজি প্রতি ৯৫ টাকায়। পিয়াজের দাম এত বেড়ে যাবে বুঝতে পারেননি।
নগরীর পাইকারি পিয়াজ বাজার পিয়াজপট্টির আড়তদার মো. এনায়েত হোসেন জানান, গত ২ সপ্তাহ আগে পিয়াজের দাম বাড়লেও মাঝখানে আবার দাম কমে গিয়েছিলো। বাড়তি দামে ৬৩ টাকায় পিয়াজ কিনে তিনি গত রবিবার পর্যন্ত লোকসান দিয়ে ৫১ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। কিন্তু গত রবিবার হঠাৎ করে ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পরই পিয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখি। রবিবার ৫১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা পিয়াজ এক রাতের ব্যবধানে সোমবার পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকায়।
এর কারণ হিসেবে আড়তদারা বলেন, ভারতের বাজারে পেয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। এর উপর আবার রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পিয়াজের দাম আরেক দফা বেড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পিয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত না হলে আগামী কয়েকদিনে প্রতিকেজি পিয়াজ দেড়শ’ টাকা কেজি দরে কিনতে হতে পারে বলে ধারণা দেন বরিশালের পিয়াজ আড়তদাররা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম