দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো রংপুরেও ৪৫ টাকায় কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রবিবার সকাল থেকে রংপুর মহানগরীর পাঁচটি পয়েন্টে খোলা ট্রাকে করে পিয়াজ বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিনেই ৪৫ টাকায় পিয়াজ কিনতে লম্বা সারিতে হিশমিশ খেতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে একেকজন ক্রেতা এক কেজির বেশি পিয়াজ কিনতে পারেননি।
নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে পিয়াজ কিনতে আসা রিকশাচালক আজমল বলেন, খুচরা ও পাইকারী বাজারে পিয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেশি। এ কারণে টিসিবির ৪৫ টাকা মূল্যের পিয়াজ কিনতে এসেছি। তবে এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পিয়াজ কেনাটা কষ্টকর। তার মধ্যে টিসিবি শুধু মাত্র পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে পিয়াজ বিক্রি করছে। নিয়ম করে সবখানে বিক্রির ব্যবস্থা করা হলে অনেকেই উপকৃত হবেন।
অন্যদিকে, শাপলা চত্বর এলাকায় পিয়াজ কেনার সময় বুলবুলি বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, অনেক কষ্ট করে এক কেজি পিয়াজ কিনতে পেরেছি। এটা সরকারের ভালো উদ্যোগ।
জানা গেছে, রংপুর টিসিবি অফিস পিয়াজ বিক্রি মনিটরিং করছে। এছাড়াও ক্রেতাদের সুবিধার্থে জনসমাগত স্থলে খোলা ট্রাক রেখে পিয়াজ বিক্রি তদারকি করছে।
এ ব্যাপারে টিসিবি'র মুখপাত্র হুমাযুন কবীর বলেন, সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে ৪৫ টাকা মূল্যে পিয়াজ বিক্রি জোরদার করেছে।
রংপুর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ শাপলা চত্বর, প্রেসক্লাব চত্বর, সিটি বাজার, ডিসির মোড় ও সিওবাজারে ট্রাক সেলের মাধ্যমে পিয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও নগরীর অন্যান্য মোড়েও পর্যায়ক্রমে ট্রাকের করে পিয়াজ বিক্রি করা হবে। সপ্তাহের প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিসিবির পিয়াজ বিক্রি কার্যক্রম চলবে। ট্রাকে পিয়াজ বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত ক্রেতারা পিয়াজ কেনার সুযোগ পাবেন।
রংপুর টিসিবির কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা জানান, সরকারের বিশেষ উদ্যোগে ইতোমধ্যে আকাশ ও সমুদ্র পথে পিয়াজের চালানগুলো দেশে পৌঁছতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সযোগে মিশর, তুরস্ক, পাকিস্থান থেকে এ সকল পিয়াজ আমদানি হচ্ছে।
সরকার পিয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এখন বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশী পিয়াজ (পাতাসহ) এসেছে। কিছুদিনের মধ্যে খুচরা ও পাইকারী বাজারে পিয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ