শিরোনাম
- মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
- ‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ
- দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে নেপালি সিনেমা ‘মিসিং’
- ২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
- ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
- মুসলিম যুবকদের প্রতি প্রোগ্রামিং ও এআই শেখার আহ্বান
- ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
- ট্রাস্টের আড়ালে কর ফাঁকির প্রবণতা
- হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ১৮৩ ভিআইপি
- অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
- ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
- বাংলাদেশকে ছোট ভাই না, সমান মনে করতে হবে
- সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
ওএমএস’র তালিকায় মৃত মানুষের নাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আমজাদ হোসেন। ১১ মাস আগে তিনি মারা যান। অথচ কারোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস’র তালিকায় দেখানো হয়েছে তার নাম (কার্ড নম্বর-৪৯৮)।
সেই কার্ডে এপ্রিল ও মে মাসে কেনা হয়েছে চাল। এছাড়া একই ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড করাসহ করোনাকালেও দরিদ্রদের ওএমএস’র তালিকায় ‘নয়ছয়’ করা নিয়ে পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ।
পৌরসভা সূত্র ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তালিকায় নাম থাকা আমজাদ হোসেন ১১ মাস আগে মারা গেছেন। তার বাবার নাম মৃত মানুরুদ্দীন। আর তালিকায় একই ব্যক্তির নাম একাধিকবারও দেখানো হয়েছে। এমন অন্তত তিনটি প্রমাণও মিলেছে। পৌরসভার হাসনাপাড়া এলাকার কসিম উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলামের নামে তিনটি কার্ড (নম্বর-১৫০, ৪১৮ ও ৪৮২) করা হয়েছে।
একই এলাকার শাহলালের ছেলে জহিরুল ইসলামের নামে দুটি করে কার্ড করা হয়েছে। যার নম্বর ৪৬৯ ও ৪১৬। মুন্ডুমালা এলাকার আফসারের ছেলে আমিনুল ইসলামের নামে দু’টি কার্ড (নম্বর ১৬৮ ও ২১৮)। এই সাতটি কার্ডে এপ্রিল ও মে মাসে ২১০ কেজি চাল ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। তবে তাদের নামে একাধিক কার্ড করার বিষয়টি তারা জানেন না বলে দাবি করেছেন।
পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র আমির হোসেন আমিন বলেন, ‘আমজাদ হোসেন মারা গেছেন প্রায় ১১ মাস আগে। তার নামে কীভাবে কার্ড হয়েছে, সেই কার্ড দিয়ে কারা চাল তুলছে তা আমরা জানি না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবে পৌরবাসীর মধ্যে সরকারি ত্রাণ বরাদ্দের তালিকা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী ও তার পছন্দের লোকেরা করছেন। মেয়র তার খেয়াল-খুশি মতো কাজ করছেন, স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্বেও মেয়র আমাদের মূল্যায়ন না করে মৃত ব্যক্তি ও একই নামে একাধিক কার্ড করাচ্ছেন।’
মুন্ডুমালা পৌরসভার ওএমএস’র ডিলার জুবায়ের হোসেন ও দেবানন্দ বর্মন বলেন, ‘আমাদের কাছে যারা পৌর মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের স্বাক্ষরসহ কার্ড নিয়ে আসে তাদের চাল দেই। সবাইকে চেনা আমাদের পক্ষে সম্ভবও না।’
এদিকে, অনিয়মের ঘটনা তুলে ধরে বুধবার পৌরসভার ছয়জন কাউন্সিলর স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওএমএস ও মানবিক সহায়তা কার্ডের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখে তারা মেয়রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে স্বাক্ষর করা কাউন্সিলররা হলেন, আমির হোসেন আমিন, মুহাম্মদ হোসেন মিন্টু, ফিরোজ কবির, নাহিদ হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ইসমত আরা বেগম।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও মেয়র গোলাম রাব্বানী ফোন রিসিভ করেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘মুন্ডুমালা পৌরসভায় কাউন্সিলরদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর