স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমান সরকার কোরআন-সুন্নাহর বাইরে গিয়ে কিছু করে না, করবেও না, এ বিষয়ে সরকার ওয়াদাবদ্ধ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচায় জামিয়া মাহমুদিয়া আরাবিয়া ইসলামিয়ার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুলশান মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হাসান। বক্তৃতা করেন কাজিম উদ্দিন ধনু   এমপি, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা প্রমুখ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি শ্রেণি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলছে সরকার নাকি জুমার নামাজের আগে খুতবায় হস্তক্ষেপ করেছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, ইমাম সাহেব খুতবার আগে যে বয়ান করেন তাতে দেশের কথা বলবেন, সমস্যার কথা বলবেন, মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলবেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় সুন্দর সুন্দর মসজিদ করে যাচ্ছি। আলেম-ওলামাদের প্রতি সবসময় আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কওমি সনদের স্বীকৃতিও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলা-উপজেলার সমজিদ তিনি খেয়াল রাখেন। বাংলাদেশকে মসজিদের দেশ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, মসজিদের দেশ বাংলাদেশ। দেশের অলিতে গলিতে মসজিদ রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মতো আল্লাহভীরু মানুষ খুব কম দেশে দেখেছি। ধর্মের জন্য আমরা সবসময় কান খাড়া রাখি।

 আলেমদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি তিনি দিয়েছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বলত কওমি মাদ্রাসায় নাকি জঙ্গিদের উত্থান। যেখানে দ্বীনের শিক্ষা হয়, যেখানে আলেম-ওলামারা কোরআন নিয়ে চর্চা করেন সেখানে কোনো দিন জঙ্গির উত্থান হতে পারে না।  ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনো মানুষ হত্যার অনুমতি দেয়নি। তিনি বলেন, যেসব জঙ্গিকে আমরা ধরেছি তাদের প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। তারা স্যোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। তখন ইমাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। বাংলাদেশ জঙ্গিবাদকে যেভাবে রুখে দিয়েছে তার পেছনে সবারই অবদান রয়েছে।