বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকারি প্রণোদনার জন্য একজনের রিপোর্ট অন্যজনের নামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সরকারি প্রণোদনার জন্য একজনের রিপোর্ট অন্যজনের নামে

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল ঘিরে করোনা সার্টিফিকেট বিক্রির সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে অর্থ আদায় ও টাকার বিনিময়ে সরকারি প্রণোদনা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে একজনের নমুনার রিপোর্ট অন্যজনের নামে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, খুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি, কর্মস্থলে যোগদান ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে সরকারি হাসপাতালের সিল ব্যবহার করে জাল করোনা সার্টিফিকেট দিয়ে প্রতারণা করছে। এদিকে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথার উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের নাম ব্যবহার ও তাদের নামে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, সাধারণ রোগী করোনা পজিটিভ হলে তারা সামাজিকভাবে নাজেহাল হবেন- এ ভয় দেখিয়ে কিছু সরকারি কর্মচারী অর্থের বিনিময়ে তাদের নমুনা নিজেদের নামে পরীক্ষা করতে দিচ্ছেন। এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় এখন থেকে নমুনা পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট অফিসপ্রধানের প্রত্যয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।অন্যদিকে খুমেক হাসপাতালের লিফটম্যান পদে কর্মরত নওশাদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে নগরীর বি কে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ ও পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১-তে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তারা দুজনই করোনা পজিটিভ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর