চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলছে ভয়াবহ কন্ট্রাক্ট বাণিজ্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী ভিজিট ভিসাধারী যাত্রীদের কাছ থেকে ইমিগ্রেশনের নামে আদায় করা হচ্ছে যাত্রীপ্রতি দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। ইমিগ্রেশনে প্রতিবন্ধকতার ফলে আমিরাতে শ্রমবাজার সুসংহত করার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কন্ট্রাক্ট এ বাণিজ্যের সঙ্গে ইমিগ্রেশনের কতিপয় সদস্য ছাড়াও জড়িত কিছু অসাধু ট্রাভেল এজেন্সি। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও ভিজিট ভিসার যাত্রীদের নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল। কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পর বর্তমানে তা স্বাভাবিক রয়েছে। ইমিগ্রেশনে কন্ট্রাক্টের কোনো সিস্টেম নেই। বর্তমানে ভিজিট ভিসাধারী কারও কাছ থেকে টাকাও আদায় করা হয় না।’ সংযুক্ত আবর আমিরাতের রাস আল খাইমার বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতা এম এ মুছা বলেন, ‘ভিজিট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদের ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছে আমিরাত সরকার। এতে করে বাংলাদেশিদের শ্রম বাজার সুসংহত করার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশি ইমিগ্রেশনের কিছু অসাধু ব্যক্তির খামখেয়ালির কারণে তা নষ্ট হচ্ছে। ভিজিট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদের টাকা ছাড়া কেউ ইমিগ্রেশন পার হতে পারেন না। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ জানা যায়, দীর্ঘ সময় পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশির জন্য বিভিন্ন সেক্টরের ভিসা লাগানোর সুযোগ দিয়েছে। এতে করে ভিজিট ভিসায় গিয়ে যে কেউ ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানি ভিসা ও ব্যবসায়িক ভিসা লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা আমিরাতের শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের সুসংহত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগতে অনেক বাংলাদেশি ভিজিট ভিসায় গিয়ে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করছেন। অনেকে অভিন্ন কায়দায় আমিরাতে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু প্রবাসীদের অভিযোগ, ভিজিট ভিসাধারীদের ইমিগ্রেশন করানোর নামে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গড়ে উঠেছে ভয়াবহ কন্ট্রাক্ট বাণিজ্যের সিন্ডিকেট। তারা ভিজিট ভিসা নিয়ে আমিরাতে যাওয়া ব্যক্তিদের ‘ইমিগ্রেশন পাসের’ নামে হাতিয়ে নিচ্ছে ১ থেকে ২ লাখ টাকা। এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছে চট্টগ্রামের ৫ ট্রাভেল এজেন্সি। তাদের সঙ্গে যুক্ত ইমিগ্রেশনের কয়েকজন পরিদর্শক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতাদের অভিযোগ কণ্ট্রাক্ট ছাড়া ভিজিট ভিসাধারীদের কেউ ইমিগ্রেশন পার হতে পারে না। কন্ট্রাক্ট ছাড়া কেউ গেলে ইমিগ্রেশনে নানান হয়রানীর পর বিমানের উঠতে না দেয়ার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। হয়রানির শিকার রাউজান এলাকার আবু সায়েদ নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমিরাতের জন্য বিমানবন্দরে যান তিনি ও তার বন্ধু। কিন্তু বিমানবন্দর কন্ট্রাক্ট না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দুই দিন পর দালাল চক্রের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট করে তার বন্ধু আমিরাতে গেলেও তিনি যাননি।
শিরোনাম
- আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
- দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
- এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
- তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
- ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
- 'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
- তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু
- কর ফাঁকির সুযোগ নেই, সবাইকে কর দিতে হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
- ১৫ বা তার কম বয়সেই যৌন সহিংসতার শিকার প্রতি পাঁচজন নারীর একজন
- কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত
- কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
- কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার
- আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের
- উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
- আল-নাসর ছাড়ার পথে রোনালদো?
- পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা
- কিশোর কর্মচারীর গায়ে ভাতের গরম মাড় ঢেলে দিল বাবুর্চি
- পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
- নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
- ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
শাহ আমানতে ‘কন্ট্রাক্ট’ সিন্ডিকেট
আমিরাতে শ্রমবাজার হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর