রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

প্রতিবাদী সত্তার স্ফুরণই ঢাবির সবচেয়ে বড় অর্জন : স্পিকার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সত্তার যে স্ফুরণ ঘটেছিল সেটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব জন্মশতবর্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর আয়োজন করে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের শিক্ষক অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৪৭-এর পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যে ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস তার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রক্ত দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সত্তার যে স্ফুরণ ঘটেছিল সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। সে অর্জনকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ দেশের জন্য ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেনি। এখানে একটা শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সমাবেশ ঘটেছিল, যারা বিভিন্ন পটভূমি থেকে উঠে এসেছিলেন। তারা সময়ের দাবি বুঝতেন। বঙ্গবন্ধুর কথা যদি বলি, তিনিও ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সময়ের দাবি বুঝতে পেরেছিলেন এবং এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ ‘স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

মূল প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনা করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপনীত হয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ এবং গৌরবময় পথ পরিক্রমায়। ১৯২১ থেকে ২০২১- এ ১০০ বছরে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর শিক্ষা-গবেষণা, সংস্কৃতি, জনপ্রশাসন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। পৃথিবীর দ্বিতীয় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনের ও সংগ্রামের তুলনা করা যায় না। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে বাতিঘরের মতো এবং এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র হিসেবে এজন্য আমরা গর্বিত।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের শিক্ষক, খ্যাতিমান গবেষক অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, যুক্তরাজ্যের প্রবাসী ভিজিটিং প্রফেসর ড. সেলিম জাহান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর