শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সড়কে বেপরোয়া গতি বাড়ছে বাইক দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সড়কে বেপরোয়া গতি বাড়ছে বাইক দুর্ঘটনা

খুলনায় সড়কে বেপরোয়া গতির কারণে উদ্বেগজনকভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ছোট-বড় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। যাদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। সর্বশেষ গতকাল খুলনা জিরো পয়েন্টে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন আহত হয়। তাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্ঘটনার কারণ বেপরোয়া গতি। এ ক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা রয়েছে। জানা যায়, কেডিএ এভিনিউ, খানজাহান আলী রোড, পুরাতন যশোর রোড, আড়ংঘাটা বাইপাস ও রূপসা বাইপাস সড়কে মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চলাচল দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা না থাকায় রূপসা ব্রিজ রোডে প্রায়ই উঠতি বয়সী তরুণরা বাইক রেসে অংশ নিয়ে থাকে। এদের মাথায় হেলমেট থাকে না। একটি বাইকে তিন থেকে চারজনকেও চলতে দেখা যায়। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনার তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের মহানগর সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব জানান, পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে মটরসাইকেল আটক বা জরিমানা করলেও তা বেপরোয়া গতির কারণে নয়। হেলমেট বা গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় তাদেরকে আটক করা হয়। বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। জানা যায়, উঠতি বয়সী তরুণরা রোমাঞ্চ বা মজার জন্য বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি। লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সমির কুমার সরকার বলেন, রূপসা বাইপাস রোডে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ বাগেরহাটের কাটাখালিতে থাকে তারা রূপসা ব্রিজের দিকে কখনো আসে না। তিনি বলেন, চেকপোস্ট বসিয়ে মাঝেমধ্যে গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা থাকলে বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর