সোমবার, ১৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বাড়ছে অজ্ঞাত রোগী, বিপাকে চিকিৎসকরা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বাড়ছে অজ্ঞাত রোগীর সংখ্যা। নিকট অতীতের তুলনায় গত দুই বছর ধরে এ সংখ্যাটা বাড়ছে। কিন্তু অজ্ঞাত রোগীর বিষয়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকায় ক্রিটিক্যাল রোগের চিকিৎসা, অপারেশন, অর্থের সংস্থান, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন-বিয়োজনের সময় যথাযথ অভিভাবক সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগী কল্যাণ সমিতিকে। তাছাড়া চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া নিয়েও পড়তে হয় নানা সমস্যায়।        

জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেই আসে চট্টগ্রামের সব অজ্ঞাত রোগী। হাসপাতালে আসার পর চমেক হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি, অজ্ঞাত রোগীর বন্ধু খ্যাত নেসার ফাউন্ডেশন এবং সৈয়দ মনিরুজ্জামান মানিক নামের এক তরুণ অজ্ঞাত রোগীর সেবা করেন। কিন্তু সেবা দিতে গিয়ে রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে নানা সংকটে পড়তে হয়। বিশেষ করে অপারেশন কিংবা চিকিৎসার স্বার্থে শরীরের কোনো অংশ বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ অভিভাবক সংকট দেখা দেয়।

চমেক হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সাহা বলেন, অজ্ঞাত রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে মাঝে মাঝে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু তখন তার যথাযথ অভিভাবক না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়। তবে এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বোর্ড গঠন করে বিষয়টির প্রক্রিয়া করার একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া অজ্ঞাত রোগীদের চিকিৎসায় রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হয়। 

চমেক হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে গড়ে চার থেকে পাঁচটি অজ্ঞাত রোগী আসে। গত এক সপ্তাহে আসছে তিনজন। এর মধ্যে গত শনিবার একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত অর্থ বছরে রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ৬৬ জন অজ্ঞাত রোগীর চিকিৎসায় সহায়তা দেওয়া হয়েছে।   

হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীর তরুণ সেবক সৈয়দ মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, গত এক সপ্তাহে তিনজন অজ্ঞাত রোগী আসে। এর মধ্যে গত শনিবার একজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বর্তমানে দুইজন অজ্ঞাত রোগী আছে। রোগী কল্যাণ সমিতি তাদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা করছে।   

সর্বশেষ খবর