সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
কক্ষের বরাদ্দ নিয়ে বিরোধ

কুয়েটে সহকারী রেজিস্ট্রার পৌনে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কক্ষের বরাদ্দ নিয়ে বিরোধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি দোলনকে তার কক্ষে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে দোলন মিস্ত্রিকে কক্ষের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে দরজার ছিটকানি দিয়ে আটকে রাখেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা। পরে বেলা ১১টার দিকে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সহায়তায় দোলন মিস্ত্রি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন। কুয়েট ভিসিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর কুয়েটে নতুন ভিসি যোগদানের পরপরই কয়েকটি প্রশাসনিক পদে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুল মালেক মৃধাকে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যালয়ে বদলি করা হয়। প্রশাসনিক ভবনে দোতলায় তার আগের কক্ষটি বরাদ্দ দেওয়া হয় সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে বদলি করে আনা নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি দোলনকে। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ওই কক্ষটি ব্যবহার করছেন।

 এদিকে ওই কক্ষটির সামনের কক্ষে থাকা সেকশন অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা আগে থেকে কক্ষটির বরাদ্দ পেতে চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘সদ্য বিদায়ী ভিসির সিদ্ধান্ত ছিল জানুয়ারিতে সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুল মালেক মৃধার অবসরের পর তাকে এ কক্ষটি দেওয়া হবে। কিন্তু এরই মধ্যে আবদুল মালেক মৃধাকে বদলি করে এ কক্ষটি দোলন মিস্ত্রিকে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে অফিসে গিয়ে ওই কক্ষে দোলনকে বসা দেখে তাকে কক্ষ থেকে বের হতে বলি। উদ্দেশ্য ছিল তাকে নিয়ে ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করা। কিন্তু তিনি বের না হওয়ায় আমি রেগে তাকে কক্ষে রেখেই বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে দেই।’

সহকারী রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি দোলন বলেন, ‘সেকশন অফিসার দোলা কক্ষটির বরাদ্দ পেতে আগে থেকেই তৎপর ছিলেন। যেটা আমি জানতাম না। তিনি কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে আমাকে বের হতে বলেন। আমি তাকে ভিসির নির্দেশে এই কক্ষের বরাদ্দ পেয়েছি ও এ বিষয়ে ভিতরে এসে কথা বলার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি কক্ষের বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে আমাকে আটকে রাখেন। পরে বেলা ১১টার দিকে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলা হয়।’

এ বিষয়ে কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিব্রতবোধ করছেন। দুজনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর