শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

পদপ্রত্যাশীদের কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ

রাবিতে সৎ-যোগ্য নেতৃত্বের সন্ধানে কেন্দ্র

রায়হান ইসলাম, রাবি

পদপ্রত্যাশীদের কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ

বহু প্রতীক্ষার পর আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন। ইতোমধ্যে পদপ্রত্যাশীদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত চেয়ে নতুন নেতৃত্বের সন্ধানে নেমেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ফলে নতুন কমিটিতে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশীরা। এমনকি ক্যাম্পাসে নিয়মিত চলছে চা-চক্র, শোডাউন, আনন্দ মিছিল ও আড্ডা। ফলে নতুন কমিটিতে আলোচনায় এসেছে বেশকিছু নাম। তবে সৎ, দক্ষ ও দাপটে নেতৃত্বে আনার কথা ভাবছেন ঊর্ধ্বতন নেতারা। এ ব্যাপারে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহকারীদের অন্যতম সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আফি আজাদ বান্টি বলেন, রাবি ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। তাই নতুন নেতৃত্বের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার সঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্র। এমনকি নতুন কমিটিতে কোনো অনুপ্রবেশকারী যাতে ঢুকতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। কারণ রাবি ছাত্রলীগের সঙ্গে বহু ত্যাগের ইতিহাস জড়িত আছে। তাই এখানে সৎ, দক্ষ ও যোগ্যকেই নেতৃত্বে আনা হবে। কোনো অছাত্র কিংবা সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত কাউকে নেতৃত্বে আনা হবে না। জানা গেছে, সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে বেশকিছু নাম। তার মধ্যে অন্যতম হলেন- বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, কাজী আমিনুল হক লিংকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার (ডন), সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হক রাজু ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব। এ ছাড়াও রয়েছেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সারওয়ার সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু, উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয় এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আল মুক্তাদির তরঙ্গসহ আরও অনেকে। এদিকে সৎ, যোগ্য ও দাপটে নাকি অছাত্র, বিবাহিত, অনুপ্রবেশকারী কিংবা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এমন পদপ্রত্যাশীদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে, ক্যাম্পাসে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

একই সঙ্গে বরাবরের মতো স্থানীয়ই নাকি বাইরেরও কাউকে এবার নেতৃত্বে আনা হবে সেটা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। তাই বৃহৎ এই ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে সৎ ও যোগ্যরাই আসুক, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষক ও সংস্কৃতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর