ছয় দিন একটানা দরপতনের পর গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে লেনদেন নেমেছে তলানিতে। ডিএসইতে প্রায় আড়াই বছর বা ২৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পরেও লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে। এর আগের দিন বুধবার ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। সেই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন সার্কিট ব্রেকার (দাম বাড়া বা কমার সীমা) চালু করা হয়। নতুন সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এক দিনে এক শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম কার্যকর হবে। এরপরে লেনদেন বাড়ার বদলে আরও কমে গেছে। এতে ২০২০ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন লেনদেন দেখতে হলো বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের শেষ দিনে লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচক বাড়লেও দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ডিএসইতে ৫২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০১টির। আর ১৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১০৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ২০২০ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো। ২০২০ সালের ১৬ জুলাই ডিএসইতে ২২৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়। টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু এগ্রো।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯টির এবং ৭৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।