রাজধানীর বাজারে সবজির দাম যেন নড়াচড়া করতেই ভুলে গেছে। দুই মাস ধরে কেজি দরে অটল আছে সবজির দাম। তবে সরবরাহ বেড়ে ইলিশের বাজারে মিলেছে খানিকটা স্বস্তি। শান্তিনগর ও মালিবাগ বাজার ঘুরে গতকাল এমন চিত্রই চোখে পড়ল। একপাশে ক্রেতাদের দীর্ঘশ্বাস, অন্যপাশে ইলিশের দামে সামান্য হাসি।বাজারে ঝিঙা, করলা, বরবটি, বেগুন, কচুর লতি, পটোল ও চিচিঙার মতো সবজি এখনো কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ১৬০-২০০, পেঁপে ২৫-৩০ এবং প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টম্যাটো কেজিতে ১৮০-১৬০, ইন্ডিয়ান গাজর ১২০-১৪০, দেশি শসা ৮০ ও হাইব্রিড শসা ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লেবুর হালি ১৫-৩০, কাঁচা কলার হালি ৪০, চালকুমড়া ৬০, কাঁকরোল ১০০, মুলা ৮০, শিম ১৬০, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লালশাক ২০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০, কলমিশাক দুই আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও ডাঁটাশাক দুই আঁটি ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আলু কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, আর দেশি পেঁয়াজ পাঁচ টাকা কমে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মধ্যে সোনালি কক ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার কেজিতে ১৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০-৫৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের বাজারে সরবরাহ বাড়ার ফলে দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ এখন কেজিপ্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২০০ টাকা কম।
৭০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৮০০, আধা কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার এবং ছোট আকারের ইলিশ (১৫০-২০০ গ্রাম) ৬০০-৬৫০ টাকায় মিলছে।
অন্য মাছের মধ্যে চাষের শিং ৩৫০-৫৫০, দেশি শিং ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০, রুই ৪০০-৫৫০, দেশি মাগুর ৮০০-১ হাজার, মৃগেল ৩৫০-৪০০, পাঙাশ ২০০-২৩০, চিংড়ি ৮০০-১ হাজার, বোয়াল ৬০০-৮০০, বড় কাতল ৪০০-৫৫০, পোয়া ৩৫০-৪০০, পাবদা ৪০০-৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কই ২২০-২৩০, মলা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, ইলিশের দামে খানিক স্বস্তি মিললেও সবজির স্থায়ী উচ্চমূল্য সংসার বাজেটে চাপ ফেলছে। বিক্রেতারা যুক্তি দিচ্ছেন, পরিবহন খরচ ও পাইকারি বাজারের চাপ কমলে তবেই সবজির দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।