শেখ হাসিনার কারণে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। তিনি বলেন, রুহুল আমিন গাজী ছিলেন সৎ, নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রতীক। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। শেখ হাসিনার কারণে তাঁর তিলে তিলে মৃত্যু হয়েছে। কারণ, তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়, রুহুল আমিন গাজীর মতো ভালো আর কেউ তা জানে না।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের সহসভাপতি এ কে এম মহসিন, মো. খাইরুল বাশার, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ, মো. বাকের হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন, পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুব হোসেন, ডিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি রফিক মোহাম্মদ, ডিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক আবু বকর প্রমুখ।
কবি হাসান হাফিজ বলেন, আমৃত্যু সাংবাদিকদের রুজি-রুটির অধিকারের জন্য কাজ করেছেন রুহুল আমিন। গাজী ভাইয়ের সাহস ও নিঃস্বার্থ ত্যাগ নিয়ে আমরা যেন আগামী দিনে চলতে পারি; সেটাই হবে তাঁর প্রতি আমাদের সম্মান। কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, যখন সাংবাদিক সমাজের একাংশ ফ্যাসিবাদী শক্তির দালালিতে ব্যস্ত ছিল, তখন রুহুল আমিন গাজী সাহসের সঙ্গে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও তিনি অকুতোভয় বীর সৈনিক ছিলেন।