বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল বেলা ১২টায় রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। বিএনপি প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন ও সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক। অন্যদিকে, আইআরআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির (সিএনএএস) ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস। আইআরআই প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (এনডিআই) জেমি স্পাইকারম্যান, প্রচারণা ও পরামর্শদাতা জন ফ্লুহার্টি, পরামর্শদাতা ডারিন বিয়েলেকি, প্রোগ্রাম পরামর্শদাতা অমিতাভ ঘোষ এবং পরামর্শদাতা সাইদা মুশরেফা জাহান। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও আসন্ন নির্বাচনি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিনে আইআরআই প্রি ইলেকশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের নেতৃত্বে দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক খাইরুল আমিন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া এ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আইআরআইয়ের পক্ষ থেকে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, গণঅধিকার পরিষদ ৫০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, এই মাসের মধ্যে আরও ১০০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে, আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাদের পক্ষ থেকে সরকারের নির্বাচনি আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। আমরা বলেছি, সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী ফেব্রুয়ারি সময়সীমা ধরে ঘোষণা করেছে। আমাদের সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংঘাত আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একই অপরাধ করেছে। এই দেশের জনগণ জাতীয় পার্টিকে রাজনীতি ও নির্বাচনে দেখতে চায় না।
আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানাই, তারা যেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো বৈঠক বা মিটিং না করে।
তাদের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, জুলাই সনদ ও গণভোট নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। আমরা বলেছি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে। বাকিরাও করবে বলে আমরা আশাবাদী। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে আমরা শতভাগ একমত না হলেও ৮০ শতাংশ একমতে সব দল আসতে পেরেছি।