করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা '৯৯৯' নম্বরে ফোন দেয়ার পরপরই কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীরের নির্দেশে তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করেন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল।
গতকাল শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তাকে উপজেলা আইসোলেশান সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ এলাকার ওই ব্যক্তি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ পৌরসভায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি কক্সবাজারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। রামগঞ্জে ভাড়া বাসায় তার করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) তার পজেটিভ রিপোর্ট আসলে সেখানকার লোকজন তাকে বাড়ি ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে তিনি শনিবার বাড়ি থেকে পালিয়ে চালের ট্রাকযোগে লাকসামে আসেন। পরে সেখান থেকে রেললাইনের পথ ধরে হেঁটে নাঙ্গলকোটে রেলস্টেশনে যান।
সেখান থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী নিজেই ৯৯৯-নম্বরে ফোন করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের সাথে কথা বলে তার সমস্যার বিষয়টি জানান। তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসক নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুলকে করোনা আক্রান্ত ওই রোগীকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল সাথে সাথেই রাত ১১টায় এএসপি সার্কেল (চৌদ্দগ্রাম) ও ওসিকে সাথে নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে তাকে উপজেলার আইসোলেশান সেন্টারে নেয়া হয়। বর্তমানে তাকে সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন থেকে তাকে উদ্ধারের পর জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ