শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

২০ বছরে মেঘনায় বিলীন ৪৫ হাজার বসতবাড়ি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

২০ বছরে মেঘনায় বিলীন ৪৫ হাজার বসতবাড়ি

মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বসতভিটা, কৃষি জমি, বাজার, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ পুরো জনপদ হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন দুই উপজেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ। নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বুধবার কমলনগরে মানববন্ধন হয়েছে। উপজেলার মাতাব্বরহাটে কর্মসূচির আয়োজন করে ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এ সময় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে উপজেলা দুটিকে রক্ষার দাবি তুলে ধরে বক্তৃতা করেন, অ্যাড. আবদুস সাত্তার পালোয়ান, আবদুল মতলব, অ্যাড. সৈয়দ মো. শামছুল আলম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে মেঘনা নদীর ভাঙনে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে বিলীন হয়েছে ৩১টি বড় হাট-বাজার, ৩৫টি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা, ৩০টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৫২টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার, ৪০০ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা, ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, ৫০ হাজার একর ফসলি জমি, ৪৫ হাজার বসতবাড়ি। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন দুই উপজেলাবাসী। অবিলম্বে ভাঙন রোধে পাউবো চিহ্নিত ৩২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্রোতের চ্যানেল পরিবর্তন এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে মানুষ ও মাটিকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে কয়েক বছরের মধ্যে কমলনগর ও রামগতি উপজেলা দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর