শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মজুরি বৈষম্যের শিকার নারী শ্রমিকরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

মজুরি বৈষম্যের শিকার  নারী শ্রমিকরা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়েছে বোরো চারা রোপণের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন জমিতে সমানতালে। নারী ও পুরুষ শ্রমিক একই কাজ করলেও রয়েছে মজুরি বৈষম্য। বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, চলছে বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ। কৃষান-কৃষানিরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মাঠেই। তবে পুরুষের চেয়ে বেশি সংখ্যায় রোপণ কাজ করছেন নারীরা। দৈনিক মজুরিতে রোপণ কাজ করছেন তারা। অথচ নারী কৃষানিরাই মজুরি কম পাচ্ছেন।  ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউপির বাসুদেবপুরের সূর্যপাড়া গ্রাম থেকে জমিতে কাজ করতে আসা আদিবাসী নারী শ্রমিক পুষ্প মার্ডি, বাহামনি মুর্মু, নির্মলা টুডু ও ইপিপিনা মার্ডি বলেন, কৃষিকাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। সকালে উঠে বাড়ির রান্নাবান্না করে, দুপুরে নিজেদের খাবার সঙ্গে নিয়ে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মাঠে বোরো চারা রোপণ করছেন তারা। এরপরও পুরুষ কৃষানের তুলনায় বেশি কাজ করেও মজুরি বৈষম্যের শিকার তারা। তারা বলেন, একই কাজ সমানতালে করলেও তাদের কেন পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে মজুরি কম দেওয়া হয়? কৃষান জাবেদ খান বলেন, তিনি সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জমিতে কাজ করে প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে দিনমজুরি পাচ্ছেন। নারীরা বাড়ির সব কাজকর্ম করে জমিতে দেরি করে আসার কারণে জমি মালিকরা তাদের কম মজুরি দিচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। খয়েরবাড়ি ইউপির মুক্তারপুর ডাঙাপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল আলিম বাবু নারীদের বেতন কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, নারীরা সকাল ৯টায় কাজে আসেন আর পুরুষরা সকাল ৮টায় আসেন। তিনি দুপুরের খাওয়া-দাওয়া বাদে নারী কৃষানিদের দিচ্ছেন ৩০০ টাকা ও পুরুষ কৃষানকে দিচ্ছেন ৪০০ টাকা। কৃষক বেলাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় কোনো কৃষান-কৃষানি না পাওয়ায় তিনি পাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৬ জন কৃষান এনে পৌনে ৫ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করছেন। বাইরের কৃষান, তাই তাদের জন্য দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করতে হচ্ছে। তাই একবেলা খাবার দেওয়ার কারণে তাদের প্রত্যেককে ৩০০ টাকা করে দিনমজুরি দেওয়া হচ্ছে। তবে বর্তমানে পুরুষ শ্রমিকদের হাজিরা বেশি হলেও নারী শ্রমিকদের কিছুটা মজুরি কমে পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর