নড়াইলের সীমাখালী গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত সোমবার রাতে মোসা. মৌসুমী খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামী খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর বিরুদ্ধে। নিহত মৌসুমী যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। পুলিশ গতকাল লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামের শাহাদাত মোল্যার ছেলে খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার মোতালেব মিয়ার মেয়ে মৌসুমী খাতুনের বিয়ে হয় প্রায় ৮ বছর আগে। বিয়ের পর তাদের ঘরে মারিয়া (৭) ও চাঁদনী (৮ মাস) নামে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকত।
মৌসুমী খাতুনের পিতা মোতালেব মিয়া জানান, মেয়ে সোমবার রাত প্রায় ১১টার সময় আমাকে মোবাইলে ফোনে জানায়, আব্বা আমাকে বাঁচাও। আমি খুব বিপদে আছি। তখন আমি তাকে নানা ধরনের কথা বলে সান্ত্বনা দেই। পরে গতকাল সকালে খবর পাই মেয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে দ্রুত সীমাখালী জামাই বাড়ি এসে দেখতে পাই মেয়ের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানায় মানো সোমবার রাতে সীমাখালী ঘাটে জুয়া খেলছিল। মৌসুমী এসে মানোর জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় ঘটনাস্থলে সে আমার মেয়েকে মারপিট করে। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে ওই রাতে আমার মেয়েকে হত্যা করে গলায় রশি ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
