রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

লাল মাটিতে সবুজ চা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

লাল মাটিতে সবুজ চা

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রতনপুর বাজার থেকে পশ্চিম দিকে চলে গেছে একটি সড়ক। আঁকাবাঁকা এ সড়ক দিয়ে দুই কিলোমিটার গেলেই বড় ধর্মপুর এলাকা। এখানে মাথা তুলে আছে ছোট-বড় পাহাড়। দুটি পাহাড়ের লাল মাটিতে প্রথমবারের মতো চা চাষ করা হয়েছে। বাগানটি দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী আসছেন।

ধর্মপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটি মাঝারি উচ্চতার পাহাড়। পাহাড়ের কাছে যেতেই ঝাঁক বেঁধে উড়াল দেয় একদল বট কোয়াল পাখি। পাহাড়ের উপরে ও ঢালুতে চা গাছের চারা লাগানো হয়েছে। পৌষের কনকনে শীতেও ¯িœগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ চা গাছ। পাহাড়ের ওপরে বসানো হয়েছে পানির ট্যাংক। সেখান থেকে পাইপ দিয়ে পানি বাগানে সরবরাহ করা হয়। চা বাগানে শেড ট্রি হিসেবে কড়ই গাছ লাগানো হয়েছে। কয়েকজন নারী পাহাড় পরিষ্কার করছেন। কিছু দর্শনার্থী এসেছেন বাগান দেখতে। কামাল হোসেন নামের একজন বলেন, লালমাই পাহাড়ের মাটিতেও চা চাষ সম্ভব। এখানে কমলা ও মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে আগেই। চা চাষ এই প্রথম। চাষ করা গেলে পাহাড়ের জমি আর পরিত্যক্ত থাকবে না। উদ্যোক্তা তারিকুল ইসলাম মজুমদার জানান, তার এক বন্ধু আছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার খাসিয়া সম্প্রদায়ের জিডি সান। তিনি একদিন লালমাই পাহাড়ের ভূমি ঘুরে দেখেন। জিডি সান মত দেন এখানে চা চাষ সম্ভব। তার পরামর্শে গত মার্চে তিন হাজার চা গাছ লাগান তারিকুল। এগুলোর গ্রোথ ভালো দেখে তিন মাস পর আরও তিন হাজার চারা রোপণ করেন। তিন বছর পর পাতা তুলতে পারবেন। প্রায় এক একর পাহাড়ে তার চা বাগান। এখানে তার সাড়ে ছয় একর জমি আছে। তিনি পুরো জমিতেই চা বাগান করবেন বলেও পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি চান অন্যরা যেন তার মতো এগিয়ে আসে। প্রয়োজনে তিনি চা পাতা প্রস্তুতের মেশিন স্থাপন করবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা চা চাষের এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ফলন দেখে মূল্যায়ন করা যাবে। এ ছাড়া চা পাতা প্রস্তুতে মেশিন স্থাপন প্রয়োজন। সব ব্যবস্থা করা গেলে এ অঞ্চলে চা চাষে সাফল্য আসবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর