সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

‘বকেয়া মজুরির দাবিতে ফুঁসে উঠছে চা শ্রমিকরা’

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

‘বকেয়া মজুরির দাবিতে ফুঁসে উঠছে চা শ্রমিকরা’

বকেয়া মজুরির দাবিতে ফুঁসে উঠছে চা শ্রমিকরা। দুর্গাপূজার আগে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে আবারও বাগানে শ্রম অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। গতকাল শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বোধনের কথা জানান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা, ধনা বাউড়ি, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি প্রমুখ। নৃপেণ কুমার পাল বলেন, গত ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। প্রথা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই মজুরি কার্যকর হবে। কিন্তু বাগান মালিকরা চলতি বছরের ২৭ আগস্ট থেকে এই নতুন মজুরি কার্যকর করছেন। বকেয়া পরিশোধে মালিক পক্ষ টালবাহানা করছেন। এ ছাড়া মালিক পক্ষ চা বাগানগুলোকে শ্রেণি ভেদ করে শ্রমিকদের সমমজুরি হতে বঞ্চিত করছেন। চুক্তিতে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সমপরিমাণ মজুরির কথা থাকলেও বেশিরভাগ চা বাগানের মালিক নিজেরা মজুরি নির্ধারণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর  ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা থাকলেও  সেখানেও শুভঙ্করের ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে চা শ্রমিকদের মধ্যে বিরাট ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হতে চলেছে। তাই আসন্ন দুর্গাপূজার আগে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বকেয়া মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অপরিশোধিত থাকলে  পুনরায় শ্রম অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। আর এতে চা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটলে কোনোভাবেই বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নকে দায়ী করা যাবে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশিয় চা সংসদের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২৮ আগস্ট থেকে শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা করে দিতে, আমরা এটা দিচ্ছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথার বাইরে তো যেতে পারি না।’ বিভাগীয় শ্রম দফতরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২৮ তারিখ থেকে এই নতুন মজুরি কার্যকর, এটা আমাদের ডিজি মহোদয় চা শ্রমিক ইউনিয়নকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। এখন আবার বকেয়া মজুরির জন্য সংবাদ সম্মেলন করাটা দুঃখজনক।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর