খাদ্য এবং ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন লক্ষ্মীপুরের পোলট্রি খামারের মালিকরা। ব্রয়লার, লেয়ার, দেশি, পাকিস্তানি, সোনালিসহ নানা জাতের মুরগি লালনপালন করে আসলেও শূন্য হচ্ছে খামার। আর যারা এখনো ধরে রেখেছেন তাদেরও যেন নাভিশ্বাস। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও বাজারমূল্য কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ে এখন এ জেলায় ৫ শতাধিক পোল্ট্রি খামার বন্ধ ও অন্য সবগুলোই হুমকির মুখে রয়েছে। এদিকে এ শিল্পকে বাঁচাতে খাদ্যে ভর্তুকির দাবি তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। সদর উপজেলার টুমচর, শাকচর, কালিরচরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক মাস আগের চালু থাকা খামারগুলোর মধ্যে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মাংস উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা।
পুরো জেলাব্যাপী বর্তমানে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ব্রয়লার, লেয়ারসহ বিভিন্নজাতের অন্তত ২ হাজার খামার রয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাধিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় একাধিক খামারি জানান, কিছু দিন আগেও তারা যে মুরগির বাচ্চা কিনেছেন ৩০-৩৫ টাকা করে, সে মুরগি এখন ৭৫-৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যে খাদ্যের বস্তা কিনেছেন ২১০০-২২০০ টাকা সে খাদ্য এখন ৩৪০০-৩৬০০ টাকা হারে। এতে উৎপাদন ব্যয় বহু গুণ বেড়েছে, বিক্রিমূল্য কমে হয়েছে কেজি ১৯০-২০০ টাকা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকে এখন বন্ধ করে দিয়েছেন এ ব্যবসা। আবার অনেকে হুমকির মুখে কোনোমতে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন বলে জানান। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. যোবায়ের হোসেন জানান, খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে খামারিরা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। ৬ মাসে ৫ শতাধিক খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। যদি মুরগির খাবারে ভর্তুকি দেওয়া যায়, তাহলে আমাদের খামারিরা প্রাণিসম্পদে অবদান রাখতে পারবেন। সেই সঙ্গে তারা ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।