জনবলসংকটসহ নানান অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে ঝালকাঠি নার্সিং কলেজ। অভিযোগ আছে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময় কয়েকজন শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে যান। এরপর আর পদায়ন না হওয়ায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রয়েছে সিনিয়র স্টাফনার্সদের দিয়ে পাঠদান করানোর অভিযোগ। এমনকি পূর্ব অভিজ্ঞাতা ছাড়াই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে চার বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন নলছিটি উপজেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফনার্স গীতা রানী সমাদ্দার। শিক্ষকদের সকাল ৮টায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাঁরা আসেন ৯টা-১০টায়। নির্ধারিত সময় বেলা আড়াইটার বদলে ছুটি হয়ে যায় ১টা থেকে দেড়টায়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয় না। প্রায়ই শিক্ষকরা দেরি করে আসেন আবার সময়ের আগেই চলে যান। ল্যাবকার্যক্রম ঠিকভাবে চলে না। সঠিক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘শুধু বই পড়ে নার্সিং শেখা যায় না। রোগীর সামনে কীভাবে কাজ করব সেটা হাতেকলমে শিখতে হয়। আমাদের সে সুযোগ হচ্ছে না।’ এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। উদ্বেগ কাজ করছে অভিভাবকদের মধ্যেও।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে মনোরম পরিবেশে কলেজটি হওয়ায় ভর্তি তালিকায় প্রথম পছন্দ দিই। ভর্তির পর দেখি এটা আজব জায়গা। এখানে পড়ালেখা হচ্ছে না বললেই চলে। কোনোরকম নিজেদের চেষ্টায় এগোচ্ছি। আমরা দ্বিতীয় বর্ষে এসেও আসলে কিছুই জানি না।’ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গীতা রানী সমাদ্দার বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি প্রতিষ্ঠানকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে। এখানে নিজস্ব কোনো শিক্ষক ও স্টাফ নেই। হিসাবরক্ষক, অফিসসহকারী, পিয়ন ও নাইটগার্ট নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এনে সাতজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম। সংকটের বিষয়ে ডিজিএনএমে কথা বলেছি। গত মাসে এ প্রতিষ্ঠানে ৩৮ জনবলের পদ সৃজন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক দূরে থাকায় তাঁদের মাঝে মাঝে আসতে একটু দেরি হয়।’