ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে শাহিনুর আক্তার (২৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ১৭ জুলাই পেটে চাকু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন সুজন মিয়াসহ (৩৭) চারজন। পরে লাশ ঘরে রেখে তালা দিয়ে চলে যান। এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআইয়ের সুপার শচীন চাকমা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এর আগে ২৬ জুলাই ঢাকার কামরাঙ্গীর থানার বাগানবাড়ি থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়ি বাঞ্ছারামপুর গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে। সুজন পুলিশকে জানান, তিনি এলাকায় মাদক কারবার ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করতেন।
শাহিনুর আক্তার একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ও সৌদিপ্রবাসী হাসান মিয়ার স্ত্রী। বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকায় নজরুল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, শাহিনুর আক্তার তাঁর প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে সৌদিপ্রবাসী হাসান মিয়াকে বিয়ে করেন। প্রথম সংসারে তাঁর সিয়াম নামে ১০ বছরের ছেলে রয়েছে। ছেলে বাবার কাছে থাকে। ১৭ জুলাই সুজনসহ চারজন শাহিনুরের বাসায় গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা চাকু দিয়ে শাহিনুরের পেটে আঘাত করেন। হত্যার পর লাশ ঘরে রেখে রুমের বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান। ১৮ জুলাই দুর্গন্ধ বেরোলে পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শাহিনুরের বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।