বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকর্মী এক শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে (৬০) গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী।
আজ দুপুরে বারইখালী সরকারী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা ঐ প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে তারা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষিকা সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে ঐ সহকারী শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ের কিছু কাজ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। পরে ঐ কাজ করার সময় ইসমাইল ঐ শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক তাকে জড়িয়ে ধরেন।
এ সময় ওই শিক্ষিকা চিৎকার দিয়ে দৌড়ে বিদ্যালয়ের মাঠে চলে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসি ঘটনাটি জানতে পারেন। এ সময় বিদ্যালয়ে অন্য কোন শিক্ষক বা ছাত্র-ছাত্রী ছিল না। এই ঘটনার জের ধরে আজ অভিভাবকরা ইসমাইল হোসেনকে মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে ও তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিদ্যালয় প্রঙ্গনে মিছিল করে। পরে খবর পেয়ে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে দিয়ে প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে আটক করে।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষিকার সাথে অসদাচরণ ও এলাকায় পূর্বের ঝামেলা থাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এ ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতি ভাবে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৬ মে, ২০১৬/ হিমেল-১০