ফরিদপুর-বরিশাল ও ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে ফরিদপুরের কিছু অংশে। আর এ কাজ করতে গিয়ে মহাসড়কের দু’পাশে লাগানো কয়েক হাজার গাছ কাটা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগের সঙ্গে বন বিভাগের টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকশ’ গাছ কেটে বিপাকে পড়েছে বন বিভাগ। ইতোমধ্যেই টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কেটে বিক্রিও করে দেয়া হয়েছে । আর সড়ক বিভাগ গাছগুলো তাদের দাবি করে আপত্তি জানিয়েছে। ফলে বর্তমানে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর অংশের সদর উপজেলার বদরপুর হতে কানাইপুর এলাকার ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতাধিক গাছ রয়েছে। অপরদিকে, রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে বাহিরদিয়া এলাকার ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এক হাজার একশ’ গাছ রয়েছে। গাছগুলো বিভিন্ন সময় রোপণ করা হয়েছিল। গত ২০ এপ্রিল বন বিভাগ গাছগুলো নিজেদের দাবি করে টেন্ডার আহবান করে। টেন্ডার আহবানের পর ৩ মে সড়ক বিভাগ ‘প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ না করে অবৈধভাবে সওজ-এর মালিকানাভুক্ত গাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে দরপত্র আহবান’ মর্মে আপত্তি জানান জেলা প্রশাসকের কাছে। এ বিষয়ে গত ৯ মে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু বন বিভাগ টেন্ডার করে প্রায় দু’শ’ লটে বিক্রি করে দেয়। ৭৭টি লটের জন্য গাছ কাটার অনুমতি পেয়ে ঠিকাদারেরা গাছ কাটা শুরু করে। এ নিয়ে বন বিভাগের সঙ্গে সড়ক বিভাগের টানাপোড়ন শুরু হয়।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাছগুলোর মালিক সড়ক বিভাগ। অথচ বন বিভাগ টেন্ডার করে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আপত্তি জানিয়েছি।
গাছ কাটার বিষয়ে বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান জানান, গাছগুলো সড়ক বিভাগের জায়গায় রোপণ করা হলেও গাছগুলোর মালিক বন বিভাগ। ফরিদপুরে বন বিভাগের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের এডিএম এরাদুল হক বলেন, ‘সড়ক ও বন বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি সভা করেছি। উভয়কেই তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেছি। কাগজ পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/২৬ মে ২০১৬/শরীফ