অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় গত কয়েক দিনের একের পর এক সহিংস ঘটনায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন ও ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী নুরুল আলম নিহত হন। অশান্ত হয়ে পড়েছে হাতিয়ার দলিয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি, বিভক্ত হয়ে পড়েছে নেতা কর্মীরা।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় গত কয়েক দিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযানে নেমেছে। অভিযানের প্রথম দিন শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়ে, আটককৃতরা বিভিন্ন মামলার আসামি। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়ির থাকার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানস্থল থেকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলা জানান, অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গত কয়েদিনের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা। অভিযানে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, শতাধিক পুলিশ সদস্য ও অর্ধশতাধিক র্যাব সদস্য নিয়োজিত রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, যুবলীগ নেতা আশ্রাফ হত্যার ঘটনায় তার ভাই হাতিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাইফ উদ্দিন আহম্মেদের দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও চরঈশর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাসসহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। যুবলীগ কর্মী নুরুল আলম হত্যার ঘটনায় তার বাবা নূর হোসেনের দায়ের করা মামলায় মোহাম্মদ আলীসহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার